বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ার পর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে নিয়ে চলছে নানান সমালোচনা। এরই মাঝে নেতিবাচক আচরণের কারণে শিরোনাম হলেন দলটির অভিজ্ঞ তারকা খেলোয়াড় মেসুত ওজিল। ম্যাচের পরেই ওজিল ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন নিজ দেশের সমর্থকদের সঙ্গে।
বুধবার সুইডেন মেক্সিকোকে উড়িয়ে দিয়েছিল ৩-০ গোলে। অন্যদিকে, জার্মানি অপ্রত্যাশিতভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে হার মানে ০-২ ব্যবধানে। সুইডেন ও মেক্সিকো পরের রাউন্ডে ছাড়পত্র জোগাড় করার পরে মাঠে মুষড়ে পড়েন জার্মান খেলোয়াড়রা। তবে জোয়াকিম লো-র দলের সুপারস্টার ফুটবলারদের চোখে জল দেখেও ক্ষোভ কমেনি সমর্থকদের। আর্সেনালে সপ্তাহে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার ইউরো বেতন পাওয়া ওজিলকে দেখে প্রকাশ্যেই ক্রোধ দেখাতে থাকেন গ্যালারির সমর্থকরা। মধ্যমা দেখাতে থাকেন তাঁরা। ক্রুদ্ধ এক সমর্থক তো সরাসরি ওজিলের কাছে আসতে চাইছিলেন। তবে নিরাপত্তা আধিকারিকরা তাঁকে আটকে দেন।
তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখেই হঠাৎ গানার্স তারকাকে দেখা যায় সজোরে চিৎকার করে সেই সমর্থকদের গালিগালাজ করতে। চোটের কারণে সুইডেন ম্যাচে প্রথম একাদশে জায়গা করে নিতে পারেননি ওজিল। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে শুরু থেকেই দলে ছিলেন তিনি। ম্যাচে অবশ্য খুব একটা খারাপ খেলেননি। সাতটা গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন। চলতি বিশ্বকাপের কোনও একটি ম্যাচে যা কোনও ফুটবলারের পক্ষে সর্বোচ্চ। তবে তাতেও সমর্থকদের রাগ কমেনি। তাঁরা ভিলেন ঠাওরাচ্ছেন তুর্কি বংশোদ্ভূত এই জার্মানকেই।
সোশ্যাল মিডিয়াতেও ওজিল প্রবল বিরোধিতার মধ্যে পড়েন। বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার কিছুদিন আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। বিশ্বকাপের বিদায়ের দিনেও বিতর্ক ছুঁয়ে গেল তারকা মিডফিল্ডারকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।