Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাদক ব্যবসা চলছেই

সাখাওয়াত হোসেন | প্রকাশের সময় : ৬ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

মাদকবিরোধী অভিযানে একের পর এক মাদক ব্যবসায়ী বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলেও থেমে নেই মাদক ব্যবসা। অভিযানের মধ্যেও চলছে মাদক সরবরাহ ও বেচাকেনা। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও পুলিশসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কতিপয় দুর্নীতিবাজ সদস্য ও কর্মকতা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। মাদকবিরোধী অভিযানে এরই মধ্যে ১৪০ জনের অধিক মাদক ব্যবসায়ী বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। কিন্তু মাদক ব্যবসায় জড়িত বা সেল্টারদানকারী আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় বিভিন্নœ মহলে প্রশ্নের দেখা দিয়েছে। রাজধানীতে মাদক ব্যবসা ও পৃষ্ঠপোষকতা করছে রাজনীতিবিদ-জনপ্রতিনিধি ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা, এমনটাই তথ্য উঠে এসেছে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে। মাদকবিরোধী অভিযানের ফলে অনেকেই আত্মগোপনে রয়েছে। আবার কেউ কেউ বলছেন ষড়যন্ত্র করে তাদের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
এরই মধ্যে অভিযানের আগে মাদক ব্যবসায়ীদের সর্তক করে দেয়ার অভিযোগও রয়েছে এসব কর্মকর্তা ও সদস্যদের বিরুদ্ধে। তবে মাদক অভিযানের কারণে বেড়েছে ইয়াবার দাম। পুলিশ ও র‌্যাবের ঝামেলা এড়াতে মাদক কারবারিরা এখন কৌশল পরিবর্তন করেছে। পেটের ভেতর, পেঁয়াজ ও লিচুর ভেতরসহ নানাভাবে পাচার হচ্ছে ইয়াবা। এছাড়া নারী ও শিশুদেরও ইয়াবা পাচারে ব্যবহার করছে মাদক ব্যবসায়ীরা। কঠোর গোপনীয়তায় ইয়াবা বিক্রির পাশাপাশি মোবাইলের মাধ্যমেও কেনাবেচা চলছে।
মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহŸান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দেশে যেমন সামাজিক আন্দোলন হয়েছিল। আমরা চাই, ঠিক সেভাবেই মাদকের বিরুদ্ধে আরেকটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠুক। সব অভিভাবক, স্কুল-মাদরাসার শিক্ষক ও মসজিদের ইমামদের এ বিষয়ে গঠনমূলক ভ‚মিকা রাখতে হবে। গোয়েন্দা তথ্য মতে, পল্লবী থানা এলাকার মাদক ব্যবসায়ী, একাধিক মামলার আসামি মোস্তাককে পৃষ্ঠপোষকতা দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিল আব্দুর রউফ নান্নু। শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী ডিএসপি বাবুও আত্মগোপনে রয়েছেন। রাজধানীর পল্লবী থানায় চাকরিরত অবস্থায় মাদক ব্যবসায়ীদের পৃষ্ঠপোষকতা করার অভিযোগ উঠেছে দুই এসআই বিল্লাল হোসেন ও মাজেদ বসুনিয়ার বিরুদ্ধে। এসআই বিল্লাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, এ অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে ন্যায়বিচার করা হোক। মাদকের সঙ্গে জড়িত কোনো মহল এ চক্রান্ত করছে বলেও অভিযোগ করেন বিল্লাল। এসআই মাজেদ বসুনিয়া সাংবাদিকদের জানান, যদি তার বিরুদ্ধে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেয়া হবে তিনি তা মেনে নেবেন।
পুলিশের তথ্যমতে, শনিবার পর্যন্ত মাদকবিরোধী অভিযানে নিহতের সংখ্যাও ১৪০ জন। গত রোববার গভীর রাতে র‌্যাব ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নতুন ভবনের আন্ডার গ্রাউন্ডে থাকা আনসারদের রুমে অভিযান চালিয়ে ৯টি ইয়াবাসহ আসাদ (৩৫) নামে এক আনসারকে গ্রেফতার করেছে। আসাদ র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, মোবাইলে ও লোকজন এসে তার কাছ থেকে ইয়াবা নিয়ে যেত। আগে ৩০০ টাকা দিলেও এখন ৫০০ ও ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে একটি ইয়াবা। গত ৪ জুন সোমবার সকাল ১০টার দিকে খুলশী থানাধীন দামপাড়ায় স্টার লাইন বাস কাউন্টারের সামনের রাস্তা থেকে ইয়াছিন মোল্লা (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে দুই হাজার ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গোয়েন্দা পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (বন্দর) আসিফ মহিউদ্দীন জানান, গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী নিজেকে সাপ্তাহিক শিখর সন্ধানে নামের একটি পত্রিকার ক্রাইম রিপোর্টার হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। টেকনাফ থেকে কম দামে ইয়াবা সংগ্রহ করে বেশি দামে বিক্রির জন্য চট্টগ্রাম নগরে আনার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে ইয়াছিন।
সূত্র জানায়, গত ১ জুন শুক্রবার রাতে মদ্যপান করে মাতলামি করার অভিযোগে রাজশাহী জেলা পুলিশের এএসপি সুমিত কুমার চৌধুরীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছেই সোপর্দের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) রাজপাড়া থানা থেকে তাকে অত্যন্ত গোপনে ছাড়িয়ে নিয়ে যান জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা। খবর জানাজানি হওয়ার পর পুলিশের এ কর্মকর্তাকে শৃঙ্খলাবহিভর্‚ত আচরণের অভিযোগে স্ট্যান্ডরিলিজ করা হয়। তাকে বদলি করা হয়েছে নৌপুলিশে। এ ছাড়া গত ২ মে ময়মনসিংহ নগরীতে পুলিশের এক কনস্টেবলসহ তিন জনকে ৮০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের দেহ তল্লাশি করে ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। তারা হলেনÑ ময়মনসিংহ পুলিশ লাইন্সে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল মোখছেদুল ইসলাম (৩২), তার সহযোগী কলেজ রোড এলাকার সৌরভ (২০) ও সুনামগঞ্জের দেবাশীষ (২৫)। অন্যদিকে গত ৩০ মে ইয়াবা সেবনের দায়ে শরীয়তপুর জেলা কারাগারের তিন কারারক্ষীকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়। তারা হলেনÑ মুন্সীগঞ্জের মো. সালাউদ্দীন আহমেদ, রাজবাড়ীর পলাশ হোসেন ও কিশোরগঞ্জের ফারুখ হোসেন। এ ছাড়াও সদর দপ্তর থেকে মাদক গ্রহণসহ নানা অভিযোগে ১৪ কারারক্ষীকে নিজ বিভাগের বাইরে দেশের বিভিন্ন কারাগারে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়।
গোয়েন্দা সংস্থার এক রিপোর্টে বলা হয়, কক্সবাজারের ইয়াবার গডফাদার হিসেবে তালিকায় রয়েছে আবদুুস শুক্কুর, আবদুুল আমিন, ভাগিনা শাহেদুর রহমান নিপু, কামরুল হাসান, সাইফুল্লাহ, শাহজাহান ও দিদার আহমদ। এদের সহায়তাকারী হিসেবে টেকনাফ ও উখিয়া থানার অন্তত ১৫ পুলিশ সদস্যের নামও রয়েছে। এর মধ্যে এসআই আলমগীর, সরোজ আচার্য, এএসআই আযহার ও আমিরুল। গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের পর এদের অন্যত্র বদলি করা হয়। রাজধানীতে চার শতাধিক স্পটে মাদক ব্যবসা চলে। সংশ্লিষ্টরা কথিপয় পুলিশ কর্মকতা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চিহ্নিত ওইসব স্পটে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা গেছে, পুলিশের বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও বিক্রিতে সহযোগিতা করার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে হরহামেশা। পুলিশের ঘুষের বড় অংশ মাদকে উশুল হচ্ছে। বাহিনীর অভ্যন্তরীণ তদন্তেও অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। ইতোমধ্যে পুলিশ সদর দফতর থেকে সারা দেশের পুলিশের জন্য ১০ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়। এতে বলা হয়Ñ যেসব পুলিশ সদস্য মাদক বিক্রেতার কাছ থেকে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেন, তাদের চিহ্নিত করে বিধি অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা, প্রয়োজনে ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে হবে। মাদকে জড়িত থাকার অভিযোগ ইতোমধ্যে ৬৭ জন পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরেও রয়েছে।
সূত্র জানান, সীমান্তবর্তী জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এর সীমান্তবর্তী তিনটি থানা মাদক পাচারের অন্যতম রুট। এখানে সক্রিয় রয়েছে শতাধিক মাদক ব্যবসায়ী। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যোগসাজশে এ সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার মাদক ঢুকছে দেশে। অভিযোগ রয়েছে, মোটা অঙ্কের টাকা মাসোহারার বিনিময়ে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় ওই মাদক নিরাপদে পাচার হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে। এদের মধ্যে ১৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে মাদক ব্যবসায়ীদের সেল্টার দেয়ার। এন্টি টেররিজম ইউনিট প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, মাদক নির্মূলে কাউকে ছাড় নয়, এমন নির্দেশনা সারাদেশের পুলিশকে দেয়া হয়েছে পুলিশ সদর দফতর থেকে। কোনো পুলিশ সদস্য বা কর্মকর্তা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত বা তাদের সহযোগিতা করার অভিযোগ পাওয়া গেলে, একজন মাদক ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে যেভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়; তার ক্ষেত্রেও একই ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্টে মাদক ব্যবসায় সেল্টার দেয়ার অভিযোগ রয়েছে কিছু পুলিশের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগ গুরুত্বের সাথে তদন্ত হচ্ছে। সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, কক্সবাজার ও টেকনাফের তালিকাভুক্ত অর্ধশত ব্যক্তি সারাদেশের ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে। সাড়ে পাঁচ শতাধিক ব্যবসায়ী মিয়ানমারের কারখানায় উৎপাদিত ইয়াবা ট্যাবলেট বাংলাদেশে পাচার করছে। এদের মধ্যে শীর্ষ কয়েকজন সারা বছর বাংলাদেশে ইয়াবা পাচারের পুরো নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে থাকে। এদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব না হলে ইয়াবা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।
র‌্যাবের মিডিয়া উইয়ংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, মাদক নির্মূল করা সম্ভব নয়। মাদক নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযানের মাধ্যমে মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করছে। এখনো যারা মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের একজন কর্মকর্তা জানান, ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কেবল মাদক যার কাছে পাওয়া যায়, তাকেই আইনের আওতায় আনার সুযোগ রয়েছে। যারা নেপথ্যে থেকে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে, সেসব গডফাদার কখনো আইনের আওতায় আসে না। ফলে অভিযান চালানো হলে কিছু সংখ্যক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হয়। যারা নেপথ্যে থেকে এ ব্যবসা পরিচালনা করে, তারা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। একই সাথে তারা নতুন লোকজনকে দিয়ে মাদক ব্যবসা শুরু করে বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, অভিযান শুরুর কয়েকদিন আগেও রাজধানীর অলিগলিতে মুড়ি-মুড়কির মতো বিক্রি হতো ইয়াবা। এখনো তা কমে আসলেও মাদক ব্যবসায়ীরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্যদের ম্যানেজ করেই তাদের মাদক বিক্রির নেটওয়ার্ক অব্যাহত রেখেছে।

 



 

Show all comments
  • AI ৬ জুন, ২০১৮, ১২:১১ এএম says : 0
    ভারতের সহযোগিতায় মাদক চলতে থাকবে।
    Total Reply(0) Reply
  • মানিক ৬ জুন, ২০১৮, ২:৫৫ এএম says : 0
    মাদক বন্ধে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে
    Total Reply(0) Reply
  • তানিয়া ৬ জুন, ২০১৮, ২:৫৬ এএম says : 0
    রাঘব বোয়ালদের আগে ধরতে হবে
    Total Reply(0) Reply
  • M.A. Kalam ৬ জুন, ২০১৮, ১:৫৬ পিএম says : 0
    যারা জড়িত তারা মরে না, কি ভাবে শেষ হবে ?
    Total Reply(0) Reply
  • Romen ৬ জুন, ২০১৮, ১:৫৬ পিএম says : 0
    Amra jodi thailand ke follow kori drugs er khetre tahole asa kori shob shomossa somadhan hoye jabe
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাদক

২২ অক্টোবর, ২০২২
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ