Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুর্গা পূজায় ৩ দিন ছুটির দাবি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০১৮, ২:৪৮ পিএম

বাংলাদেশে হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজায় তিন দিন সরকারি ছুটির দাবি জানিয়েছে হিন্দু ধর্মীয় কয়েকটি সংগঠন।

শুক্রবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘শারদীয় দুর্গা পূজায় তিন দিনের সরকারি ছুটি বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটি’র ব্যানারে এক কর্মসূচি থেকে সরকারি ছুটি বৃদ্ধির পাশাপাশি সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদও জানানো হয়।

হিন্দু মহাজোটের সভাপতি প্রভাস চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে এই বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে, শারদাঞ্জলী ফোরাম–ঢাকা মহানগর এর সভাপতি রতন চন্দ্র পাল, বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের নির্বাহী সভাপতি বাবুল দাশ বক্তব্য দেন।

 প্রভাস চন্দ্র রায় বলেন, “আমরা বর্তমান সরকারের কাছে আশা করেছিলাম, শারদীয়া দুর্গা পূজায় সরকারি ছুটি এক দিনের পরিবর্তে তিন দিন করা হবে।  কিন্তু সরকার এখনও নিশ্চুপ।  
“শারদীয় দুর্গোৎসব শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এ উৎসব সমগ্র বাঙালির ঐক্যের ও মিলনের মহোৎসব।  অথচ এই উৎসবের সরকারি ছুটি দুর্গোৎসবের শেষ দিনে।  সরকারি ছুটি এক দিন থাকায় অনেক পরিবারের কাছে উৎসবটি রূপ নেয় বেদনায়। অনেকে  শহর ছেড়ে যেতে পারে না পরিবারের কাছে।”

হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র সুমন কুমার রায় বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম, অসাম্প্রদায়িক চেতনার এই বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ সমান সুযোগ সুবিধা ভোগ করবে। কিন্তু সংবিধানের সেই প্রতিশ্রুতি কেবল কাগজে কলমেই থেকে গেছে।  ধর্মান্ধতা এ দেশের এক শ্রেণির মানুষকে মুর্খ করে রেখেছে। যার কারণে হিন্দুরা প্রতিনিয়ত রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছে।”

কিশোরগঞ্জে হিন্দু পরিবারের মা-মেয়েকে গণধর্ষণ, রাজবাড়িতে কিশোরীকে অপহরণ, কুষ্টিয়ায় শিশু দেব দত্তকে অপহরণ ও হত্যা, বিভিন্ন স্থানে মন্দির দখল, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নিপীড়ন ও নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয় সমাবেশে।

এছাড়া প্রতি জেলায় একটি করে মডেল মন্দির নির্মাণ করে তাতে পুরোহিত ভাতা চালু করার দাবি জানান হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা।

 সরকারকে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে তারা বলেন, তাদের দাবি পূরণ না হলে ৬৪ জেলায় একযোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করবেন তারা।
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোট, বাংলাদেশ অগ্নি বীর, বাংলাদেশ মাইনরিটি পার্টি, বাংলাদেশ মাইনরিটি ইউনাইটেড ফ্রন্ট, বাংলাদেশ দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ পরিষদ, বাংলাদেশ হিন্দু স্বয়ং সেবক সংঘ, জাগো হিন্দু বাংলাদেশ, হিন্দু সমাজ, হিন্দু লীগ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ–ঢাকা মহানগর উত্তর, পার্থ সারথী গীতা শিক্ষা ফাউন্ডেশন শুক্রবারের এই সমাবেশে যোগ দেয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ