পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
জ্বলন্ত ঘুড়ির ভয়ে ইসরাইলে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হিলিয়াম গ্যাসের সরবরাহ সীমিত করার পরিকল্পনা করছে ইসরাইল। তেল আবিবের দাবি, ফিলিস্তিনিদের ‘ঘুড়ি সন্ত্রাস’ বন্ধের স্বার্থেই এই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে তারা। হিলিয়াম গ্যাস ব্যবহার করে নিজেদের আওতাধীন ভূখন্ড থেকে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলে জ্বলন্ত ঘুড়ি পাঠিয়ে দেয়। একে ঘুড়ি সন্ত্রাস আখ্যা দিয়ে ইসরাইল দাবি করে, এ ধরনের কর্মকান্ড দাবানল সৃষ্টি ও বিপুল পরিমাণ ফসলের ক্ষতির জন্য দায়ী। হিলিয়াম গ্যাস সরবরাহ সীমিত করার পেছনে ইসরাইল ঘুড়ি সন্ত্রাস বন্ধের যুক্তি দিলেও এর কারণে গাজা উপত্যকার চিকিৎসা ব্যবস্থায় আরও বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। টাইমস অব ইসরাইল ও মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদ পর্যবেক্ষণকারী ব্রিটিশ ওয়েবসাইট মিডল ইস্ট মনিটরের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মঙ্গলবার ইসরাইলের সরকারি কর্মকান্ড সংক্রান্ত সমন্বয়কারী (সিওজিএটি) মেজর জেনারেল কামিল আবু রোকন গাজায় হিলিয়াম গ্যাস সরবরাহ সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগদর লিবারম্যান সিদ্ধান্তটি অনুমোদন করেছেন। ইসরাইলি সেনাদের ভারি মারণাস্ত্রের বিপরীতে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিরা ঘুড়িকে তাদের লড়াইয়ের অস্ত্র বানিয়েছে। ইসরাইল অভিযোগ করে আসছে, সা¤প্রতিক গ্রেট রিটার্ন মার্চের সময় গাজা থেকে উড়ে আসা জ্বলন্ত ঘুড়ি থেকে ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে দাবানল দেখা দিয়েছে। ঘুড়ির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১৪ লাখ মার্কিন ডলার দাবি করেছে দেশটি। মঙ্গলবার ইসরাইলের সরকারি কর্মকান্ড সংক্রান্ত সমন্বয়কারী (সিওজিএটি) মেজর জেনারেল কামিল আবু রোকন দাবি করেন, গাজার বিক্ষোভকারীরা বেলুনে হিলিয়াম গ্যাস ভরে সেগুলো সীমান্তের ওপারে পাঠাচ্ছে এবং এর ফলে ইসরাইলের বিভিন্ন স্থানে আগুন ধরে যাচ্ছে। টাইমস অব ইসরাইল, মিডল ইস্ট মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।