বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সড়কের পিচ উঠে বড় বড় গর্ত। বিপজ্জনকভাবে ছড়িয়ে আছে ইটের টুকরো। কুমিল্লার গ্রামীণ সড়কগুলোর অবস্থা অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়ায় এবার ঈদ যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়বে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে সংযোগ আছে এরকম কয়েকটি সড়ক ছাড়া অভ্যন্তরীণ শাখা সড়ক, সংযোগ সড়ক এবং পুল-কালভার্ট দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। কোনো কোনো সড়কে স্বাভাবিক চলাচলও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। এসব সড়কের কোনোটি সংস্কারের এক বছরের মধ্যে ফের বেহাল হয়ে পড়েছে।
জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) অধীন জেলায় ১০ হাজার ২শ’ কিলোমিটার কাঁচা-পাকা সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার পাকা সড়কের সাড়ে ৫শ কিলোমিটারের অবস্থা বেহাল। জেলার গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ স্থানের সড়কগুলোতে বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে।
জেলা সদর ছাড়াও সদর দক্ষিণ, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, নাঙ্গলকোট, বরুড়া, বুড়িচং, চান্দিনা, দেবিদ্বার, দাউদকান্দি, হোমনা, মেঘনা, তিতাসসহ বিভিন্ন উপজেলা সদর, পৌর এলাকা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কমপক্ষে এক হাজার কিলোমিটারের অধিক সড়ক সংস্কারের অভাবে ইট-সুরকি উঠে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে অনেকটা নাজুক হয়ে পড়েছে। কুমিল্লায় কর্মরত একজন সরকারি কর্মকর্তা জানান, গ্রামের সড়কগুলো দীর্ঘদিন মেরামত না করা ও অতিরিক্ত গাড়ির চাপ ও বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে বেহাল হয়েছে সড়কগুলো।
কুমিল্লার চান্দিনায় পল্লী সড়কগুলো দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় চলতি বর্ষা মৌসুমে পল্লী সড়কের প্রায় ৭০ ভাগই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় উপজেলার অধিকাংশ সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। এসব সড়কের সংস্কার না হওয়ায় জনগণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বুড়িচং উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের জনসাধারণের চলাচলের সড়কগুলোর কার্পেটেনিং এবং কংক্রিট সড়কের মধ্য থেকে উঠে গিয়ে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। লাকসাম জংশন থেকে খিলা বাজার পর্যন্ত প্রায় ১০ কিঃমিঃ দূরত্বের সড়কটির বিভিন্ন অংশে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কুমিল্লা-লাকসাম সড়কে চলাচলের অযোগ্য ও মরন-ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, টাকার অভাবে রাস্তাগুলো পুরাপুরি সংস্কার করা যায় না। আংশিক সংস্কার করা হয়ে থাকে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দফতর সূত্র জানা যায়, পল্লী সড়কগুলো রক্ষণাবেক্ষণের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে নিরাপদ, আরামদায়ক ও দ্রুত পরিবহন নিশ্চিত করা। একই সঙ্গে যানবাহন পরিচালনার ব্যয় ও দুর্ঘটনার হার কমিয়ে আনা। বর্তমানে যে হারে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে তা অতীতের তুলনায় বেড়েছে। যে কারণে উপযুক্ত ও পর্যাপ্ত সড়ক নিরাপত্তা সংকেত স্থাপনের ব্যাপারে মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন। এলজিইডি সূত্র জানায় চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ না পাওয়ায়, সড়কগুলো মেরামত করা যাচ্ছে না। আর যে পরিমাণ বরাদ্দ মেলছে তা দিয়ে এ বিশাল ঘাটতি রাতারাতি দূর করা সম্ভব নয় বলে এলজিইডি মনে করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।