বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর গোলে পর্তুগালের এগিয়ে যাওয়া, ২৪তম মিনিটে দিয়াগো কস্তার গোলে স্পেনের সমতায় ফেরা। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে ফের দলকে এগিয়ে দেন রোনালদো। বিরতিতে বসেই কি পাল্টা আক্রমণের ছক বষছিলেন কি না কে জানে, মাত্র ১০ মিনিট যেতে না যেতেই রোনালদের গোল শোষ দিলেন সেই কস্তা। তার মাত্র ৩ মিনিট পরই ম্যাচে স্পেনকে প্রথমবারের মতো এগিয়ে নিলেন নাচো। কিন্তু ম্যাচের শেষে আবার রোনালদো জাদু। দুর্দান্ত ফ্রি-কিকে সমতা ফেরান পর্তুগিজ অধিনায়ক। শেষ সময়ে আর কোন বিপদ না ঘটায় ৬ গোলের রোমাঞ্চে জেতেনি কেউই।
রোনালদোর নৈপুণ্যে রাশিয়া বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় পর্তুগাল। সোচির ফিশ্ট স্টেডিয়ামে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় শুরু হওয়া স্পেনের বিপক্ষে ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে ডি-বক্সের ঠিক ভেতরে রিয়াল মাদ্রিদ সতীর্থ নাচো ফের্নান্দেজ রোনালদোকে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ডান দিক দিয়ে জোরালো শটে জাল খুঁজে নেন পর্তুগিজ অধিনায়ক। স্পেনের বিপক্ষে এই ম্যাচের আগে ৩৪০ মিনিটে খেলে একটি গোলও করতে পারেননি রোনালদো।
একটি জায়গায় তাকে ঠিকই অমরত্ব দিয়েছে এই গোল। দেশের পক্ষে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে চার বিশ্বকাপে গোল করলেন পর্তুগাল অধিনায়ক।
এই স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি পর্তুগিজদের। ম্যাচের ২৪তম মিনিটে দিয়েগো কস্তার দুর্দান্ত গোলে সমতা ফিরিয়েছে স্পেন। ২৪তম মিনিটে প্রতি আক্রমণ থেকে চমৎকার গোলে দলকে সমতায় ফেরান ব্রাজিলে জন্ম নেওয়া স্পেনের এই ফরোয়ার্ড। পায়ের কারিকুরিতে দুই ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জ এড়িয়ে ঠা-া মাথায় গড়ানো শটে বল জালে পাঠান কস্তা।
ভিএআর প্রযুক্তির সহায়তা নিয়েছিলেন রেফারি। বল রিসিভ করার আগে পেপেকে ফেলে দিয়েছিলেন কস্তা। তবে সেটি ফাউল না হওয়ায় গোল বাতিল হয়নি।
২৭তম মিনিটে দলকে প্রায় এগিয়েই নিচ্ছিলেন ইসকো। তার শট ফেরানোর কোনো সুযোগই ছিল না গোলরক্ষক রুই পাত্রিসিওর। কিন্তু বল ক্রসবারের নিচের দিকে লেগে গোললাইনে পড়ে মাঠে ফিরে।
৪৪তম মিনিটে পর্তুগালকে আবার এগিয়ে নিলেন রোনালদো। পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলারের এই গোল যেন স্প্যানিশ গোলরক্ষক দাভিদ দে হেয়ার উপহার। ডি-বক্সের বাইরে থেকে নিচু শট তার গ্লাভস ফস্কে জালে জড়ায়।
পিছিয়ে পড়া স্পেনকে ৫৪তম মিনিটে আবার সমতায় ফেরান কস্তা। তার এই গোলে অবশ্য বড় অবদান আছে সের্হিও বুসকেতসের। দাভিদ সিলভার ক্রসে বাইলাইন থেকে হেডে বার্সেলোনা মিডফিল্ডার খুঁজে নেন কস্তাকে। গোলের অমন সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেননি আতলেতিকো মাদ্রিদ মিডফিল্ডার।
ম্যাচের শুরুতেই রোনালদোকে ডি-বক্সে ফাউল করে যেন খলনায়ক হয়ে গেছিলেন নাচো। সেই ভুল ৫৮তম মিনিটে শোধ করে দলকে এগিয়ে নেন এই ডিফেন্ডার। ডি-বক্সের বাইরে থেকে তার কোনাকুনি শট পোস্টের ভেতর দিকে লেগে জড়ায় জালে।
তখনও বাকি ছিল রোমাঞ্চের। শেষ বাঁশি বাজার ঠিক আগ মুহূর্তে (৯০+৩ মিনিট) দুর্দান্ত এক ফ্রিকিকে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে দলকে স্বস্তির ড্র এনে দেন রোনালদো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।