পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে কর্মরত মাদক তিন শতাধিক পুলিশ সদস্য মাদক কেনা বেচায় জড়িত থাকার তালিকা করেছে পুলিশ সদরদপ্তর। এসব পুলিশ সদস্যকে চিহ্নিত করে এ তালিকা করা পরেও এর বাইরে আরো কতজন জড়িত আছেন তা যাছাই বাচাই করছে পুলিশ সদর দপ্তরের ইন্টিলিজেন্স ইউনিট। মাদক ব্যবসায় জড়িত এ তালিকা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধেও অভিযান চালানো হবে। যেসব কর্মকর্তাকে মাদকে যুক্ত হিসেব চিহ্নিত করা হয়েছে তাদের বেশির ভাগই কনস্টেবল থেকে সাব ইন্সপেক্টর পদ মর্যাদার কর্মকর্তা। তবে ৯ জন ইন্সপেক্টর ও তদুর্ধ্ব কর্মকতাও আছেন ওই তালিকায়। পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সুত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ইনকিলাবকে বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের যে অবিযান চলছে তা চলবে। এ ব্যপারে আমরা কঠোর। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। আইন শৃংখলা বাহিনীর কোন সদস্য জড়িত থাকলে তাকেও ছাড় দেয়া হবে না। এ অভিযানে আমাদের বিজয়ী হতেই হবে। এটা আমাদের চ্যালেঞ্জ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,মাদক ব্যবসায়ী যত বড় প্রভাবশালীই হোক না কেন এবার রেহায় নেই। আর অসাধু পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ইন্টিলিজেন্স এন্ড স্পেশাল এ্যাফেয়ার্স) মনিরুজ্জামান বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পর পুলিশ সদর দপ্তরের একাধিক টিম অপরাধীদের সনাক্ত করতে মাঠে নামে। এ পর্যন্ত পুলিশে কর্মরত যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে তাদেরে গ্রেফতার করা হবে। যাদেরকে ইতোমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে –তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। শুদ্ধি অভিযানে পুলিশের ইন্টিলিজেন্স টিম কাজ করছে। টিম তাদের অবস্থান এবং কিভাবে কতদিন ধরে যুক্ত সেসব খতিয়ে দেখছে। এই টিমের রিপোর্টের ভিত্তিতে মাদকে যুক্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র জানায়, পুলিশের ইন্টিলিজেন্স টিম সারা দেশে মাদক সম্পর্কে পুলিশের অবস্থান নিয়ে কাজ করছে। শুধু নেতিবাচক কর্মকান্ড নয়। পুলিশ বাহিনীর কোনো সদস্য মাদক নির্মূলে অগ্রনী ভুমিকা পালন করলে এই টিমের সুপারিশের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করবে পুলিশ সদর দফতর।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, সারা দেশে প্রায় ১৪ হাজার মাদক ব্যবসায়ীর তালিকা রয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে। এ তালিকায় কয়েকজন এমপি ও প্রভাবশালী রাজনৈতিকেরও নাম রয়েছে। এর বাইরে পুলিশ বাহিনীর কিছু অসাধূ সদস্যও মাদক ব্যবসায় জড়িত। পুলিশ সদস্যদের যারা মাদক ব্যবসায় মদদ দেয় এবং মাদক সেবন করে তাদের বিরুদ্ধেও নেয়া হচ্ছে আইনগত ব্যাবস্থা। ইতোমধ্যে পুলিশ সদর দফতরের তথ্য মতে,তিন শতাধিক পুলিশ কর্মকর্তা মাদকে প্রতক্ষ্য ও পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকার প্রমাণ রয়েছে পুলিশ সদর দপ্তরের ইন্টিলিজেন্স ইউনিট। এদের বিরুদ্ধে অপরাধের ধরন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাদকে যারা যুক্ত অর্থাৎ মাদক ব্যবসা থেকে মাসোহারা নেয়, মদদ দেয় এবং নিজেরা মাদক সেবন করে এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে গুরুদন্ড অর্থাৎ চাকরীচ্যুতি ও গ্রেফতারের মত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। যারা পরোক্ষভাবে যুক্ত তাদেরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত, বিভাগীয় মামলা, লঘুদÐ দেয়া হবে।
এ ব্যাপারে পুলিশের এআইজি মিডিয়া সহেলী ফেরদৌস বলেন, আইজিপির নির্দেশনা হচ্ছে মাদকের প্রশ্নে কোন ছাড় নয়। মাদকে যুক্ত কোনো পুলিশ কর্মকর্তার খুটির জোর থাকলেও কোনো ফায়দা হবে না। কারন কোনো রাঘব বোয়াল এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করার চেষ্টা করলে তাকেই বøাক লিস্ট করতে আইজিপি ইতোমধ্যে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।