পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব এখন চলছে। এ নিয়ে কিছু নতুন আলোচনার অবতারণা সমাজে ঘটছে বলে অনেকেই সংবাদ মাধ্যমের সহযোগিতা চাইছেন পরিষ্কার ধারণা পেতে। অনেকে নতুন আলোচ্য বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ মহলের মতামত জানারও চেষ্টা করছেন। সমাজের আলোচনা ও ভাবনা নিয়ে আমরা কথা বলার চেষ্টা করি অনেকের সাথে। রাজধানীর একটি শিশু নিকেতনের সুপার কামরুন্নেসা বলেন, আমার নিকেতনের শিক্ষার্থীরা প্রায় সবাই মুসলমান, কিন্তু তারা হিন্দু ধর্মের দেব-দেবী পূজা পার্বণ সম্পর্কে ইসলাম ধর্মের চেয়ে বেশি জানে। তারা বাংলা এখনো ভালো করে শিখেনি, কিন্তু হিন্দি কথা বলে ও বোঝে। কার্টুন দেখে দেখে তারা ওই জগতেই বাস করে। দেশে অসংখ্য টিভি চ্যানেল। তাদের অনেকের আচরণ দেখে মনে হয় এ দেশে ৯৫ শতাংশ মানুষ হিন্দু। একাধারে ১০ দিন ধরে দুর্গা পূজার যে প্রচার চলছে তা দেখে কেউ বুঝতে পারবে না যে, এ দেশে ৭ শতাংশ মানুষ হিন্দু। চ্যানেল মালিকরা প্রায় সবাই মুসলমান। কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও মুসলমান। যে টাকা তারা কামাই করেন, বিজ্ঞাপন থেকে পান, এসবই মুসলমানের কষ্টের টাকা। এসব চ্যানেল ঈদ, কোরবানি, হজ, মুহাররম ইত্যাদিতে দু’লাইনের বেশি সংবাদ দেয় না, ছবি দিলেও দু-এক সেকেন্ড। এরাই নানা উপলক্ষে হিন্দু ধর্ম প্রচারে পাগলপারা। বারবার কাহিনী এমনভাবে পাঠক-পাঠিকারা উপস্থাপন করেন, মনে হয় কল্পনার দেব-দেবী ও তাদের ঘিরে তৈরি নানা কাহিনী যেন বাংলাদেশের ছেলে বুড়ো সবাইকে মুখস্থ করানো হচ্ছে। আল্লাহয় বিশ্বাসী মানুষের হৃদয় মনে যেন দেব-দেবীর বিশ্বাস গেঁথে দেয়া হচ্ছে। যে কাজটি সারা বছরই ভারতীয় চ্যানেলগুলো করে থাকে। যারা বাংলাদেশের মানুষকে নারী নির্যাতন, পরকীয়া, হিংসা, পারিবারিক ঝগড়াঝাটি, ক‚টকৌশল ইত্যাদি শিক্ষা দেয়। কিছুদিন আগে শুনেছিলাম বিজ্ঞাপন ভারতীয় চ্যানেলে চলে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশি টিভি মালিকরা কিছু হৈ চৈ করেছিলেন, এখন আবার নীরব হয়ে গেছেন। তারা কেন এখন দুর্গা পূজার দৃশ্য এত বেশি প্রচার করছেন যাতে কেউ ভাবতে পারে যে বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ মানুষই হিন্দু। পূজা ছাড়া এ দেশে আর কিছু নাই। তারা কি এ জন্য বিশেষ কোনো ব্যবসা পান? মুসলমান হিসেবে তো শিরক প্রচার ও শিরক থেকে লাভবান হওয়া তাদের জন্য বৈধ নয়। আশা করি তারা বিষয়টি ভাববেন। ঈমানের চেয়ে ব্যবসা বড় নয়।
পুরান ঢাকার বৈদ্যুতিক ক্যাবল ব্যবসায়ী সাবেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক আসাদুজ্জামান বলেন, এবারকার পূজায় রোহিঙ্গাদের কথা কেউ মনে করছে বলে মনে হয় না। শুনেছি পাঁচ-ছয় শ’ হিন্দুও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শরণার্থী হয়ে এসেছে। টেকনাফের মসজিদ থেকে তাদের খাবার দেয়া হচ্ছে। এবার হিন্দু ভাইয়েরা যদি মন্ডপ না বাড়িয়ে, আলোকসজ্জা কম করে, মাইক কম লাগিয়ে কিছু টাকা রোহিঙ্গাদের দিতেন তাহলে কাজটি সুন্দর হতো। ঢাকাসহ সারা দেশে এমন কিছু শোনা যায়নি। আমাদের প্রতিবেশী অনেক হিন্দু ভাই-বোনেরা আফসোস করে বলেছেন, বৌদ্ধরা এবার তাদের পূজায় অনেক ছাঁটকাট করেছে, মূল পূজা-পাঠ ছাড়া উৎসব বাতিল করেছে। ফানুস উড়ানো ও জাহাজ ভাসানো বাদ দিয়েছে। বর্মি সেনাদের পাশাপাশি উগ্র বৌদ্ধদের অত্যাচার তারা ঘৃণার চোখে দেখছে। পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমানের সীমাহীন কষ্টের সাথে একাত্ম হয়ে সমবেদনা প্রকাশ করছে। এ কাজটি হিন্দু ভাইয়েরা করতে পারেননি। শুনেছি শুধু মুন্সিগঞ্জে রোহিঙ্গাদের জন্য প্রতি মন্ডপ থেকে পাঁচ শ’ টাকা করে তোলা হয়েছে। এক ঘণ্টা মাইক বন্ধ রেখে তারা সংহতি প্রকাশ করবেন বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। কিন্তু রাজধানীতে দেখা গেছে সম্পূর্ণ উল্টো। এবার উশৃঙ্খলতা বেশি, আলোকসজ্জা বেশি, সাউন্ডসিস্টেম ও ড্রাম বিটের আওয়াজ বেশি। আগের মতো মসজিদ, হসপিটাল বা মহল্লার বৃদ্ধ রোগীদের কথা যেন কারো মনে নেই। অথচ, সারাজীবন আমরা হিন্দুদের প্রতিবেশী সৎ মুসলমান হিসেবে তাদের উৎসব অনুষ্ঠানে সমর্থন দিয়ে গেছি। এখনো দেশের প্রায় ৩১ হাজার মন্ডে প্রধানত মুসলমান র্যাব পুলিশই সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বিধান করছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি ও আমার চারপাশের সমাজের লোকজন এবারকার বেপরোয়া ভাব দেখে কষ্ট পেয়েছি। কাছের হিন্দুরাও ব্যথিত অন্তর নিয়ে আমার সাথে একমত পোষণ করেছেন। সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগছে এক শ্রেণীর দায়িত্বহীন মিডিয়া কর্মীর আচরণ দেখে। তারা বারবার বলার চেষ্টা করছেন যে, দুর্গা পূজা বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব। ‘বাঙালি হিন্দুর’ কথাটি বলছেন না। এদের উদ্দেশ্য ভালো নয়। এ দেশে ৯২ শতাংশ মুসলমানও তো বাঙালি, তবে কি দুর্গা পূজা তাদেরও বড় উৎসব? এসব কথা নিঃসন্দেহে সাম্প্রদায়িক উসকানি। বাংলাদেশের সম্প্রীতি নষ্টে যে চক্রটি সচেষ্ট এরা তাদেরই লোক।
সাবেক কলেজ শিক্ষক প্রবীণ হিন্দু পন্ডিত অসিত বরণ সাহা ইনকিলাবকে বলেন, দুর্গা পূজা একটি খাঁটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এক সময় বাঙালি সমাজে নিচু জাতের হিন্দুরা উঁচু জাতের পূজামন্ডপে যেতে পারত না। তখন জনগণকে উৎসবে অংশগ্রহণ করতে দেয়ার তাগীদ অনুভ‚ত হওয়ায় রাজা জমিদাররা গোঁড়া বাহ্মণদের নির্দেশ অমান্য করে কিছু মন্ডপ এমন করেন, যেগুলোতে নিচু জাতের হিন্দুরাও দেবী দর্শনে আসতে পারত। তখন এ সুযোগ না দিলে তাদের নিচু জাতের প্রজারা ধর্ম ত্যাগ করে ভিন্ন ধর্মে চলে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। তাই অনেক মন্ডপকে সার্বজনীন ঘোষণা করা হয়। এর অর্থ ব্রাহ্মণ ও নমঃশুদ্র শ্রেণী যে পূজায় একসাথে অংশ নিতে পারে। বর্তমানে সেই প্রেক্ষাপট অনেকটা বদলে যাওয়ায়, বিশেষ পূজামন্ডপ প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ায় সব মন্ডপই এখন সার্বজনীন। এই সার্বজনীন অর্থ পূজাটি হিন্দু অহিন্দু সবার জন্য, এমন নয়। এই সার্বজনীন অর্থ হিন্দুদের মধ্যে উঁচু-নিচু সব শ্রেণীর পূজার স্থান। তখন যেমন একটি শব্দ ব্যবহার করা হতো, আপামর। অর্থাৎ উঁচু শ্রেণীর হিন্দুদের সাথে ‘পামর’ বা ছোটলোক হিন্দুরাও আমন্ত্রিত। তাদেরও সম্বোধন করা হচ্ছে এ অর্থে বলা হতো এ পূজায় ‘আপামর জনতা’ আসতে পারবে এবং এটিই সার্বজনীন। এখানে কোনোভাবেই সব ধর্মের লোকজন এসে পূজায় অংশ নিবে এ উদ্দেশ্য ছিল না। পন্ডিত অসিত সাহা আরো বলেন, দেবী দুর্গা বিশেষভাবে বাঙালি হিন্দুর দেবী। বাংলা ছাড়া অন্যত্র বিশেষ করে উত্তর পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতে দুর্গা পূজা নেই। মা দুর্গার আরাধনা বিশেষ ধুমধামে করা হয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে।
তুলনামূলক ধর্ম তত্তে¡র গবেষক ড. মাইনুল হাসান বলেন, ইদানীং একটি সেøাগান চালু করা হচ্ছে ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’। এটি একটি কঠিন বিভ্রান্তি। কারণ, একটি ধর্মের পূজা অর্চনা, উপাসনা সে ধর্মের অনুসারীদের একান্ত নিজস্ব বিষয়। এ থেকে প্রাপ্ত পুণ্য অর্জন, আনন্দ বা প্রাপ্তিও নিঃসন্দেহে তাদেরই। কেননা এক ধর্মের বিশ্বাস ও কর্ম অন্য ধর্মের দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ ও পরিত্যাজ্য হওয়াও সম্ভব। যেমন মুসলমানের গরু কোরবানি তাদের ইবাদত। হিন্দুদের জন্য এটি মহাপাপ বা মাতৃ হত্যার শামিল। ঠিক তেমনি হিন্দুদের দুর্গা পূজা তাদের জন্য উপাসনা হলেও মুসলমানের জন্য মহাপাপ। ক্ষমার অযোগ্য শিরক। অতএব এক ধর্মের ধর্মীয় কাজ-কর্মের সবটুকুই একান্তভাবে সে ধর্মের। এখানে ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ কথাটি উদ্দেশ্যমূলক ও বিভ্রান্তিকর। যদি কেউ বলে ‘চাকরি যার যার, বেতন সবার’ বা ‘বিবাহ যার যার, স্ত্রী সবার’ অথবা ‘একাউন্ট যার যার, টাকা সবার’। এসব কথার যেমন কোনো অর্থ হয় না, কিংবা তা মেনে নেয়া যায় না, ঠিক তেমনি ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ কথাটিও অন্য ধর্মের অনুসারীদের বেলায় প্রযোজ্য হতে পারে না। মানবিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে একটি কাজ সব ধর্মের হতে পারে, কিন্তু ইবাদত উপাসনা বা পূজার ক্ষেত্রে সবাইকে একাকার করার চেষ্টা একটি গর্হিত অপরাধ। কোনো মুসলমান যদি তার কোরবানির গরুর উৎসবে, গোশত খাওয়ায় বা তাকবির পড়ায় অন্য ধর্মের লোকদের শরিক হতে আহŸান করে; তাহলে এটি যেমন অন্যায় হবে ঠিক তেমনি পূজার দিনগুলোতে দেবীর আরাধনায়, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে এমনকি ধর্মসঞ্জাত উৎসবে ঈমানদার মুসলমানদের অংশ নিতে বলা একই ধরনের অন্যায় ও বাড়াবাড়ি। ইদানীং কেন জানি গুরুত্বপূর্ণ অনেকেই ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ স্লোগানটি বারবার উচ্চারণ করছেন। এর দ্বারা সকল ধর্মের বৈশিষ্ট্য ও স্বকীয়তা আহত হচ্ছে।
বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানা ইনকিলাবকে বলেন, আমি একজন অসাম্প্রদায়িক চেতনার লোক। নিজে ধর্মীয় অনুশাসন মানার চেষ্টা করি। অন্য ধর্মকে ও ধর্মের লোকদের প্রতি আমাদের আচরণ ও সম্প্রীতি ইসলামই আমাদের শিক্ষা দিয়েছে। ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে সব ধর্মের লোক যে শান্তি ও নিরাপত্তা নিয়ে আমরা বসবাস করি এর নজির সারা দুনিয়ায় কমই আছে। কিন্তু অন্য ধর্মের দেব-দেবীকে পূজা করা অথবা তাদের উদ্দেশ্যে আরাধনা করা আমার জন্য হারাম। ধর্মীয় উৎসবে পরস্পরে সৌজন্য বিনিময়ও চলে কিন্তু ধর্ম সংক্রান্ত কোনো উৎসব, প্রার্থনা, আচার, প্রসাদ বা রীতি ঈমানদারের জন্য ইসলাম নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। অর্থাৎ অন্য ধর্মের পূজায় যোগদান বা যে কোনোভাবে অংশগ্রহণ ইসলাম বৈধ নয়।
কথা হয় দীনি শিক্ষাবোর্ডের ফতওয়া বিভাগের সাথে। পরিচালক মুফতি আহমদুল হক বলেন, ইসলামের দৃষ্টিতে ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ কথাটি গ্রহণযোগ্য নয়। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেন, হে ইসলামে অবিশ্বাসীরা, তোমরা যাদের (অসংখ্য দেব-দেবী, বস্তু ও কাল্পনিক শক্তির) উপাসনা করো আমি তাদের উপাসনা করি না। তোমরাও তার (একমাত্র আল্লাহর) উপাসনা করো না যার উপাসনা আমি করি। তোমাদের শেষ ফল তোমরা ভোগ করবে, আমার শেষফল আমার হবে। (পারা ৩০, সূরা ১০৯)। মহানবী সা: বলেছেন, (মান তাশাব্বাহা বি কাওমিন ফাহুয়া মিনহুম) যে অন্য ধর্মের রীতিনীতি অনুসরণ বা তাদের মতো জীবন ধারণ করে সে তাদেরই অন্তভর্‚ক্ত (আমার উম্মত নয়)। অন্য হাদীসে বলেছেন, (মান কাস্সারা সাওয়াদা কাওমিন ফাহুয়া মিনহুম) যে মুসলমান অন্য ধর্মের পূজা বা ধর্মীয় উৎসবে যোগ দিয়ে তাদের সমাবেশকে সমৃদ্ধ করে সে তাদেরই অন্তভর্‚ক্ত (মুসলমান সমাজভুক্ত নয়)।
বিশিষ্ট ইসলামী সংগঠক ও মুফাস্সিরে কুরআন মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব বলেন, ধর্মীয় অঙ্গনের সর্বজন শ্রদ্ধেয় মুরব্বি আল্লামা শাহ আহমদ শফী কয়েক বছর আগেই এই স্লোগানটিকে নাকচ করেছিলেন। দুঃখজনক হলেও এটি অনেক মুসলমান উচ্চারণ করছেন। দেশের সব আলেম-উলামা-মুফতি ও পীর-মাশায়েখের সাথে আমার সম্পর্ক আছে। তারা সবাই ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ এ স্লোগানটি নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন। ইসলামবিরোধী এ বার্তাটি ইচ্ছাকৃতভাবে বারবার বলা হচ্ছে যাতে মুসলমানরা মূর্তিপূজা বা শিরকের সাথে উৎসবের নামে হলেও জড়িয়ে পড়ে। এটি বড় ধরনের কুফুরি আগ্রাসন। মুসলমানদের সচেতনভাবে শিরক থেকে দূরে থাকতে হবে। মূর্তিপূজা ও তার অনুসঙ্গ থেকে সতর্কতার সাথে বাঁচতে হবে। এ বিষয়ে ইসলামের বিধান আলোচনার জন্য তিনি দেশের সব ইমাম, খতিব, আলেমদের অনুরোধ জানান। সব বক্তা ও আলোচকদেরও এ বিষয়ে অধিক হারে কথাবার্তা বলার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। অন্য ধর্মের মানুষের অধিকার রক্ষায় মুসলমানরা সর্বস্ব দিতে পারে, বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যার জলন্ত প্রমাণ। কিন্তু মুসলমানরা ঈমান হারা হয়ে যায় এমন কোনো উৎসব বা সংস্কৃতির আগ্রাসন তৌহিদি জনতা মেনে নেবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।