Inqilab Logo

বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

নিষেধাজ্ঞা মুক্তিতে নিরস্ত্রীকরণ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

পিয়ংইয়ংয়ের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে নিরস্ত্রী করণের শর্তারোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। বুধবার তিন দেশের শীর্ষ কূটনীতিকরা জানান, উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ নিশ্চিতে কাজ করবেন তারা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও, জাপানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারা কোনো ও দক্ষিণ কোরীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাং কুং হোয়া দ্ইু দিনের বৈঠকে মিলিত হন। পম্পেও বলেন, পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ সহজ হবে না। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ২০২০ সালের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার ‘বড় ধরনের নিরস্ত্রীকরণ’ চায় বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। সিঙ্গাপুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতার মধ্যে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক বৈঠকের পর দক্ষিণ কোরিয়া সফরে গিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিয়ংইয়ংয়ের নিরস্ত্রীকরণের ক্ষেত্রে এ সময়সীমার কথা উল্লেখ করেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। কখন ও কীভাবে পিয়ংইয়ং তার পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ করবে, যৌথ ঘোষণায় এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো কথা না থাকায় এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। ট্রাম্প-কিম বৈঠক সম্বন্ধে দক্ষিণ কোরীয় সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করতে সিঙ্গাপুরের শীর্ষ সম্মেলন শেষ করেই সিউল যান পম্পেও। তিনি জানান, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে এখনও ‘অনেক কাজ করার বাকি আছে’। “বড় ধরনের নিরস্ত্রীকরণ। আমরা আশাবাদী, এটা আমরা আগামী আড়াই বছরের মধ্যেই অর্জন করতে পারবো,” বলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পারমাণবিক কর্মসূচি বাতিলের যে কোনো পদক্ষেপ ‘সঠিকভাবে যাচাইয়ের’ বিষয়টি যে গুরুত্বপূর্ণ তা পিয়ংইয়ং বুঝতে পারবে, তিনি এমনটি বিশ্বাস করেন বলে জানিয়েছেন পম্পেও। সিঙ্গাপুরে স্বাক্ষরিত নথিতে সুনির্দিষ্ট করে এ সময়সীমার (২০২০ সাল) উল্লেখ নেই কেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নকে ‘অপমানজনক’ ও ‘হাস্যকর’ হিসেবেও অ্যাখ্যা দেন পম্পেও। ট্রাম্প এর আগে উত্তর কোরিয়া আর ‘পারমাণবিক হুমকি নয়’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। বলেছিলেন, “সবাই এখন নিজেকে আগের তুলনায় বেশি নিরাপদ মনে করতে পারবে।” মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ দাবির সত্যতা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে বলে মন্তব্য পর্যবেক্ষকদের। তারা বলছেন, সমঝোতার পরও উত্তর কোরিয়া চাইলে পারমাণবিক ওয়ারহেড নিজের কাছেই রাখতে পারবে, ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারবে; এগুলো পরিত্যাগ করার সুনির্দিষ্ট কোনো প্রক্রিয়ার উল্লেখও নথিতে নেই। পশ্চিমাদের সন্দেহ থাকলেও পিয়ংইয়ং সিঙ্গাপুরের সম্মেলনকে ‘দেশের জন্য বিশাল বিজয়’ হিসেবেই উদযাপন করছে। বিবিসি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিষেধাজ্ঞা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ