পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চীন যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, দক্ষিণ চীন সাগর ও তাইওয়ানের মত বিতর্কিত এলাকায় এক ইঞ্চি ভ‚মির প্রশ্নেও ছাড় দেয়া হবে না। সেখানে ওয়াশিংটনের সামরিক তৎপরতাও মোকাবেলা করা হবে। গত বুধবার বেইজিংয়ের গ্রেট হলে সফররত মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিসের সঙ্গে এক বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। খবর আল জাজিরা, ডেকান হেরাল্ড ও পার্স টুডে।
শি জিনপিং বলেন, চীনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখন্ডতার প্রতি আমাদের অবস্থান সুদৃঢ় ও সুস্পষ্ট। তিনি বলেন, আমরা আমাদের প‚র্বপুরুষদের রেখে যাওয়া ভ‚মির এক ইঞ্চিও হারাব না। তবে অন্যের সম্পদে আমাদের বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই।
ম্যাটিসের সঙ্গে বৈঠকে শি জিনপিং বলেন, বিশ্বে গোলযোগ বাধানোর কোনো ইচ্ছা চীনের একেবারেই নেই। কিন্তু নিজের সীমান্ত রক্ষার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেবে না বেইজিং। দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত এলাকা নিয়ে বিশে^র বৃহত্তম দু’টি অর্থনীতির মধ্যে সৃষ্ট বিভিন্ন ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করার প্রেক্ষাপটে শি জিনপিং এ মন্তব্য করলেন। তার মধ্যে একটি হল মার্কিন নেতৃত্বাধীন রিম অব দি প্যাসিফিক আন্তর্জাতিক সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণ থেকে শেষ মুহূর্তে চীনকে বাদ দেয়া। গত বুধবার থেকে এ মহড়া শুরু হয়েছে। ম্যাটিসসহ অন্যান্য মার্কিন কর্মকর্তা বহুবার বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগর অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক তৎপরতার সমালোচনা করেছেন।
বৈঠককালে শি জিনপিং চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ককে বিশে^ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দ্ব্পিাক্ষিক সম্পর্ক বলে আখ্যায়িত করে বলেন, দু’দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বিশ^ ও আঞ্চলিক শান্তির সহায়ক। শি জিনপিং ও ম্যাটিস দু’দেশের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক বৃদ্ধিসহ সম্পর্ক জোরদার করার আহবান জানান।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের পর এই প্রথম কোনো মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর চীন সফর। গত মাসে দু’টি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ বিতর্কিত প্যারাসেল দ্বীপের ১২ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে প্রবেশ করার ঘটনাকে উস্কানি হিসেবে আখ্যায়িত করে বেইজিং তার প্রতিবাদ জানায়। এ মাসের প্রথম দিকে দক্ষিণ চীন সাগরে ভীতি সৃষ্টির জন্য চীনকে অভিযুক্ত করে বলেন, এ এলাকায় মনুষ্য সৃষ্ট কৃত্রিম দ্বীপে চীনের সামরিকীকরণ মার্কিন খোলানীতি কৌশলের বিরোধী এবং চীনের বৃহত্তর লক্ষ্য সম্পর্কে প্রশ্ন সৃষ্টি করে।
দক্ষিণ চীন সাগরকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে বেইজিং। তাই স্প্রাতিক বছরগুলোতে দক্ষিণ চীন সাগরে কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করে তার উপস্থিতি বৃদ্ধি করেছে। এ সব দ্বীপে ক্ষেপণাস্ত্র ও জঙ্গি বিমানও মোতায়েন করেছে। কিন্তু এই সাগরের কিছু অংশের ওপর মালিকানা দাবি করে ব্রুনাই, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, তাইওয়ান ও ভিয়েতনাম। এই বিরোধে চীনের বিরোধী দেশগুলোর পক্ষ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
দক্ষিণ চীন সাগরে চীন সরকার যেসব কৃত্রিম অবকাঠামো নির্মাণ করছে তাকে অনুপযুক্ত বলে অভিহিত করে থাকে ওয়াশিংটন। অন্যদিকে ওই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক উপস্থিতিকে উস্কানি হিসেবে দেখছে বেইজিং। বিচ্ছিন্ন বহু দ্বীপ, কোরাল রিফ ও লেগুন সম্বলিত দক্ষিণ চীন সাগর অঞ্চল বিশ^ নৌ বাণিজ্যের জন্য গুনুত্বপূর্ণ। এ অঞ্চল মৎস্য সম্পদে সমৃদ্ধ এবং বিপুল তেল ও গ্যাস মজুদ রয়েছে বলে ধারণা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।