Inqilab Logo

রোববার, ২৩ জুন ২০২৪, ০৯ আষাঢ় ১৪৩১, ১৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

‘সিঙ্গেল ডিজিটে’ সুদের হার ব্যাংক উদ্যোক্তাদের বৈঠক

জুলাই থেকে কার্যকর

| প্রকাশের সময় : ২১ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম


অর্থনেতিক রিপোর্টার : কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাপের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের দীর্ঘ দিনের দাবির প্রেক্ষিতে গত বছর ঋণের সুদ এক অংকের ঘরে নেমে এসেছিল। তবে চলতি বছরের শুরুতে ব্যাংকের তারল্য সংকটে (নগদ টাকা) তা আবার দুই অংকের ঘরে চলে যায়। বেশি সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে দাবি করে আসছিলেন উদ্যোক্তারা। এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাংক ঋণ ‘সিঙ্গেল ডিজিটে’ রাখার ব্যাপারে নির্দেশনা দেন। নির্দেশনা অনুযায়ী ঋণের সুদহার কমানোর ঘোষণা দিল বেসরকারি ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)। ঋণ ও আমানত উভয় ক্ষেত্রেই সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী মাসের প্রথম দিন থেকে সুদের হারে পরিবর্তন হবে। সব ব্যাংক যথাযথভাবে সিদ্ধান্ত কার্যকর করছে কিনা তা তদারক করা হবে বলেও জানানো হয়। গতকাল বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিএবি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরি বৈঠক থেকে সুদের হারে পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নেয় বিএবি। বৈঠকে বিএবির সদস্যভ‚ক্ত ব্যাংকগুলোর নির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএবি’র চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, আগামী ১ জুলাই থেকে ঋণে সুদের হার নয় শতাংশ ও তিন মাসের আমানতে ছয় শতাংশ সুদ নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বর্তমানে বেসরকারি ব্যাংকগুলো ১৪-১৫ শতাংশ সুদে ঋণ বিতরণ করছে। আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করপোরেট ট্যাক্স ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়। সম্প্রতি বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছিলেন, ঋণে সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার জন্য করপোরেট ট্যাক্স কমানো হয়েছে। এর আগে গত এপ্রিল মাসে ব্যাংকের সিআরআর এক শতাংশ কমিয়ে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জানিয়ে সংগঠনটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মজুমদার আরও বলেন, দেশের অর্থনীতি ও উন্নয়নের ধারা চাঙা করতে ১ জুলাই থেকে তিন মাস মেয়াদি আমানতের সর্বোচ্চ সুদের হার হবে ছয় শতাংশ আর ঋণের সুদহার হবে নয় শতাংশ। এর চেয়ে কোনো ব্যাংক সুদ বেশি নিতে পারবে না। যেসব ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত মানবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমাদের সিঙ্গেল ডিজিটে ঋণের সুদহার নামাতেই হবে। বিএবির সিদ্ধান্ত যদি কোনো ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা (এমডি) না মেনে বেশি সুদে আমানত রাখে তাদের বিরুদ্ধে পরিচালক ও চেয়ারম্যানরা ব্যবস্থা নেবে। এ ক্ষেত্রে যদি কোনো সমস্যা হয় তাহলে আমরা (উদ্যোক্তারা) দেখব। প্রধানমন্ত্রী আমাদের পাশে আছেন। উনি আমাদের সুযোগ-সুবিধা দেখবেন। উনি দেখেও আসছেন। পরিচালকদের মেয়াদ ৬ বছর ছিল উনি ৯ বছর করে দিয়েছেন। এক পরিবার থেকে চারজন থাকার সুযোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, আজ পর্যন্ত কোনো সমস্যার সমাধান হয়নি এমন নেই। ফারমার্স ব্যাংক বিপদে পড়েছে সরকার তাকে উদ্ধার করেছে। কোথাও বাধাগ্রস্ত হলে প্রধানমন্ত্রী এমন এক ব্যক্তি যার কাছে সবার প্রবেশাধিকার আছে। যে কেউ যে কোনো সময় তার কাছে গিয়ে কথা বলতে পারেন। ফলে কেউ কোনো সমস্যায় পড়লে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, গভর্নরের কাছে যাওয়া যাবে।
আগামী ৩০ জুনের মধ্যে সব ব্যাংকের নিজ-নিজ পরিচালনা পরিষদ সুদহার কমানোর সিদ্ধান্ত কার্যকরের উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে উল্লেখ করেন নজরুল ইসলাম মজুমদার। যদিও এ সিদ্ধান্ত কতটুকু কার্যকর হবে সে বিষয়ে অনেক পরিচালক প্রশ্নœ তুলেন। কয়েকজন পরিচালক সঞ্চয়পত্রে ১১ শতাংশের বেশি সুদহার নিয়ে কথা বলেন। তারা বলেন, সঞ্চয়পত্রে সুদহার বেশি থাকাটা সমস্যা না। তবে অনেক ব্যবসায়ী এখন সঞ্চয়পত্রে টাকা খাটাচ্ছে। সঞ্চয়পত্রের এ অপব্যবহার বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহার কমাতে হবে।
নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, বেসরকারি খাতের সব চেয়ে বড় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ সিঙ্গেল ডিজিটে ঋণ বিতরণের ঘোষণা দিয়েছে। আল-আরাফাহ ইসলামী, এসআইবিএল, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ও ইউনিয়ন ব্যাংকও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে পাঁচটি ব্যাংক সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা পুরো ব্যাংক খাতের ৪০ শতাংশ। এসব ব্যাংক সিদ্ধান্ত নিতে পারলে আমরা কেন পারবো না। সর্বসম্মতিক্রমে নেয়া সিদ্ধান্তের পরও এক ব্যাংক থেকে বেশি সুদ দিয়ে আরেক ব্যাংক টাকা নিয়ে গেলে কঠোর ব্যবস্থ’া নেয়া হবে। এটা যেন না হয় সেটা দেখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে বলা হবে। এ রকম হলে ওই ব্যাংকের এমডির বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থ’া নেয়া হবে। বিএবি চেয়ারম্যান বলেন, অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এখনও ১২ থেকে ১৩ শতাংশ সুদে আমানত নেয়ার জন্য এসএমএস দিচ্ছে। ওইটা না কমালে ব্যাংকের টাকা সেখানে চলে যাবে। এ বিষয়ে গভর্নরকে বলা হয়েছে। তিনি বিষয়টি দেখবেন। তিনি বলেন, ব্যাংক স্বাভাবিক গতিতে চলবে। লাভও করবে, বিনিয়োগও বাড়াবে। এখন বাংলাদেশে এমন কোনো ব্যবসা নেই, যেখানে ১৫-১৬ শতাংশ লাভ করা যায়। ফলে ১৪-১৫ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে কেউ টাকা ফেরত দিতে পারবে না। তাতে ব্যাংক অচল হয়ে যাবে। জাতীর স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, উন্নয়নের স্বার্থে, ব্যবসায়ীদের স্বার্থে সুদহার কমানো সময়ের দাবি।
ইউনিয়ন ব্যাংকের পরিচালক ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এ সময় সুদহার কমানোর এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করেন। জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ভ‚মিকা রাখছে বেসরকারি খাত। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আজ সাড়ে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিকে যাচ্ছে। তিনি চাচ্ছেন বিনিয়োগবান্ধব প্রবৃদ্ধি হোক। আর এজন্য সবার আগে দরকার সুদহার কমানো।
এনআরবি গেøাবাল ব্যাংক লিমিটেডের (এনজিবি) চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরী বলেন, বৈঠকের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত তবে এখন কম সুদে ঋণ দিলে ব্যাংক ব্যবসায় যে ক্ষতি হবে তা পূরণে কী করা যায় তার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। একই সঙ্গে আমানত সংগ্রহে যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা হয় তা বন্ধের দাবি জানান তিনি। সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও পরিচালক আজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংকগুলো একদিকে কম সুদে আমানত নিতে পারছে না। অন্যদিকে বেশি সুদে ঋণ দিলে ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। এখন আমরা ব্যাংক ঠেকাব নাকি ব্যবসা ঠেকাব-এ নিয়ে চিন্তায় আছি। বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। তাই সুদহার নির্ধারণের আগে ঋণ আমানতে সুদহারের ব্যবধান তথা ¯েপ্রড কি হবে সে সিদ্ধান্তও নেয়া উচিত।
এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংকের চেয়ারম্যান তমাল এস এম পারভেজ বলেন, ব্যাংকের সুদহার কমানোর পাশাপাশি সঞ্চয়পত্রের দিকে নজর দিতে হবে। এখানে সুদহার বেশি তাই অনেক ব্যবসায়ী সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করছেন। এটি বন্ধ করতে হবে। তা না হলে ব্যাংকের সুদহার কমিয়ে লাভ হবে না।
ব্যাংক এশিয়ার চেয়ারম্যান এ. রউফ চৌধুরী বলেন, অবশ্যই সুদহার কমাতে হবে। ব্যাংকের ওপর কর্পোরেট কর কমানো হয়েছে। এটা ভালো উদ্যোগ। তবে ব্যাংকের জন্য এখন সব চেয়ে বড় সমস্যা হিসাবে দেখা দিয়েছে খেলাপি ঋণ। নানা জালিয়াতির মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান টাকা নিয়ে চলে গেছে। এদের কীভাবে জব্ধ করা যায় সরকারকে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এদিকে গতকাল সরকারি ব্যাংকগুলোও সুদের হার কমানোর জন্য বৈঠক করেছে। বৈঠকে ঋণের সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। জানতে চাইলে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ শামস উল ইসলাম বলেন, ১ জুলাই থেকে ঋণের সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনা হবে।
উল্লেখ্য, ব্যাংক ঋণের সুদহার কমে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে এক অংকের ঘরে নেমে আসে। তবে নগদ টাকার টানাটানির ফলে গত বছরের শেষ দিক থেকে বেড়ে আবার ১২ থেকে ২২ শতাংশে উঠেছে। আর একই সঙ্গে আমানতের সুদহার বেড়ে ৮ থেকে ১৩ শতাংশে উঠে। বাড়তে থাকা সুদহার কমানোর লক্ষ্যে গত ১৫ এপ্রিল থেকে ব্যাংকগুলোর বিধিবদ্ধ নগদ জমা (সিআরআর) সংরক্ষণের হার কমিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর সরকারি আমানতের অর্ধেক বেসরকারি ব্যাংকে রাখার সুযোগ দেয়া হয়েছে। এরপরও সুদহার বাড়তে থাকায় ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সা¤প্র্রতিক এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে নামানোর কথা বলেন।
এফবিসিসিআই’র অভিনন্দন
আগামী ১ জুলাই থেকে বিনিয়োগ ঋণে সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকটির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এফবিসিসিআই পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইসলামী ব্যাংককে অভিনন্দন জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের উন্নয়নের ক্রমবর্ধমান ধারাকে উৎসাহিত ও বেগবান করতে বিনিয়োগ ঋণে সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ইসলামী ব্যাংককে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছে এফবিসিসিআই। ব্যাংক সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দ্রæত তা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছে এফবিসিসিআই নেতারা।
এতে আরো বলা হয়, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে অভিযাত্রার এই গৌরবময় মুহুর্তে দেশে যখন ব্যাপক ও বহুমাত্রিক উন্নয়ন কর্মকান্ড চলছে-বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের অন্যতম পূর্বশর্ত বিনিয়োগ ঋণের সুদহার কমিয়ে আনা। তাতে বিনিয়োগকারী ব্যবসায়ীরা উৎসাহিত হবেন। ইসলামী ব্যাংকের পাশাপাশি অন্যান্য ব্যাংকও ব্যবসা ও শিল্প-বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি, নতুন উদ্যোক্তা তৈরি এবং আমদানি-রফতানি কার্যক্রমকে গতিশীল করতে ঋণে সুদহার কমিয়ে আনবে বলেও ব্যবসায়ী নেতারা আশা করছে। অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টিতে বিশেষ নজর রাখবে বলে প্রত্যাশা করছে ব্যবসায়ীরা। এফবিসিসিআই’র পক্ষ থেকে আরো বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মকান্ড আন্তর্জাতিক মহলে দারুণভাবে প্রসংশিত হচ্ছে। বাংলাদেশ আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের মর্যাদা লাভ করবে বলে এফবিসিসিআই দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্যাংক

৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ