বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
বিশ্বকাপে গ্রুপ ‘ই’র ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল কোস্টারিকা-সার্বিয়া। আন্তর্জাতিক অঙ্গণে দু’দলের প্রথম লড়াইটা ১-০ তে জিতে নিয়েছে সার্বিয়া। রাশিয়ার সামারায় জয়সূচক গোলটি করেন সার্বিয়া অধিনায়ক আলেকজান্ডার কোলারভ।
শুরু থেকেই বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমানে সমানে লড়াই চালিয়েছে দুই দল। তবে ম্যাচের প্রথমার্ধে বেশিরভাগ আক্রমনই চালিয়েছে সার্বিয়া। তবে কোনমতেই রিয়াল মাদ্রিদের দক্ষ গোলরক্ষক কেইলর নাভাসকে ফাঁকি দেয়া যাচ্ছিল না।
ম্যাচের ২২ মিনিটে সার্বিয়ার মিডফিল্ডার দুজান তাদিককে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন কোস্টারিকার ডিফেন্ডার ফ্রান্সিসকো সালভো। ২৮ মিনিটে সার্বিয়ার হয়ে গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন নিকোলা মিলিনকোভিচ। কিন্তু অফসাইডের কারণে সে সুযোগ হারান এই ডিফেন্ডার। এরপর দুই দলই গোল করার চেষ্টা করলেও গোল শূন্য থেকেই বিরতিতে যেতে হয় তাদের।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেঈ ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় সার্বিয়া। বিরতির পর মাঠে নেমে তেমন কিছুই দেখাতে পারেনি কোস্টারিকার খেলোয়াড়রা। ম্যাচের ৫০ মিনিটে দারুণ এক সুযোগ সৃষ্টি করেন সার্বিয়া স্ট্রাইকার আলেকজান্ডার মিত্রোভিক। কিন্তু এগিয়ে এসে বলের নিয়ন্ত্রণ নেন কোস্টা রিকা নাভাস। তবে ৬ মিনিট পর অঅসে সেই মহেন্দ্রক্ষণ। মিত্রোভিককে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন কোস্টারিকার ডেভিড গুজম্যান। সেখান থেকে দুরন্ত এক ফ্রি-কিকে ডান প্রান্ত দিয়ে নাভাসকে পরাস্ত করে সার্বিয়াকে এগিয়ে নেন অধিনায়ক আলেকজান্ডার কোলারভ (১-০)।
এরপর ম্যাচের ৬০ মিনিটে কোস্টারিকা ফরোয়ার্ড ইয়োহান ভেনেগাসকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন সার্বিয়া ডিফেন্ডার ব্রানিস্লাভ ইভানোভিক। এক মিনিটের ব্যবধানে ভেনেগাসের বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামেন কোস্টারিকার মিডফিল্ডার ক্রিশ্চিয়ান বোলানস। এরপর ম্যাচের ৬৬ মিনিটে আর্সেনাল স্ট্রাইকার জোয়েল ক্যাম্পবেলের বদলি হিসেবে মাঠে নামান ফরোয়ার্ড মার্কো ইউরেনাকে।
ম্যাচের ৭০ মিনিটে অ্যাদেম এলজাজিকের বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামেন ফিলিপ কোস্তিক। চার মিনিটের ব্যবধানে ডেভিড গুজম্যানের বদলি হিসেবে নামেন ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেস।
ম্যাচের ৮৩ মিনিটে রক্ষণভাগের শক্তি বাড়াতে মিডফিল্ডার দুজান তাদিককে তুলে নিয়ে ডিফেন্ডার আন্তোনিও রুকাভিনাকে মাঠে নামান সার্বিয়ান কোচ। ম্যাচের ৯০ মিনিটে স্ট্রাইকার মিত্রোভিকের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন আলেকজান্ডার প্রিজোভিক।
যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে থ্রো ইন সিদ্ধান্ত নিয়ে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। তবে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শেষ হয় ম্যাচটি।
বিশ্বকাপে কোস্টারিকা চারবার অংশ নিলেও কোনোবারই সেমি ফাইনালে উঠতে পারেনি। দেশটি প্রথম অংশ নেয় ১৯৯০ বিশ্বকাপে। ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলাটাই ছিল কোস্টারিকার সেরা সাফল্য।
বিশ্বকাপে ১১ আসরে অংশ নিয়েছে সার্বিয়া। প্রথম বিশ্বকাপেও (১৯৩০ সালে) অংশ নেয়া দলটি এর মধ্যে শেষ চারে খেলেছে দুইবার (১৯৩০, ১৯৬২ সাল), যেখানে তাদের সেরা সাফল্য চতুর্থ স্থান। ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়া দলটি এই আসরের সূচনা করেছে এই ম্যাচ দিয়েই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।