পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী দিচ্ছে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর থেকে দল দুটি ভোটের রাজনীতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সিটির নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হলেও বরিশালে রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়নি। ২০১৩ সালের নির্বাচনে খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুজিবুর রহমানকে বরিশালে রিটার্নিং অফিসার পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। গত বছরের জুলাই থেকে তিনি বরিশালের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
অপরদিকে বরিশাল মহানগর পুলিশ (বিএমপি) কমিশনার পদটিও শূন্য গত এপ্রিলের শেষ দিক থেকে। গত বছরের শেষদিকে বিএমপি’র কমিশনার রুহুল আমীনকে বদলি করা হলেও এক মাসের মাথায় বদলি স্থগিত করা হয়। কিন্তু সিটি নির্বাচনের আগে নতুন কাউকে নিয়োগ না দিয়ে অনেকটা আকস্মিকভাবেই বিএমপি’র সেই কমিশনারকে পুলিশ সদর দপ্তরে বদলি করা হয়। আর বদলির কাগজ হাতে পেয়েই তিনি এপ্রিলের ২৭ তারিখ বরিশাল ত্যাগ করেন। অতিরিক্ত কমিশনার মাহফুজুর রহমান বর্তমানে বিএমপি’র ভারপ্রাপ্ত কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন।
২০১৩ সালের ১৫ মে বরিশাল সিটি নির্বাচনে দুই লাখ ১০ হাজার ৩৪১ ভোটারের ৭৩.৫৮ ভাগ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। যার ৮৬.০৭ ভাগ চার দলীয় জোট প্রার্থী আহসান হাবিব কামাল ও ৭৮.৯১ ভাগ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থী শওকত হোসেন হিরন লাভ করেন। আসন্ন নির্বাচনে বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রায় ৩২ হাজার নতুন ভোটার তালিকাভুক্ত হয়েছেন। এদের প্রায় সবাই তরুণ-তরুণী। ২০১৩ সালের সিটি নির্বাচনে বরিশাল মহানগরীতে ভোট কেন্দ্র ছিল ১০০টি। আর বেশি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ছিল ৮০টি। এবারের নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা অন্তত ২৫টি বাড়তে পারে।
এদিকে জামায়াতে ইসলামী আলাদাভাবে প্রার্থী দেয়ার কথা জানিয়েছে। দলটি তাদের বরিশাল মহানগর আমীর অ্যাডভাকেট মোয়াজ্জেম হোসাইন হেলালকে দলীয় প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা দিতে পারে। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হেলাল জামায়াতের টিকিট নিয়ে দু’দফাই বরিশাল সদর আসনে জামানত হারিয়েছিলেন। তিনি মাত্র সাড়ে ৫ থেকে ৬ হাজার ভোট পেয়েছিলেন।
অপরদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও বরিশাল সিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। ২০০৮-এর পূর্ববর্তী সবগুলো নির্বাচনেই বরিশাল সদর আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী জামানত হারান। জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন বরিশাল সিটি নির্বাচনে আলাদাভাবে অংশ নিক, এ কৌশল অনেকদিন ধরেই ছিল মহাজোটের স্থানীয় পর্যায় থেকে। জামায়াতের প্রার্থী দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পরে স¤প্রতি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় স্থানীয় আদালত থেকে জামিন লাভ করে চারপাশে চোখ রেখে ভোটের রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।