পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ মেঘনা নদীর মধ্যে জেগে থাকা চরসোনারামপুরে ব্যাপক নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। গত তিনদিনে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে ৬টি বসতঘরসহ গৃহস্থালি অন্যান্য স্থাপনা, হুমকিতে রয়েছে আরও অন্তত ৮-১০টি বাড়িঘর। এছাড়া ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক গাছপালা। বৈদ্যুতিক খুটি ধসে পড়ায় সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে দেয়া বিদ্যুৎ সংযোগও রয়েছে বিচ্ছিন্ন। ভাঙনের কবলে পড়েছে চরের মধ্যে থাকা আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের রিভারক্রসিং টাওয়ারের দুই পাশ।
সরজমিনে চরসোনারামপুর গ্রামে দেখা যায়, মেঘনার ভাঙন তান্ডব এখনও চলছে, ঢেউয়ের তোড়ে টাওয়ারের নিরাপত্তায় দেয়া উত্তর ও পূর্ব পাশের সিমেন্টের ব্লক নদীতে বিলীন হয়ে গেছে এবং দুই পাশের অন্তত ১৫ ফুটের বেশি এলাকায় নদীতে তলিয়ে গেছে। ভাঙন এখনো অব্যাহত থাকায় চরের মানুষ আতংকে রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর নদী ভাঙন হলেও গত কয়েকদিনের ভাঙনে তিন বছরের চেয়ে কয়েকগুন বেশি ক্ষতি হয়েছে। তারা দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় এ চরটি বিলীন হওয়ার আশংকা করছেন তারা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশ (পিজিসিবি) কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে চর ও টাওয়ার এলাকা পরিদর্শন করেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের প্রাথমিকভাবে আর্থিক সহায়তা ও প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে বলে জানিয়েছে ইউএনও অরবিন্দ বিশ্বাস। এদিকের স্থায়ী ও প্রাথমিক প্রতিরক্ষায় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পিজিসিবি কর্তৃপক্ষ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড।
চরবাসী জানায়, সিত্রাং-এর পর থেকে চরের লোকনাথপাড়া ও মধ্যপাড়ায় এলাকার বিভিন্ন অংশে বিশেষ করে চরের পূর্ব ও উত্তর পাশে ভাঙন শুরু হয়। গ্রামের রেবতী দাস, নগেন্দ্র দাস, রাসু দাস, উপেন্দ্র দাস ও বিধবা বিনা রানী দাসের একটি করে বসতঘর, ল্যট্রিন, টিউবওয়েল নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এছাড়া আশপাশের আরো অন্তত ৮-১০টি ঘর নদী ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। চরের মধ্যপাড়ায় শ্বশান এলাকায় ব্যাপক ভাঙন হয়েছে। বেশ কয়েকটি গাছ ও একটি বাড়ির নিরাপত্তা দেয়াল নদীতে তলিয়ে গেছে। এদিকে চরের লোকনাথ পাড়ার পুর্বপাশে রয়েছে আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ জাতীয় গ্রিডের ২৩০ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের রিভারক্রসিং টাওয়ার। টাওয়ার রক্ষায় তিন পাশে (উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব) যে সিমেন্টের ব্লক ও বালি ভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হয়েছিল, প্রচন্ড স্রোতে উত্তর ও পূর্ব পাশের এসব ব্লক ও জিওব্যাগ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনে টাওয়ার এলাকার দু’পাশের প্রায় ১০-১৫ ফুট এলাকা তলিয়ে গেছে। এখনো ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) মো. মঞ্জুর রহমান বলেন, আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
এ ব্যাপারে পিজিসিবি‘র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাইনুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, আমাদের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অবগত করেছেন। গত সপ্তাহে বুয়েটের বিশেষঞ্জ টিম টাওয়ার এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তাদের মতামতের ভিত্তিতে দ্রুত টাওয়ার রক্ষায় স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে কিংবা টাওয়ার প্রতিস্থাপন করার উদ্যোগ নেয়া হবে। তাছাড়া উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে অস্থায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইনকিলাবকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জেলা প্রশাসক স্যার বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের কিছু আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণে উর্ধতন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।