পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বরিশাল সিটি নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত জামায়াত ইসলামী জোটের সিদ্ধান্ত মেনে মূল শরিক বিএনপিকে যথেষ্ঠ স্বস্তিতেই রাখল। অপর শরিক খেলাফত মজলিসের প্রার্থী এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় কিছুটা অস্বস্তি রয়েছে জোটের মধ্যে। ভোটের হিসেবে তেমন কোন প্রভাব না ফেললেও ২০ দলীয় জোটের অনৈক্যকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসার বিষয়টিই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলে আলোচিত হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত জামায়াতের অবস্থান পরিবর্তন মহাজোট শিবিরে কিছুটা হতাশা সষ্টি করেছে। তবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আলাদা প্রার্থী নিয়ে মাঠে আসায় খুশি মহাজোটের মূল শরিকসহ অন্য দলগুলো।
গত বৃহস্পতিবার বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৪র্থ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের সাদিক আবদুল্লাহ এবং বিএনপির এড. মুজিবর রহমান সারোয়ার নিজ নিজ জোটের পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এছাড়াও জাতীয় পার্টির দুজন এবং কমিউনিষ্ট পার্টি, বাসদ, ইসলামী আন্দোলন ও খেলাফত মজলিসের একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। নগরীর ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১১৪ ও ১০টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৩৮ জন প্রার্থী মনানয়নপত্র দাখিল করেন। আগামীকাল ও সোমবার এসব মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ জুলাই।
আগামী ৩০ জুলাই বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে জামায়াত ইসলামী জোটের বাইরে দলবদ্ধভাবে মেয়র পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করার কথা ঘোষণা করেছিল ইতোপূর্বে। মহানগর জামায়াত-এর আমীর এড. মুয়াজ্জম হোসাইন হেলাল প্রতিদ্ব›িদ্বতা করার ঘোষণা করে নগরীতে ব্যানার ও প্লাকার্ডও ঝুলিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত জোটের সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়ে তিনি নির্বচন থেকে সরে দাঁড়ান। ২৭ জুন রাতে ২০ দলীয় জোট প্রার্থী মুজিবুর রহমান সারোয়ার দলীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে হেলালের বাসায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। জোটের সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়ে তিনি শেষ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি।
বিষয়টি আপাতত ২০ দলীয় জোট ও তাদের প্রার্থীকে যথেষ্ঠ স্বস্তি দিয়েছে। কারণ জামায়াত আলাদাভাবে এ নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করলে ২০ দলীয় জোটের ভোট ব্যাংকে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল। বিষয়টি কিছুটা স্বস্তি দেবে বলে আশা ছিল মহাজোটের তরফ থেকেও। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার হুলিয়া নিয়ে টানা প্রায় দু’বছর আত্মগোপনে থাকার পরে মাস কয়েক আগেই জামায়াত মহানগর আমীর বরিশালের আদালত থেকে জামিন লাভের পরে এ নিয়ে গুঞ্জনও শুরু হয়েছিল। জোটের বাইরে মেয়র পদে তার নির্বাচন করার ঘোষণায় বিষয়টি আরো প্রতিষ্ঠিত হয়। যা বিএনপিসহ জোট শরিকদের মধ্যে নানা সন্দেহ করলেও শেষ পর্যন্ত জামায়াত মেয়র পদে প্রতিদ্ব›দ্বীতা থেকে সরে আসায় সে সংশয় দূর হয়েছে। তবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষে ওবায়দুর রহমান মাহবুব নির্বাচন করায় নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে সব সময়ই ইসলামী আন্দোলন বিএনপি ও তার জোট শরিকদের বিপক্ষে অবস্থান ধরে রেখেছে। যদিও ২০০৮-এর সেনা সমর্থিত সরকারের অধীনের নির্বাচন ছাড়া কোন দিনই বরিশাল সদর সংসদীয় আসনে তাদের জামানত ছিল না। তারপরেও আসন্ন সিটি নির্বাচনকে তারা চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছে। তবে এ চ্যালেঞ্জ তাদের দলীয় নীতিমালা পরিপন্থী দলকেই বেশী সুবিধা দিতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল।
তবে এসব কিছুই নির্ভর করছে আগামী ৩০ জুলাই বরিশালসহ তিন সিটি নির্বাচন কতটুকু ‘অবাধ ও নিরপেক্ষ’ হবে তার ওপর। খুলনা ও গাজীপুর-এর ধারাবাহিকতার নির্বাচন হলে ‘আসন্ন এ নির্বাচন নিয়ে কোন ধরনের মন্তব্যের প্রয়োজন নেই’ বলেও মনে করছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল।
এদিকে মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে থেকেই নগরীর দু একটি স্থানে মহাজোট প্রার্থীর ক্যাম্প অফিস চালু করা হয়েছে। গতকাল নগরীর ভাটার খাল এলাকায় এ ধরনের অস্থায়ী কার্যালয় চোখে পড়ে। যদিও নির্বাচন কমিশন থেকে প্রতিক বরাদ্দের আগে আসন্ন সিটি নির্বাচন নিয়ে সব ধরনের প্রচারণা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে নগরীতে মাইকিংও করা হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে। এমনকি বিভিন্ন প্রার্থীদের প্রচারনা সম্বলিত সব ধরনের পোষ্টার, ব্যানার ও প্লাকার্ড অপসারনের নির্দেশও দেয়া হয়েছে। তবে অনেক এলাকাতেই অনেক কিছুই রয়েছে আগের মত করেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।