পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহী সিটি নির্বাচনের প্রচার প্রচারণায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন মাঠে একাই রাজা। তফসীল ঘোষণার পর এখন যোগ হয়েছে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনা। নগরীর ত্রিশটি ওয়ার্ডে ত্রিশজন আর সংরক্ষিত আসনে দশজন। পুরাতনদের পাশপাশি এবার অনেক নতুন মুখ। প্রতিটি ওয়ার্ডে বেশ কজন করে সম্ভাব্য প্রার্থী। এতদিন ভেতরে ভেতরে প্রচারণা চালালেও এখন প্রকাশ্যে প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন। চলমান রমজান আর আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে চলছে অগ্রীম ঈদ শুভেচ্ছা। বড় ব্যানার আর পোস্টার প্লাকার্ড লাগিয়ে তারা শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। ওয়ার্ডবাসীর দোয়া চাইছেন। বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন মহিলা কাউন্সিলররা। মহল্লার চায়ের ঝুপড়িতে শুরু হয়েছে আলোচনা।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটনের প্রকাশ্যে প্রচার প্রচারণা চলছে বছর খানেক ধরেই। বেশ গুছিয়ে এনেছেন। তারপরও প্রতিদিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন। দলের নেতাকর্মী আর অঙ্গ সংগঠনের কর্মীরাও প্রচারপত্র নিয়ে মাঠে। আগে থেকেই প্রচারনায় মাঠে রয়েছেন লিটনের স্ত্রী শাহিনা আক্তার রেনী। বসে নেই কন্যাও আনিকা জামানও পিতার হয়ে প্রচারপত্র হাতে নিয়ে ভোটরাদের দুয়ারে। বিএনপি নেতাকর্মীরা নির্বাচনের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সবুজ সংকেতের দিকে তাকিয়ে আছেন। আশা ছিল ঈদের আগে কারাবন্দী বেগম জিয়া মুক্তি পাবেন। কিন্তু আইনী বেড়াজালে তা আর হচ্ছেনা। বিষয়টা নিয়ে তারা আশাহত ও ক্ষুব্ধ। ফলে এখন আর নির্বাচনী ভাবনার চাইতে খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনের দিকে নজর বেশী। এরই মধ্যে বর্তমান মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল তার কৌশলী নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। গতকাল বিকেলে সাবেক মেয়র বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুকে জনগণের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন । সতের বছরের মেয়র আর এক মেয়াদের এমপি। নির্বাচনী কৌশল ভালই জানেন। যদিও তিনি জানিয়েছেন এবার মেয়র প্রার্থী হবে বুলবুল। আর সবকিছুই নির্ভর করছে কেন্দ্রীয় দিক নির্দেশনার উপর।
জাতীয়পাটি, জামায়াত আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এখনো সেভাবে প্রচারণার ময়দানে নামেনি। এমনি অবস্থায় চষে ফিরছেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীরা। পুরাতন প্রার্থীদের অনেকের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ নতুন নতুন মুখ নিয়ে। তবে পুরাতনদের মধ্যে বেশ কজন বেশ আত্মপ্রত্যয়ী। তাদের কথা হলো এলাকার মানুষের সঙ্গে ছিলাম আছি থাকব। আমাদের কর্মকান্ড এলাকাবাসীর সামনে রয়েছে। বেশ কজন সাবেক কাউন্সিলর এবার প্রার্থী হচ্ছেন। তারাও যোগাযোগ বাড়িয়েছে।
নবীন প্রার্থীরা বলছেন ওরা নাগরিক সেবা দিতে পারেনি। মানুষ পরিবর্তন চাই। আশা করছি আমরা সুযোগ পাব। অনেকে বর্তমান কাউন্সিলরদের কারো কারো নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরছেন ভোটারদের সামনে। এত রঙ্গিন পোস্টার, প্লাকার্ড, ব্যানার লাগানো প্রসঙ্গে কজন প্রার্থী বলেন ঈদের পরতো নিয়ম অনুযায়ী এসব লাগানো যাবেনা। তাই আগেভাবে লাগিয়ে প্রচার প্রচারনা করছি। এরপরতো সাদাকালো। তাছাড়া আর মাত্র কটাদিন। সব মিলিয়ে বলা যায় নগরজুড়ে আওয়ামীলীগ আর পাশাপাশি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনা জমে উঠতে শুরু করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।