পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : রাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়েছে ৫১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে মাদকের সঙ্গে জড়িত রাঘববোয়ালরা এবারো ফসকে গেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। গতকাল বুধবার সকালে এ অভিযান চালায় ডিএমপি। এর আগে গত ২৬ মে শনিবার র্যাব ও ডগ স্কোয়াডের অভিযানে মাদক ব্যবসা ও সেবনের অভিযোগে ৫০০ জনকে আটক করা হয়। পরে যাচাই-বাছাই শেষে ৩৪৭ জনকে ছেড়ে দিয়ে ১৫৩ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। গতকাল দুপুরে মোহাম্মদপুর থানা ও মহানগর গোয়েন্দার (ডিবি) পুলিশের ৩০০ সদস্য ও ডগ স্কোয়াড নিয়ে তিন ঘণ্টা ধরে অভিযান চালানো হয়। এ সময় আটককৃতদের কাছ থেকে ৭০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
অভিযান শেষে পুলিশের মোহাম্মদপুর জোনের এডিসি ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়। আটক ৫১ জনের মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ দিকে অভিযানের সংবাদ পেয়ে অনেকেই পালিয়ে গেছে। এমনটি কেন হলো? জানতে চাইলে এডিসি বলেন, অভিযানের খবর পেয়ে মাদক বিক্রেতাদের অনেকেই ঘর তালাবদ্ধ করে পালিয়ে গেছে। তাদের পুনরায় এলাকায় ফিরতে দেয়া হবে না।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিযানের আগেই জেনেভা ক্যাম্পের মাদক বিক্রেতাদের তা জানিয়ে দেয়া হয়। অভিযানের আগাম বার্তা পেয়ে মাদক কারবারিরা পালিয়েছে এবং পুলিশ যাদের গ্রেফতার করেছে, তাদের বেশির ভাগই মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এডিসি ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, এভাবে কাউকে কিছু জানানো হয়, এমন কিছু হতে পারে না। কারণ, অভিযানের বিষয়ে আমরাও আগে থেকে কিছু জানতাম না।
জেনেভা ক্যাম্প সূত্র জানায়, মোহাম্মদপুর থানা থেকে একটি পুলিশ কমিটি করা হয়েছে জেনেভা ক্যাম্পে। কমিটির সদস্যরাও ইয়াবা বিক্রির সঙ্গে জড়িত। এই কমিটির সদস্যরাই অন্যান্য ইয়াবা কারবারিদের আগে থেকেই অভিযানের তথ্য দিয়ে থাকেন। অভিযানের সময় একটি তিনতলা ভবনের তালা ভেঙে বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। স্থানীয়রা জানায়, বাড়ির মালিক রাজু। অভিযানের আগাম তথ্য পেয়ে গতকাল রাতেই বাসা ছেড়ে গেছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্র আরো জানায়, রাজু জেনেভা ক্যাম্পের অন্যতম ইয়াবা বিক্রেতা ইশতিয়াকের ভাই। অভিযানে গ্রেফতার হওয়া আলী আজগর, শাহাজাদা, মানিক, সুমনদের পরিবার সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, তাদের বিনা কারণে আটক করা হয়েছে। আটক সুমনের মা বলেন, আমার ছেলে সিএনজি ঠিক করে। ঘুমাইয়া ছিল। ঘুম থেকে উঠাইয়া নিয়া গেছে। আমার ছেলে খায়ও না, বেঁচেও না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।