ম্যাচের ১৪ মিনিটেই বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা তারকা লিওনেল মেসির গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ১-০ তে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পেনাল্টি থেকে দলকে সমতায় ফেরান নাইজেরিয়ার ভিক্টর মোজেজ। ১-১ গোলে ড্রতে এগিয়ে যেতে থাকে ম্যাচটি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে মার্কাস রোহোর গোলে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের মতো ম্যারাডোনাও নিজের উল্লাস থামাতে পারেনি।
ম্যাচ জয়ের পর উল্লাসে নিজের শরীরের অবস্থা আর ঠিক রাখতে পারেননি তিনি। তাই সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তবে তার শরীরের অবস্থা এখন ঠিক আছে বলে তিনি জানান।
ম্যারাডনা বলেন, ‘আমি সবাইকে বলতে চাই যে আমি এখন পুরোপুরিই সুস্থ আছি। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে বিরতির আগেই আমার ঘাড় খুবই ব্যাথা করছিল। ডাক্তারকে দেখালে, সে বলে আমাকে খুব দ্রুতই বাসায় যেতে হবে। কিন্তু ম্যাচের ভাগ্য তখনো নির্ধারণ হয়নি, তাহলে কীভাবে আমি গ্যালারি ছেড়ে যেতে পারি। ম্যাচে যারা আমাদের সমর্থন করেছিল তাদের সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাই।’
তিন ম্যাচে এক জয় ও এক ড্রয়ে চার পয়েন্ট নিয়ে ‘ডি’ গ্রুপের রানার্সআপ হয়ে শেষ ষোলতে পৌঁছে আর্জেন্টিনা। শেষ ষোলতে তারা খেলবে ১৯৯৮-এর বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রান্সের বিপক্ষে।