বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
চিত্রনাট্যটা বলতে গেলে একই। দুইটিই কর্নার, দুবারই একজন ডিফেন্ডার গোলটা সাজিয়ে দিলেন তাঁর জন্য। তবে একজন জাত স্ট্রাইকার যেমন করেন, দুবারই ঠিক জায়গামতো ছিলেন হ্যারি কেইন। সুযোগ দুইটি নিলেন দুই হাতেই (আসলে দুই মাথায়)। শুরুতে একবার আর ম্যাচ শেষের ঠিক আগে আরেকটি গোল করলেন। তিউনিসিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করল ইংল্যান্ড।
আফ্রিকার দুর্ভাগ্যই বটে। এর আগে মিশর, মরক্কো শেষ সময়ের গোলে ম্যাচ হেরেছিল। আজ মনে হচ্ছিল আফ্রিকার কার্থেজ ইগল তিউনিসিয়া অন্তত ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়বে। ম্যাচের ৯০ মিনিট পর্যন্ত স্কোর ১-১, খেলা চলছে অতিরিক্ত সময়ের। আরেকটি কর্নার পেল ইংল্যান্ড, হাওয়া ভেসে আসা বলটা হেড করলেন হ্যারি ম্যাগুইরে। কেনের কাছে গেল তা, ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা ইংল্যান্ড অধিনায়ক বল জড়িয়ে দিলেন জালে। ইংল্যান্ড ডাগআউট ফেটে পড়ল উল্লাসে, আর তিউনিসিয়ার জন্য হলো স্বপ্নভঙ্গ।
অথচ ইংল্যান্ড যেভাবে শুরু করেছিল, মনে হচ্ছিল আজ অন্তত বেশ কয়েক গোল দিয়েই ছাড়বে। ম্যাচের শুরুতেই একটা সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেছেন রাহিম স্টার্লিং, কাছ থেকে বল পেয়েও পারেননি জালে জড়াতে। তবে প্রথম গোলের জন্য খুব বেশিক্ষণ সময় নেয়নি। তিউনিসিয়ার বিপক্ষে এগিয়ে যাওয়ার জন্য মাত্র ১১ মিনিট সময় নিল ইংল্যান্ড। অ্যাশলে ইয়াংয়ের কর্নার থেকে ফাঁকায় পেয়ে দারুণ হেড করেছিলেন জন স্টোনস, সেটা কোনোমতে ফিরিয়ে দেন তিউনিসিয়া গোলরক্ষক। কিন্তু ফিরতি বলটা ঠেকাতে ভুল করেননি ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইন, কাছ থেকে লক্ষ্যভেদে এগিয়ে দেন ইংল্যান্ডকে।
গোলের পর তিউনিসিয়া একটু গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে, ইংলিশ রক্ষণের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে একবার গোল প্রায় দিয়েই ফেলেছিল। শেষ পর্যন্ত সেটা আর হয়নি। তবে প্রথম গোলটা পেয়েছে ইংল্যান্ডের ভুলেই। ৩৪ মিনিটে কাইল ওয়াকার ফাউল করলে পেনাল্টি পায় তিউনিসিয়া। পেনাল্টি বক্সের ভেতর দাঁড়িয়ে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারকে কনুই মারলে সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সেখান থেকে গোল করে দলকে সমতায় আনেন ফেরজানি সাসি। প্রথমার্ধে ইংল্যান্ড এগিয়ে যাওয়ার আরও দারুণ দুইটি সুযোগ পেয়েছিল, কিন্তু দুবারই তা কাজে লাগাতে পারেননি জেসি লিনগার্ড।
বিরতির পর ইংল্যান্ডকে হারানোর জন্য শরীরী কৌশলের আশ্রয় নেয় তিউনিসিয়া। পেনাল্টি বক্সের ভেতর কেইনকে কয়েকবার ফেলে দিয়েছেন বলেও মনে হয়েছিল, কিন্তু রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজাননি। তিউনিসিয়া অবশ্য প্রতিআক্রমণে হুমকি ছড়াচ্ছিল। মার্কাস রাশফোর্ড নামলে ধার বাড়ে ইংল্যান্ডের আক্রমণের। শেষ পর্যন্ত অবশ্য গোলের জন্য সেই সেট পিসেরই আশ্রয় নিতে হয়। আর তাতে নায়ক ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক হ্যারি কেইন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।