বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
এই বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত কোনো দল পিছিয়ে পড়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে জিততে পারেনি। শেষ পর্যন্ত সেই প্রথমের কীর্তি গড়ল সুইজারল্যান্ড। তাও কী নাটকীয়ভাবেই!
শুরুতেই পিছিয়ে পড়া দলকে পথ দেখালেন গ্রানিত জাকা ও জেরদান সাকিরি। তাদের দ্বিতীয়ার্ধের দুই গোলে সার্বিয়াকে হারাল সুইজারল্যান্ড। কালিনিনগ্রাদে ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচে ২-১ গোলে জেতে সুইজারল্যান্ড। শুরুতেই সার্বিয়াকে এগিয়ে নেন আলেকসান্দার মিত্রোভিচ। দ্বিতীয়ার্ধে জাকা সমতা ফেরানোর পর দলকে অসাধারণ এক জয় এনে সাকিরি।
এটা সুইসদের প্রথম জয়, পয়েন্ট হলো ৪। ৪ পয়েন্ট আছে ব্রাজিলেরও, আর সার্বিয়ার প্রথম ম্যাচে জয়ের পর ৩ পয়েন্টই রইল।
অথচ আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ভরা দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচের শুরুটা করেছিল সার্বিয়াই। ৪ মিনিটেই আলেকজান্ডার মিত্রোভিচের দুর্দান্ত হেড ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সুইজারল্যান্ডের গোলরক্ষক সমার। কিন্তু এক মিনিট পরেই মিত্রোভিচের পরের হেড আর ফিরিয়ে দিতে পারলেন না। টাডিচের ক্রস থেকে তাঁর দুর্দান্ত হেড চলে যায় জালে। ৫ মিনিটের মাথায় সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ১-০ গোলের লিড নিল সার্বিয়া।
ওই গোল খাওয়ার পর ধীরে ধীরে খেলায় ফেরার চেষ্টা করে সুইজারল্যান্ড। ব্লেরিম জেমাইলি দুইটি সুযোগ পেয়েছিলেন। একবার তাঁর শট একটুর জন্য চলে যায় পোস্টের পাশ ঘেঁষে। আর ৩২ মিনিটে বক্সের ভেতর ঢুকেও যে শট করেছেন, সেটা ঠেকিয়ে দিয়েছেন সার্বিয়া গোলরক্ষক।
৩৭ মিনিটে বক্সের ঠিক বাইরে থেকে টাডিচ শট করেছিলেন, কিন্তু সেটা সরাসরি চলে যায় গোলরক্ষক সমারের হাতে। ৪৪ মিনিটে দারুণ একটা সুযোগ পেয়েছিল সার্বিয়া। কিন্তু সেখান থেকে একটুর জন্য মাথা ছোঁয়াতে পারেনি টসিচ, আর মাতিচ পা লাগিয়েও গোলে রাখতে পারেননি। এক মিনিট পরেই টাডিচের বাঁ পায়ের দুর্দান্ত শট একটুর জন্য চলে যায় পোস্টের ওপর দিয়ে।
বিরতি থেকে ফিরে ৫৪ মিনিটে সেই কাঙ্খিত গোলের দেখা পেয়ে যায় সুইজারল্যান্ড। ডান দিকে বল পেয়েছিলেন জের্দান শাকিরি, তাঁর শট ফিরে আসে সার্বিয়ার ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে। ফিরতি বলটা বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের বুলেট শটে জালে জড়িয়ে দেন আর্সেনাল মিডফিল্ডার গ্রানিত শাকা। ৫ মিনিট পর এবার এগিয়েই যেতে পারত সুইজারল্যান্ড, কিন্তু বক্সের ভেতরে শাকিরির বাঁ পায়ের দুর্দান্ত শট পোস্টে লেগে চলে যায় বাইরে। ৬৬তম মিনিটে মিত্রোভিচকে দুই সুইস ডিফেন্ডার বক্সের ভেতর ফাউল করেছেন বলে মনে হলেও পেনাল্টির বাঁশি বাজাননি রেফারি।
ম্যাচের শেষ দিকে (৮২ মিনিটে) ব্রিল এম্বোলোর নেওয়া শট ফিরিয়ে দিয়েছেন স্টয়কোভিচ। খানিক পরেই সার্বিয়ার ইভানোভিচ ক্লিয়ার করতে গিয়ে আরেকটু হলেই জালে জড়িয়ে দিয়েছিলেন বল। শেষ পর্যন্ত শেষ রক্ষা অবশ্য হয়নি সার্বিয়ার।
নির্ধারিত সময়ের খেলা প্রায় শেষ। সার্বিয়ান খেলোয়াড়েরা গোলের জন্য সবাই ওপরে উঠে গিয়েছিলেন। হাফলাইনে দারুণ এক থ্রু খুঁজে নিল শাকিরিকে, দারুণ দৌড়ে ডিফেন্ডার টসিচ ও গোলরক্ষককে কাটিয়ে বাঁ পায়ে শট জড়িয়ে দিলেন জালে। দেশের হয়ে তাঁর ২১ তম গোল এটি, সম্ভবত সবচেয়ে স্মরণীয়ই।
ব্রাজিলের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে বিশ্বকাপ শুরু করা সুইজারল্যান্ড পেল প্রথম জয়। কোস্টা রিকাকে হারিয়ে অভিযান শুরু করা সার্বিয়া জিতলেই চলে যেত দ্বিতীয় রাউন্ডে। সুইজারল্যান্ডের কাছে হেরে পথটা অনেক কঠিন হয়ে গেল তাদের। আগামী বুধবার নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলবে সার্বিয়া। একই সময়ে কোস্টা রিকার মুখোমুখি হবে সুইজারল্যান্ড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।