পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পদ্মা নদীতে বসল সেতুর পঞ্চম স্প্যান। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে একটার দিকে নদীর দক্ষিণ প্রান্তে ৪১ ও ৪২ নম্বর খুঁটির ওপর স্প্যানটি বসানো হয়। এর মধ্য দিয়ে মানুষের সেতুর পৌনে এক কিলোমিটার দৃশ্যমান হলো।
সেতুর পঞ্চম স্প্যান বসানো হয়েছে, শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা এলাকায়। এই স্প্যানটিই জাজিরা প্রান্তের তীরের দিকের শেষ স্প্যান। পদ্মা সেতু প্রকল্পের উপসহকারী হুমায়ুন কবীর প্রথম আলোকে বলেন, ১৫০ মিটার দীর্ঘ এই স্প্যান আজ বেলা পৌনে একটার সময় বসানো হয়েছে। স্প্যানটি ৪১ ও ৪২ নম্বর পিলারের (খুঁটি) ওপর বসানো হওয়ায় পদ্মা সেতুর ৭৫০ মিটার দৃশ্যমান হলো।
পদ্মা সেতু প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে প্রস্তুত করার পর বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে ভাসমান ক্রেনটি ধূসর রঙের স্প্যানটি নিয়ে জাজিরার দিকে রওনা দেয়। ওই দিন সন্ধ্যায় স্প্যানটি ৪১ নম্বর খুঁটির কাছে নোঙর করে রাখা হয়। আজ সকাল সাতটা থেকে স্প্যানটি ৪১ ও ৪২ নম্বর খুঁটির ওপর বসানোর কাজ শুরু হয়।
পদ্মা নদীতে ৪১ নম্বর খুঁটিই হচ্ছে সেতুর শেষ খুঁটি। এর পর ৪২ নম্বর খুঁটি জাজিরার নাওডোবায় নদীর পাড়ে। সে জন্য নির্বিঘ্নে স্প্যান বসানোর জন্য ৪১ ও ৪২ নম্বর খুঁটির মাঝে কিছু অংশ খনন করা হয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, সকালে স্প্যানটি যখন খুঁটিতে বসানো হচ্ছিল তখন পদ্মা নদীতে প্রচণ্ড ঢেউ ও স্রোত হচ্ছিল। ঢেউ আর স্রোত উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ ফেরি,লঞ্চ ও স্পিডবোটে পদ্মা পার হচ্ছিল। তাঁদের অনেকে নৌযান থেকে নেমে তীরে দাঁড়িয়ে সেতুর স্প্যান বসানোর দৃশ্য দেখেন।
২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর এ বছরের ২৮ জানুয়ারি ৩৮ ও ৩৯ নম্বর খুঁটিতে বসানো হয় দ্বিতীয় স্প্যান। গত ১১ মার্চ ৩৯ ও ৪০ নম্বর খুঁটির ওপর বসে তৃতীয় স্প্যান। সর্বশেষ ১৩ মে ৪০ ও ৪১ নম্বর খুঁটির ওপর চতুর্থ স্প্যান বসানো হলে সেতুর ৬০০ মিটার দৃশ্যমান হয়।
দ্বিতলবিশিষ্ট পদ্মা সেতু হচ্ছে, মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরার মধ্যে। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য (পানির অংশের) ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। ডাঙার অংশ ধরলে সেতুটি প্রায় নয় কিলোমিটার দীর্ঘ হবে। খুঁটির ওপর ইস্পাতের যে স্প্যান বসানো হবে, এর ভেতর দিয়ে চলবে ট্রেন। আর ওপর দিয়ে চলবে যানবাহন। পুরো সেতুতে মোট খুঁটির সংখ্যা হবে ৪২। একটি থেকে আরেক খুঁটির দূরত্ব ১৫০ মিটার। এই দূরত্বের লম্বা ইস্পাতের কাঠামো বা স্প্যান জোড়া দিয়েই সেতু নির্মিত হবে। ৪২টি খুঁটির ওপর এ রকম ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। এর মধ্যে তিনটি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। স্প্যানের অংশগুলো চীন থেকে তৈরি করে সমুদ্রপথে জাহাজে করে আনা হয় বাংলাদেশে। ফিটিং করা হয় মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে।
বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু প্রকল্পটির যাত্রা শুরু হয় ২০০৭ সালে। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ওই বছরের ২৮ আগস্ট ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেছিল। পরে আওয়ামী লীগ সরকার এসে রেলপথ সংযুক্ত করে ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি প্রথম দফায় সেতুর ব্যয় সংশোধন করে। বর্তমান ব্যয় ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।