Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আর কিছুদিন ধৈর্য ধরুন, উপযুক্ত কর্মসূচি দেয়া হবে -মওদুদ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০১৮, ২:৪৯ পিএম

উপযুক্ত কর্মসূচি ও কঠোর আন্দোলনের জন্য নেতাকর্মীদের আর কিছুদিন ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের আয়োজনে বিনা বিচারে হত্যাকা- ও মৌলিক অধিকার শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। মওদুদ বলেন, আজকে আমার এলাকায় যাব বলে পুলিশ তিন দিন আগে থেকে নেতাকর্মীদের ধরার জন্য রেট দেয়া শুরু করেছে। কিন্তু হয়তো আর দুই তিন মাস পরে যখন যাব তখন এই পুলিশই আমি যেন ভালোভাবে যেতে পারি সেই ব্যবস্থা করবে। এটা হবে, হতে বাধ্য। এমন একটা সময় আসবে যখন এই সরকার বুঝতে পারবে যে, তাদের আর ক্ষমতায় থাকার সুযোগ নেই।
তাদের কোনো ভবিষ্যৎ নাই। স্পেসিফিকভাবে বলতে পারিনা। তবে আর কিছুদিন অপেক্ষা করুন। ধৈর্য ধরুন। উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত কর্মসূচি দেয়া হবে। সেই কর্মসূচি কঠোর কর্মসূচি হবে। এটা কোন নরম বা ভদ্রলোকের অশান্তিপূর্ণ কর্মসূচি হবে না। কারণ আমরা জানি কোনো ফ্যাসিবাদী সরকার ও স্বৈরাচারী সরকারকে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে উৎখাত করা যায় না। পৃথিবীর কোথাও সম্ভব হয়নি, আমাদের দেশেও সম্ভব না। ১৯৬৯ সালের আন্দোলন ও ১৯৯০ সালের আন্দোলন এগুলো সবই জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী হয়েছে। সংবিধান মানুষের মঙ্গলের জন্য। সুতরাং সংবিধান কখনো বাধা হবে না। বর্তমান সরকার বলে সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে। মোটেও না। জনগণ যেভাবে চাইবে সেভাবেই নির্বাচন হবে। মওদুদ আহমদ বলেন, আজকে মাদক বিরোধী অভিযানের নামে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড হচ্ছে। আমরা ক্ষমতায় আসলে প্রতিটি হত্যার জন্য অনুসন্ধান করব। প্রতিটি হত্যার বিচার করা হবে। রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে তাকে ধরে নিয়ে মাদক ব্যবসায়ী বলে হত্যা করা হল। কে সিদ্ধান্ত দিল সে মাদক ব্যবসায়ী। কোনো আদালত কি বলেছে। কোন আদালতে কি তার বিচার হয়েছে? এই অভিযানের নামে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্মূল করা হচ্ছে। আমরা বিভিন্ন এলাকা থেকে খবর পাচ্ছি বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি গিয়ে পুলিশ হামলা করছে।
বাজেট সম্পর্কে তিনি বলেন, হলমার্ক থেকে শুরু করে ব্যাংকগুলোতে লুট শুরু হয়েছে। এখন ব্যাংকে তারল্য সংকট চলছে। আমরা দেখেছি সরকারের পক্ষ থেকে টাকা দিয়ে হেল্প করা হচ্ছে। আজকে ব্যাংক খাতে চরম সংকটে রয়েছে। অথচ ব্যাংকিং কমিশন গঠন করার ব্যাপারে বাজেটে কোন নির্দেশনা নেই। জনগণের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটেনি। ব্যাংকের মালিককে সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। সাধারণ দরিদ্র মানুষের জন্য কিছু রাখা হয়নি। এটা ধনীকে ধনী করা আর গরীবকে আরো গরীব করার বাজেট। নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের উপদেষ্টা হাজী মো. মাসুক মিয়ার সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ওলামা দলের সাধারণ সসম্পাদক মাওলানা শাহ মো. নেসারুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ সভাপতি ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।

 



 

Show all comments
  • শিশির হালদার ৯ জুন, ২০১৮, ৬:৩৯ পিএম says : 0
    জনগত লেলিয়ে দিয়ে রাজনৈতিক কর্মীরা লুকিয়ে থাকে। আমরাও চা্ িবিরুধি দল সক্রিয় হোক। জনগনের দাবী আদায় হোক। কিন্ত দল ক্ষমতায় গেলে আর জনগনের খোজ রাখেনা। বিএনপি লম্ব কথা বলে আমরা যদি জনগনের কাছে বলি বিএনপির সময় উন্নয়নের ১০টির নাম বলেনতো। সাধারণ কোন নেতা ১০টি উন্নয়নের কথা বলতে পারে না। কিন্তু আওয়ামীলীগের অামলে জনগন দেখতে পায় ফ্ল্যা্ি ওভার, পদ্মা সেতা, বিদ্যুতের বাতি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মওদুদ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ