পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যশোর থেকে বিশেষ সংবাদদাতা : সীমান্তবর্তী যশোর জেলার মাদক ব্যবসায় ও বিক্রেতাদের মূল আশ্রয়দাতা ও পৃষ্টপোষকতাকারী হিসেবে প্রায় একশো’ জন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার নাম বেরিয়ে এসেছে গোয়েন্দা তথ্যে। মাদকের সাথে সম্পৃক্ত জনপ্রতিনিধিদের তালিকা চূড়ান্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। যাদের মধ্যে রয়েছে পৌর মেয়র, জেলা পরিষদ সদস্য, ইউপি চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, ও ইউপি সদস্য। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যশোরের পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমান বিপিএম, পিপিএম (বার) তাদের রেখেছেন নজরদারিতে। তিনি বলেছেন, যে কোন সময় তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হবে। সুত্র জানায়, যশোর জেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চেক ক্রস চেকে মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছে ওইসব জনপ্রতিনিধিরা গোটা জেলার মাদক নিয়ন্ত্রণ করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।
যশোরের পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমান গত প্রায় চার বছর ধরে জেলাব্যাপী মাদক নির্মূলে ক্র্যাশপ্রোগ্রাম, মাদক ব্যবসায়ীদের ছবিসহ পোস্টার ও লিফলেট বিলি, তাদের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টি, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ-ছাত্র কাউন্সিলিং, মাদক স¤্রাটদের আস্তানা গুড়িয়ে সেখানে গাছ রোপন, আত্মসমর্পণের সুযোগ দেয়া, ‘এসড্রাইভ’ ও ‘ডোর টু ডোর’ প্রোগ্রাম, বøক রেইড, মাদক সন্ত্রাসীদের সন্ত্রস্ত করা, মাদক পরিহারকারীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থাসহ বহুমুখী কর্মসুচী গ্রহণ করে যথেষ্ট সফল হয়েছেন। এ পর্যন্ত মাদক ব্যবসায়ী ১৯জন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। মাদক বিক্রেতা আটক হয়েছে ২হাজার ৮শ’। মাদক মামলা হয়েছে সহ¯্রাধিক। সেইসব অভিযানের সময়ে তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে গোয়েন্দারা জনপ্রতিনিধিদের তালিকা তৈরী করে বলে দায়িত্বশীল সুত্র জানায়। গোয়েন্দা ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, চুড়ান্ত করা তালিকার মধ্যে যশোর কোতয়ালী মডেল থানার আওতাধীন ১৩ জন, বাঘারপাড়ায় ৭ জন, মনিরামপুরে ১৬ জন, শার্শায় ৭ জন, ঝিকরগাছায় ৪ জন, অভয়নগরে ১১ জন চৌগাছায় ১১ জন, কেশবপুরে ৬ জন ও বেনাপোলে ৮জন। তারা বেশীরভাগই মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয়দাতা বাকিরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন বলেও অনুসন্ধানে বের হয়েছে।
পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমানের সঙ্গে দৈনিক ইনকিলাব থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসব তথ্যের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, যশোর জেলায় প্রভাবশালী কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা যে সর্বনাশা মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করে এই তথ্যপ্রমাণ পেয়ে আমি হতবাক হয়েছি। তিনি বলেন মাদক সম্পৃক্ততাকারীরা রেহাই পাবে না। যে দলের বা মতের হোক না কেন তারা দেশ ও জাতির শত্রæ যারা, তাদের ব্যাপারে বিন্দুমাত্র আপোসের সুযোগ নেই। এসপি আনিস জানান, মাদক ব্যবসায়ী, মাদক বিক্রেতা ও নিয়ন্ত্রণকারী গডফাদার জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে লাগাতর অভিযান চলবে জেলা থেকে মাদক নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।