পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মোঃ হেদায়েত উল্লাহ, টঙ্গী থেকে : গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ২০দলীয় জোট মেয়র পদপ্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার গতকাল মঙ্গলবার পূর্বাহ্নে নগরির গাছা (পূর্ব) অঞ্চলের ৩২, ৩৩, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইশড্ডা, জাঝর, অ্যারাবিয়ান গার্মেন্ট, বটতলাসহ বিভিন্ন এলাকায় এবং অপরাহ্নে টঙ্গী (পূর্ব) এলাকার টিন্ডটি, শিলমুন, মরকুনসহ সংলগাœ এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা করেন।
পথসভায় হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, নির্বাচনে কারচুপি হলে আওয়ামী লীগের শিকড়ে নাড়া লাগবে। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী অতিরিক্ত মাত্রায় ওয়াদা দিচ্ছেন। ডাবল রেল লাইন ও চলমান বিআরটিসহ জাতীয় প্রকল্পগুলোকে স্থানীয় সরকারের প্রকল্প হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছেন। স্থানীয় সরকারের ক্ষমতা, পরিধি ও স্থানীয় সরকার আইন সম্পর্কে ন্যূততম ধারণা থাকলে তিনি এসব ওয়াদা দিতেন না। তিনি এমন কিছু ওয়াদা দিচ্ছেন যা প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতাকেও হার মানাচ্ছে। জাহাঙ্গীর আলম কথায় কথায় কেন্দ্রীয় সরকারের কথা বলছেন। কিন্তু সিটি করপোরেশনের মতো স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ করার কোন সুযোগ নেই। নিজের যোগ্যতা বলেই স্থানীয় সরকার পরিচালনা করতে হয়। নিজের যোগ্যতা না থাকলে কেন্দ্রীয় সরকার এসে স্থানীয় সরকার পরিচালনা করবে না। স্থানীয় খাত থেকে রাজস্ব আহরণের যোগ্যতা ও ধারণা থাকতে হবে এবং স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করতে হবে। পথসভা ও গণসংযোগে হাসান উদ্দিন সরকারের সাথে ছিলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, সিনিয়র সহসভাপতি সালাহ উদ্দিন সরকার, জেলা হেফাজতে ইসলামীর যুগ্ন সম্পাদক মুফতি নাসির উদ্দিন, মোশরাফ হোসেন খান, সাখাওয়াত হোসেন সেলিম, মনিরুজ্জামান লাবলু, ফারুক হোসেন খান, ইঞ্জিনিয়ার ইদ্রিস খান, জাহাঙ্গীর হাজারী, মোশারফ হোসেন ভূইয়াসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। হাসান সরকারের গণসংযোগে জনতার ঢল নামে এবং প্রতিটি পথসভায়ই জনসভায় রুপ নেয়।
সকালে হাসান উদ্দিন সরকারের বাসভবনে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সকল সদস্য ও এজেন্টদের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আলহাজ¦ সালাহ উদ্দিন সরকার দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। এসময় তিনি সকল ধরণের গুজব ও ভয়ভীতি উপেক্ষা করে সর্বাত্মকভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় অবতীর্ণ হওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহŸান জানান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাহবুবুল আলম শুক্কুর, প্রভাষক বসির উদ্দিন আহমেদ, আরিফ হোসেন হাওলাদার, জসিম উদ্দিন বাট, আব্দুর রহিম খান কালা, কসিম উদ্দিন প্রমুখ।
অপরদিকে, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা ৫৭টি ওয়ার্ডে পৃথক পৃথক গণসংযোগ করেন। মঙ্গলবার বিকেলে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের হারিনাল এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এসময় তার সাথে ছিলেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, শামা ওবায়েদ, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, রফিক শিকদার, মীর হালিমুজ্জামান ননী, সোহরাব উদ্দিন, ভিপি জয়নাল প্রমুখ।
আবারো আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ : এদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের আবারো অভিযোগ করেছেন হাসান উদ্দিন সরকার। মঙ্গলবার তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগে বলেন, আমি এ যাবত নির্বাচনী আচরণবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন করে আসছি। অপরদিকে গাজীপুর সিটি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী ও তার সমর্থকেরা একের পর এক আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্ট করছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রতিদ্ব›দ্বী মেয়র পদপ্রার্থী বিধি বর্হিভূতভাবে রঙ্গিন ছবিযুক্ত বিলবোর্ড, ব্যানার, পোস্টার, সাইনবোর্ড মহাসড়কের দুই পাশসহ নগরির বিভিন্ন এলাকায় স্থাপন করেছেন। যা সিটি করপোরেশন নির্বাচন আচরণ বিধিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
অপরদিকে, গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকেই গাজীপুর মহানগর ২নং ওয়ার্ডের কাশিমপুর সিটি কর্পোরেশনের ৫নং আঞ্চলিক কার্যালয় সম্মুখে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে এক প্রচারণা সভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেন মহানগরীর উন্নয়নে নৌকা মার্কায় ভোট দানের আবেদন করছি। বিগত দিনে বিএনপি দলীয় মেয়র গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনকে উন্নয়ন বঞ্চিত করেছেন। এতে করে মহানগরের নাগরিকদের দুর্ভোগ চরমে পৌছেছে। তিনি বলেন, খেটে খাওয়া শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে সুন্দর জীবন-যাপনে একটি সুন্দর শহর উপহার দিতে চান। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সন্তান হিসেবে আমাকে সেবা করার সুযোগটি আমার অভিভাবক হিসেবে গাজীপুরবাসী করে দিবেন। এর পর তিনি পর্যায়ক্রমে কোনাবাড়ি-কাশিমপুর এলাকার ১২টি ওয়ার্ডে লাগাতার নির্বাচনী প্রচারণা চালান। এ সময় স্থানীয় নেতকর্মীদের সাথে এলাকার সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ প্রচারণায় অংশ নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।