পুনরায় যমুনা ব্যাংকের এমডি হলেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ
যমুনা ব্যাংক লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে আরও ৫ বছরের জন্য পুনরায় নিয়োগ পেয়েছেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে পুনঃনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে।
ফিল্টার বিড়ির ওপর থেকে প্রস্তাবিত বাজেটে আরোপ করা ২৫ শতাংশ কর প্রত্যাহার, বিড়ি শিল্পকে কুটির শিল্প ঘোষণা, বিড়ি শ্রমিকদের মজুরী প্রতি হাজারে ১০০ টাকা নির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছেন এমপি ও বিড়ি শ্রমিকরা। গতকাল সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে চলতি বাজেট, বিড়ি শিল্প ও শ্রমিক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তারা এ দাবি জানান। বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন ও গবেষণা উন্নয়ন কালেক্টিভিটি (আরডিসি) যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধান, সাবেক শিল্পমন্ত্রী দীলিপ বড়–য়া, কমিউিনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান খান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এম কে বাঙ্গালী, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রহমান, আরডিসি’র সভাপতি ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মেজবাহ কামাল, আরডিসির সাধারণ সম্পাদক জান্নাত এ ফেরদৌসী। আলোচনায় সভায় ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, অর্থমন্ত্রী সব সময় ধনীদের স্বার্থ রক্ষা করে চলেন। তিনি ১২টি বাজেট দিয়েছেন। এর মধ্যে এই সরকারের আমলে ১০টি আর সামরিক সরকারের আমলে ২টি। এ কারণে জনগণের সরকার এবং সামরিক সরকারের পার্থক্য তিনি বোঝেন না। তার মধ্যে একটি গণবিরোধী চরিত্র রয়েছে। যা এই বাজেটে প্রকাশ পেয়েছে। তিনি দেশকে বিড়ি শিল্পমুক্ত করতে চান। আর দেশের মানুষ তার মতো অর্থমন্ত্রীমুক্ত বাংলাদেশ চান। নাজমুল হক প্রধান বলেন, অর্থমন্ত্রী বিড়ি শিল্প তুলে দিতে উঠে পড়ে লেগেছেন। কারণ, বিড়ি বহুজাতিক কোম্পানীর বিষয় নয়। অর্থমন্ত্রীকে বলতে চাই, আপনার এই স্বপ্ন বিড়ি শ্রমিকরা সফল হতে দেবে না। তারা আন্দোলনের মাধ্যমে তা প্রতিহত করবে। মনজুরুল আহসান খান বলেন, বিড়ি শ্রমিকরা দেশের বড় বড় আন্দোলনের সঙ্গে ছিলেন। সফল হয়েছেন। এবারও সফল হবে। বৈষম্যমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সবাই ঐক্যবদ্ধ হবে বলে আশা করছি। বিড়ি শ্রমিকদের দিকে সরকারকে খেয়াল রাখার আহবান জানাচ্ছি। দীলিপ বড়ুয়া বলেন, ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা লুট হয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রী তেমন কিছু করতে পারছেন না। অথচ তিনি বিড়ি শিল্প তুলে দেয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। কিন্তু বিড়ি শ্রমিকরা তা মানবে না। অতীতের মতো তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে অধিকার আদায় করবে। প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ির ওপর বসানো কর প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।