পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ভারতকে উড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দল এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় অনন্য এই বিজয়ে টাইগ্রেসদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রেসিডেন্টত মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত মেয়েদের এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভারতকে ৩ উইকেটে হারায় সালমা খাতুনের দল। পুরুষদের পেছনে ফেলে মেয়েরাই প্রথম আন্তর্জাতিক কোনো টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব এনে দিয়েছে দেশকে।
টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বোলিং তাÐবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১১২ রান তুলে ভারত। বোলার রুমানা এবং খাদিজা ২টি করে উইকেট নেন। ১টি করে নেন অধিনায়ক সালমা এবং জাহানারা।
ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত সূচনা এনে দেন শারমিন সুলতানা এবং আয়েশা রহমান। ওপেনিং জুটিতে আসে ৩৫ রান। এরপর ভাঙাগড়ার মধ্য দিয়ে চলে বাংলাদেশের ইনিংস। শেষ ওভারে দরকার ছিল ৯ রান। হারমপ্রীত কাউর এসে চতুর্থ বলে তুলে নেন সানজিদাকে (৫)। পঞ্চম বলে ২২ বলে ২৩ করা রুমানা আহমেদ স্টাম্পড হয়ে যান। শেষ বলে দরকার ছিল ২ রানের। জাহানারা আলম বল ব্যাটে ছুঁইয়ে প্রাণপণে দৌঁড় শুরু করেন।
শেষ পর্যন্ত রুদ্ধশ্বাস মুহূর্তের অবসান হয় বাংলাদেশের অসাধারণ বিজয়ে! দুই রান নিতে পেরেছিলেন সালমা আর জাহানারা। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের মাঠটিতে গর্জে উঠে লাল সবুজের দল। গ্যালারিতে কিছু দর্শক চিৎকার করতে থাকেন। গোটা দেশ মেতে উঠে উল্লাসে। দুর্দান্ত অল-রাউন্ড পারফর্মেন্সে উইম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন রুমানা আহমেদ।
পরিকল্পনামন্ত্রীর অভিনন্দন
নারী ক্রিকেট দলের এমন অবিস্মরণীয় জয়ে অভিনন্দন জানিয়েছে পরিকল্পনামন্ত্রী এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও আইসিসির সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেট সংগঠক আ.হ.ম. মোস্তফা কামাল। এক অভিনন্দনবার্তায় লোটাস কামাল বলেন, ‘নারী ক্রিকেটারদের এই অবিস্মরণীয় বিজয় আমাদের পুরুষ দলের সাম্প্রতীক হতাশা ও লজ্জাজনক পারফরম্যান্সে ক্ষুব্ধ ক্রীড়ামোদীদের অনেকটাই স্বস্তি দিয়েছে। তাদেরকে অনেক অনেক অভিনন্দন।’ সেই সঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী যোগ করেন, ‘পুরুষ দলের তুলনায় নারী ক্রিকেটারদের সুযোগ-সুবিধা অপ্রতুল। এই সীমাবদ্ধতা নিয়েও তাদের এই সাফল্য আমাদের গর্বিত করে। আমি বিসিবির প্রতি অনুরোধ জানাতে চাই, পৃষ্ঠোপোষকতা ও তাদের আর্থিক সুবিধাদি বাড়িয়ে দেয়া হোক।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।