Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুতুবদিয়ার ওসিকে যেতে হলো কারাগারে

বাদীকে ম্যানেজেও শেষ রক্ষা হয়নি

| প্রকাশের সময় : ২০ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ষ্টাফ রিপোর্টার : বাদীকে ম্যানেজ করেও শেষ রক্ষা হলো না সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ থানার ওসি আলতাফ হোসেনের। ৫০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির একটি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাকে কক্সবাজার কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মীর শফিকুল আলম। দুদক সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ২০ জুলাই তৎকালীন কুতুবদিয়া থানা পুলিশের ওসি আলতাফ হোসেন ও এসআই এবি এম কামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করে কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ছিন্নি খাইয়ার পাড়া এলাকার ইস্কান্দার মির্জার স্ত্রী জামিলা আকতার। বর্তমানে সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ থানার ওসি হিসেবে আলতাফ হোসেন কর্মরত রয়েছেন।
মামলার এজাহারসূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক অভাব অনটনের কারণে ২০১৪ সালের ১৮ জুন সকালে ছিন্নি খাইয়ার পাড়ায় মৃত নজির আহম্মদের ছেলে উপজেলার ভূমি অফিসের কর্মচারী ফরিদুল আলমকে হত্যা করে তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম ডেজি ও ছেলে অহিদুল আলম (রিয়াদ)। এ ঘটনায় নিহতের মা নুর জাহান বেগম বাদী হয়ে মামলা করতে গেলে কুতুবদিয়া থানা পুলিশের ওসি আলতাফ হোসেন এক লাখ টাকা দাবি করেন। ছেলে হত্যার ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় এসআই এবি. এম কামাল উদ্দিনের মাধ্যমে আলতাফ হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা দেন ওই বৃদ্ধা। কিন্তু ওসি আলতাফ হোসেন নুর জাহানের দায়ের করা এজাহারটি আমলে নেয়নি। উল্টো নিহতের ছেলে মোহাম্মদ তৌহিদুল আলমের কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ গ্রহণ করে একটি মামলা গ্রহণ করেন। ওই মামলায় নিহতের বৃদ্ধ মা নূর জাহান, নিহতের দুই ভাই ইস্কান্দর মির্জা ও মাহবুব আলমকেও আসামি করা হয়। সেই মামলায় দীর্ঘদিন কারাগারে ছিল দুই ভাই। এ নিয়ে ইস্কান্দর মির্জার স্ত্রী জামিলা আকতার বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে কুতুবদিয়া থানা পুলিশের ওসি আলতাফ ও এসআই এবিএম কামাল উদ্দিনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট আবদুর রহিম বলেন, বাদীর লিখিত অভিযোগ পেয়ে কক্সবাজার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের তৎকালীন সাদিকুল ইসলাম তালুকদার মামলাটি আমলে নিয়ে দুদককে তদন্তের নির্দেশ দেয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১৫ মার্চ ওসি এবং এসআইকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় তদন্ত কর্মকর্তা অজয় ঘোষ। এরপর তাদের বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সেই গ্রেফতারি পরোয়ানা মূলে আদালতে আত্মসমর্পণ করে ওসি আলতাফ হোসেন।
তিনি আরও বলেন, ওসি আলতাফ আত্মসমর্পণের সময় সঙ্গে বাদীকে নিয়ে আসে। বাদী মামলাটি সামাজিকভাবে সুরাহা করা হয়েছে বলে আদালতে লিখিত আবেদন করেছেন। তবে আদালত ওসির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২৬ জুন।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কারাগারে


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ