দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
সহীহ বুখারী শরীফে উদ্ধৃত ও হযরত আয়েশা (রা:) হতে বর্ণিত হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন : তোমরা রমজান মাসের শেষ দশকের বেজোড় তারিখে কদর রাত্রির তালাশ কর।
এই হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সা:) কদর রাত্রি খুঁজে বের করার জন্য চেষ্টা ও সাধনা করতে উম্মতে মুহাম্মদীকে নির্দেশ দিয়েছেন। এই রাত্রটি খুঁজেবের করার প্রয়োজনীয়তা এজন্য দেখা দিয়েছে যে, কুরআন মাজীদ ও হাদীসে এই রাত্রির মর্যাদা ও মাহাত্ম্যের কথা বলিষ্ঠকণ্ঠে ঘোষিত হয়েছে বটে, কিন্তু সে রাত্রি যে কোনটি, অখÐ ও অব্যাহতকালের ¯্রােতের মধ্যহতে কোন্ অংশটি কদর রাত্রি নামে অভিহিত, তা নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়নি। যদি দেয়া হত, তাহলে কোনরকম দুশ্চিন্তার অবকাশই থাকত না। কিন্তু খুঁজে বের করার কাজ সহজতর হওয়ার লক্ষ্যে কতগুলো দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এক : আল কুরআনে ঘোষণা করা হয়েছে : কদর রাত্রিতে কুরআন নাযিল হয়েছে। দুই : কদর রাত্রি রমজান মাসে এসে থাকে। তিন : ইহা রমজান মাসের শেষ দশকে আসে। চার : রমজান মাসের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোর কোন একটিতে আসে। বেজোড় রাতগুলো হলো ২১-২৩-২৫-২৭-২৯ তারিখের রাত্রি। অতএব এই তারিখ সমূহে কদর রাত্রিকে তালাশ করতে হবে। পাঁচ : সহীহ বুখারী ও সুনানে নাসাঈতে উদ্ধৃত এবং হযরত ওমর (রা:) ও হযরত আবু যর (রা:) হতে বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে যে, মাহে রমজানের শেষ সাত দিনের কোন একটিতে কদর রাত তালাশ কর। ছয় : সহীহ বুখারী জামে তিরমিজী, সুনানে নাসাঈ, মুস্তাদরেকে হাকেম গ্রন্থে উদ্ধৃত ও হযরত আবু বক্্রাতা (রা:) হতে বর্ণিত হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন : রমজান মাসের শেষ নয় দিন, কিংবা পাঁচ দিন, অথবা তিন দিন অবশিষ্ট থাকতে কিংবা সর্বশেষ রাত্রিটিতে কদর রাত্রি তালাশ কর। ইমাম তিরমিজী ইমাম নাসাঈ ও ইমাম হাকেম এক বাক্যে বলেছেন যে, উপরোক্ত হাদীসটি উত্তম সনদে বর্ণিত হয়েছে এবং এই দিক নির্দেশনা খুবই স্পষ্ট ও আসল ব্যাপারের খুবই নিকটবর্তী। যার ফলে কদর রাত্রির খোঁজ পাওয়া বিন্দুমাত্র কঠিন বা অসুবিধাজনক থাকল না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।