প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বিনোদন রিপোর্ট: ডা. এজাজুল ইসলাম। ডা. এজাজ হিসেবেই তিনি খ্যাত। দর্শকপ্রিয় অভিনেতা। পেশায় চিকিৎসক হলেও অভিনয়ের প্রতি তার ছোটবেলা থেকেই দুর্নিবার আকর্ষণ। এই আকর্ষণ থেকেই হয়ে ওঠেন অভিনেতা। দর্শকপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তবে মিডিয়ায় দর্শকদৃষ্টি কাড়তে সৌভাগ্য যেমন লাগে তেমনি কারো কারো ম্যাজিক্যাল ছোঁয়া লাগে। ডা. এজাজের সৌভাগ্য হয়েছিল প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হূমায়ুন আহমেদের যাদুর ছোঁয়া পাওয়া। তার ছোঁয়াতেই এজাজ হয়ে ওঠেন একজন দর্শকপ্রিয় অভিনেতা। কেমন করে হূমায়ুন আহমেদের যাদুর স্পর্শ পেলেন তা নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। ডা. এজাজ বলেন, আমি যখন টেলিভিশনে এনলিস্টেড হই তখন অনেকবার চেষ্টা করেছিলাম টেলিভিশনে কাজ করার। সত্যি কথা বলতে কি, এনলিস্টেড হলেই তো সুযোগ পাওয়া যায় না। ওটা নির্ভর করে রাইটার, প্রোডিউসারের উপরে, যে আমাকে সুযোগ দেবে। এনলিস্টেড হয়ার পরে অনেক চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি, কেউ নেয়নি। তারপরে আবার পড়াশোনা শুরু করলাম। ধরে নিলাম আমার দ্বারা অভিনয় হবে না। রংপুরে মঞ্চে কাজ করেছি, রেডিওতে কাজ করেছি, এগুলো হয়তো ঢাকার সমতুল্য নয়। ঢাকায় যেহেতু থিয়েটার করিনি কেউ আমাকে নিত। ফলে বাদ দিলাম। বাদ দিয়ে তখনকার পিজিতে ভর্তি হলাম নিউক্লিয়ার মেডিসিনে। কোর্স শেষ করে পাস করলাম। তখন আইপিজিএমআরর ডিরেক্টর ছিলেন প্রফেসর করিম। পাস করার পর সার্টিফিকেট উঠানোর জন্য হেড অফ দ্য ডিপার্টমেন্টের একটা সই লাগে। তখন পিজি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিল। করিম স্যারকে খুঁজতে গিয়ে দেখি স্যার নেই। শুনলাম তিনি হূমায়ুন আহমেদের অফিসে। চিন্তা করলাম এই সুযোগে স্যারকে খোঁজার ছুতোয় যদি হুমায়ুন আহমেদের দেখা পাই! ছুটে গেলাম কাকরাইলে। তখন হূমায়ুন স্যারের আফিস ছিল কাকরাইলে আসিফ ম্যানসনে। আমার সৌভাগ্য এটাই যে, স্যার আমাকে প্রথম দেখাই পছন্দ করে ফেলেছিলেন। আমার সঙ্গে তিনি অনেক কথা বলেছিলেন। আমার হেড অফ দ্য ডিপার্টমেন্ট যতটা না কথা বলেছিলেন তার চেয়ে দশগুণ কথা বলেছিলেন হূমায়ুন স্যার। কি কর না কর জিজ্ঞেস করলেন। বললেন, আমি গাজিপুরে শূটিং করতে যাই পারলে আমাকে হেল্প করো। আমি তো সেটা করবার জন্য অধীর হয়ে পড়লাম। তারপর শূটিংয়ে একদিন দুইদিন এমন হেল্প করতে গিয়ে স্যারকে আমার দুঃখের কথাটা জানালাম। নিজে বলার সাহস কখনও ছিল না কারণ স্যারকে আমি খুব ভয় পেতাম। তাই অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টরকে দিয়ে স্যারকে জানালাম। স্যার আমাকে ডেকে বললেন, কেউ তোমাকে সুযোগ দেয়নি, আমি তোমাকে সুযোগ দেবো। একটা সুযোগ দেয়ার পর স্যার ইউনিটের সবাইকে জানালেন, ডাক্তার তো ভাল অভিনয় করে। এই হলো আমার শুরু। ডা. এজাজ বলেন ঢাকায় আসা আমার অভিনয়ের জন্য। আমার বাড়ি গাইবান্ধা, রংপুর মেডিকেলে পড়েছি। তখন কলেজে নাটক করতাম, স্টেজ করতাম, থিয়েটার করতাম। স্বপ্ন ছিল পাস করার পরে ঢাকায় যাবো, চাকুরি করবো, ঢাকায় পোস্টিং নেবো। সিনেমায় টুকটাক কাজ করবো, নাটকেও কাজ করবো। তবে এখন যেখানে আছি, আমার স্বপ্ন এতো বড় ছিল না। আবার খুব বেশি কিছু হয়েছে তা আমি বলব না। কিন্তু যেটুকু উত্থান তা আমার স্বপ্নের চেয়েও বড়। তিনি বলেন, আজ যে অভিনেতা হিসেবে দর্শক আমাকে চেনেন এর যাদুকর হূমায়ুন স্যার। স্যার যাদুকর ছিলেন। স্যারের সাথে থাকলে যে কেউ মুগ্ধ হয়ে যেতেন। তার মধ্যে যাদু ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।