পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মুহুরি-কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর বেড়িবাঁধের ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় ভাঙ্গন কবলিত ৮টি স্থান দিয়ে পানি ঢুকে দুই উপজেলার নতুন করে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গত সপ্তাহের বন্যায় ক্ষতির রেশ কাটিয়ে না উঠতেই ২য় দফা বন্যায় মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছে।
ভারতের পাহাড়ী ঢলের পানিতে পরশুরাম পৌর এলাকার বাউরখুমা, বাউর পাথর, দুবলাচর, বিলোনিয়া গ্রামের শত শত পরিবার বন্যার হাত থেকে রক্ষা করতে বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের অর্থায়নে ভারতের আমজাদ নগরের শিলাইছড়ি খালের মুখে বাংলাদেশের অংশে একটি সুইসগেইট স্থাপন করে। কিন্তু ভারতের আমজাদ নগরের সুইস গেইটের পুর্ব পাশ্বে মুহুরী নদীর বিশাল ভাঙ্গনের কারনে সুইস গেইট কোন কাজে না লাগায় ভারতের পাহাড়ী ঢলের পানি ঢুকে বাংলাদেশের পৌর এলাকার বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে। পতাকা বৈঠকে ভারতীয় বিএসএফ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ভারতের আমজাদ নগরের সৃষ্ট ভাংঙ্গন স্থান দ্রæত মেরামত করার প্রতিশ্রুতি দেন। জেলা প্রশাসনের তথ্যানুযায়ী, গত সপ্তাহের বন্যায় পরশুরাম উপজেলার ২০ গ্রামে ২২ পরিবার ও ফুলগাজী উপজেলার ১৯ গ্রামে ৩ হাজার ৫’শ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ওই দুই উপজেলার সর্বমোট ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা সাড়ে ৩১ হাজার।
সংশ্লিষ্টসূত্র জানায়, ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর ও বরইয়া অংশের দুটি বাঁধ ভেঙে অন্তত ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়। প্লাবিত গ্রামগুলো হলো-ঘনিয়া মোড়া, উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দৌলতপুর, উত্তর বরইয়া ও দক্ষিণ বরইয়া। এদিকে পরশুরামে পাহাড়ী ঢলের কারণে গত রোববার রাতে দুর্গাপুর এলাকায় মুহুরী নদীর ৪টি স্থানে ভাঙ্গনে উপজেলার রতনপুর, দুর্গাপুর, মির্জানগর, চিথলিয়া গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে কৃষকদের ফসলী জমি, পুকুরের মাছসহ রাস্তাঘাটেরা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থরা জানায়, বন্যায় তাদের ঘরবাড়ি, হাস মুরগী, গরু ছাগলসহ সব ধরনের গবাদি পশু ও খাবারের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়ছে। ভেসে গেছে পকুরের মাছ তলিয়ে গেছে জমির ফসল। তারা বলছেন চিরামুড়ির সাময়িক সহযোগিতা চাই না আমরা চাই প্রয়োজনীয় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কোহিনুর আলম জানান, মুহুরী নদীতে পানি বিপদ সীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টি না হলে পানি কমতে শুরু করবে। পানি কমলে বাধ সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ দিকে পরশুরামের সৃষ্ট বন্যা নিরসনে বিলোনিয়া বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহীনির উচ্চ পর্যায়ের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার দুপুরে বাংলাদেশের বিজিবির ৪ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক ও ভারতের বিলোনিয়ার বিএসএফের অধিনায়কের নেতৃত্বে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে দু’ দেশের পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, সার্ভেয়ার, সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দুই দেশের বিজিবি ও বিএসএফ সহ কর্মকর্তারা বৈঠক শেষে ভারতের আমজাদ নগরে শিলাইছড়ি ভাঙ্গন কবলিত স্থান ও বাংলাদেশের নির্মিত সুইস গেইট পরিদর্শন করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।