পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
রিয়েল স্টেট প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা গত কয়েক বছর ধরে ভালো যাচ্ছে না। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা, বাংলাদেশে ভূমির উচ্চমূল্য এবং ফ্ল্যাট নিবন্ধনের ওপর উচ্চহারে মূল্য সংযোজন কর, মূলধনী লাভ এবং নিবন্ধন ফি দায়ী। অর্থ বিল বা বাজেট ২০১৫-১৬- তে ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে ১১০০ বর্গফুট পর্যন্ত আয়তনের ক্ষেত্রে ভূমি ও ফ্ল্যাটের মূল্যের ওপর ১.৫ শতাংশ হারে, ১৬০০ বর্গফুট পর্যন্ত ফ্ল্যাটের আয়তনের ক্ষেত্রে ২.৫ শতাংশ হারে এবং ১৬০০ বর্গফুটের বেশি আয়তনের প্লটের ক্ষেত্রে ৪-৫ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর ধার্য করা হয়েছে। পাঁচ শতাংশ হারে রেজিস্ট্রেশন ফি, পাঁচ শতাংশ হারে মূলধনী লাভ এবং পাঁচ শতাংশ হারে স্ট্যাম্প ডিউটি পরিশোধ করে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। কোনো লোক যখন ভূমি ক্রয় করে, রেজিস্ট্রেশন করে তাকে মূল্য সংযোজন কর প্রদান করতে হয় না। কোনো ভূমি মূল্যের ওপর পাঁচ শতাংশ হারে রেজিস্ট্রেশন ফি, পাঁচ শতাংশ হারে মূলধনী লাভ এবং পাঁচ শতাংশ হারে স্ট্যাম্প ডিউটি পরিশোধ করতে হয়। যখন ওই লোক তার ক্রয়কৃত ভূমির ওপর ইমারত নির্মাণ করেন, তার নির্মাণ ব্যয়ের ওপর পৃথকভাবে মূল্য সংযোজন কর, রেজিস্ট্রেশন ফি, মূলধনী লাভ এবং স্ট্যাম্প ডিউটি প্রদান করতে হয় না। বর্তমানে আবাসগৃহ নির্মাণে উপযুক্ত ভূমির মূল্য অত্যন্ত বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় অধিকাংশ লোক ভূমি ক্রয় করে ইমারত নির্মাণ করতে পারে না। এমন অবস্থায় লোকেরা একই ভূমির ওপর নির্মিত ইমারতে একাধিক ফ্ল্যাট থেকে একটি ফ্ল্যাট ক্রয়ের চেষ্টা করছে। যারা ফ্ল্যাট ক্রয় করেন তাদেরকে সংশ্নিষ্ট ফ্ল্যাটের জন্য ভূমির অংশের এবং ফ্ল্যাট উভয় মূল্যের ওপর মূল্য সংযোজন কর, রেজিস্ট্রেশন ফি, কর এবং স্ট্যাম্প ডিউটি প্রদান করে মালিকানা রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। এ ব্যবস্থাটি বৈষম্যমূলক।
মো. আশরাফ হোসেন
রমনা, ঢাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।