বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার, চাঁদপুর থেকে : দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইরিগেশন প্রজেক্ট চাঁদপুরের মতলব উত্তর মেঘনা-ধনাগোদা সেচ। পুরো প্রকল্পটি কৃষকের জন্যে আর্শীবাদের বদলে অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেচ প্রকল্পের অভ্যন্তরে পানিবদ্ধতার কারণে মারাত্বক ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষক। ময়লা আবর্জনা এবং খালগুলো অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি সরতে পারছে না। স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ না নেয়ায় প্রতিবছর পানিবদ্ধতায় প্রকল্পের কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতি হয়। পানিবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে সাম্প্রতিক মানববন্ধন করেছে উপজেলার কলাকান্দা ইউনিয়নের ‘পূর্ব হানিরপাড় উন্নয়ন কর্মে যুব সমাজ’ নামে একটি সংগঠন।
প্রতিবছর বর্ষায় বৃষ্টির পানিতে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে মারাত্বক পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। ময়লা-আবর্জনায় এবং অবৈধ দখলের দৌরাত্ব্যে খালগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে খালগুলো দিয়ে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হতে না পারাই পানিবদ্ধতার মূল কারণ। এবারো পানিবদ্ধতার কারণে পাকা বোরো ধান ও সবজির জমির মারাত্বক ক্ষতি হয়েছে। চলতি মৌসুমে ফসল করতে পারছে না কৃষক। ফলে অনাবাদি থাকছে কয়েক হাজার একর জমি।
সরেজমিনে দেখা যায়, কয়েক দিনের বৃষ্টিতে উপজেলার কলাকান্দা, মিলারচর, মাথাভাঙ্গা, পাঁচআনী, নাউরী, হলদিয়া, লুধুয়া, একলাশপুর, জোড়খালী, শিকিরচর, ছেংগারচর, কেশাইরকান্দি, জীবগাঁও, পাঠানবাজার, ঝিনাইয়া, মরাদন, ইসলামাবাদ, অলিপুর, নয়াকান্দি, সুজাতপুর, ঠাকুরচর, রুহিতার পাড়, হানিরপাড়, বদরপুর, বাগানবাড়ি, নিশ্চিন্তপুর, দুর্গাপুর, লবাইরকান্দি, ইসলামাবাদ, ফতেপুরসহ প্রকল্পের বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চলে বৃষ্টির পানিতে পানিবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এ কারণে পাকা ধান, বীজতলা এবং ভুট্টা, আঁখ, সবজি, ফল ও কাঠ গাছের বাগান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মৎস্য খামার তলিয়ে গেছে। ফসলের ব্যাপক ক্ষতি ও ফসলি জমি আবাদ করতে না পারায় কৃষক পরিবার হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। কৃষক প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত পানিবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পায়নি।
এদিকে পানিবদ্ধতা কয়েকদিন ধরে স্থায়ী হলেও পাউবো কর্তৃপক্ষ পানি সরানোর দ্রæত ব্যবস্থা না করায় ফসলহানি ঘটছে। সমস্যা সমাধানে জন্যে তথা পানিবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী সমাধান জরুরি বলে দাবি কৃষকের।
মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনজুর আহমদ বলেন, বিষয়টি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এমপিকে অবগত করা হয়েছে। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।