পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফয়সাল আমীন, সিলেট : সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। আগামী ৩০ জুলাই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন কর্তৃক দিনক্ষণ জানানোর পরপরই সরগরম হয়ে ওঠেছে সিলেটের নির্বাচনী মাঠ। রাজনৈতিক দলগুলোর সম্ভাব্য মেয়র প্র্রার্থীরা ব্যস্ত হয়ে ওঠেছেন। প্র্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সম্ভাব্য মেয়র প্র্রার্থীরা ঘরে বসে নেই। সিলেট সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই বড় এ দুই দলের মনোনয়ন প্র্রত্যাশী নেতারা মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন যোগাযোগ রাখছেন নিজ নিজ দলের হাইকমান্ডের সাথে। কিন্তু ‘সংসদের বিরোধীদল’ জাতীয় পার্টির দেখা মিলছে না কোথাও। তবে বিশ^স্ত সূত্রের ইঙ্গিত, জাতীয় পার্টি (জাপা) সিসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকেই সমর্থন দিতে প্রারে। অন্যদিকে বিএনপি সাথে জোট বাঁধা জামায়াতও এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি তারা স্বতন্ত্র নির্বাচন করবে কি না? তবে তাদের প্র্রার্থী জামায়াতের কেন্দ্রীয় সদস্য এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের নির্বাচনের মাঠে সক্রিয় রয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এরশাদ ক্ষমতায় থাকাকালে সিলেটে জাতীয় পার্টির অবস্থান সংহত ছিল। কিন্তু এরশাদ ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হওয়ার পর বদলে যেতে থাকে সেই দৃশ্যপট। গত প্র্রায় তিন দশক সময়ে জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে প্রারেনি, দলটির রাজনৈতিক সংহত অবস্থানও আর পুনরুদ্ধার হয়নি। বর্তমানে গোটা সিলেটেই জাতীয় প্রার্টি আছে অস্তিÍত্ব সংকটে। যদিও সিলেটের ছয়টি আসনের মধ্যে দুটিতে জাতীয় পার্টির সাংসদ আছেন; কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, গেল পাঁচ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মূলত এ আসন দুটি জাতীয় পার্টিকে ‘উপহার’ দিয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, একদিকে জাতীয় পার্টির দলীয় অবস্থান নড়বড়ে, অন্যদিকে বিভিন্ন কারণে সিলেটে দলটির নেতাদের মধ্যে রয়েছে অনৈক্য। যার ফলাফল, দীর্ঘদিন ধরে সিলেটে মাটি খুঁজে প্রাচ্ছে না লাঙ্গলের ফলা।
এরকম অবস্থায় সিলেট সিটি নির্বাচনে এরশাদের নেতৃত্বাধীন দলটি মেয়র প্রদে প্র্রার্থী দেয়ার অবস্থায় নেই। বড় দলগুলোর সম্ভাব্য একাধিক প্র্রার্থী দলীয় মনোনয়নের প্র্রত্যাশী হলেও জাতীয় পার্টি থেকে কাউকেই মাঠে সক্রিয় অবস্থানে দেখা যায়নি। তফসিল ঘোষণার প্ররও দলটির মনোনয়ন প্র্রত্যাশী কোনো নেতার তৎপরতা চোখে পড়ছে না।
সিলেট মহানগর জাতীয় প্রার্টির প্র্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর কমিশনার, মহানগর জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহবায়ক আবদুস সামাদ নজরুল এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা বাবরুল হোসেন বাবুল সিসিক নির্বাচনে মেয়র প্রদে প্র্রার্থী হতে প্রারেন বলে ক্ষীণ সুরের গুঞ্জন রয়েছে। কিন্তু দৃশ্যত এ দুই নেতার সক্রিয়তা নেই।
এদিকে, সিসিক নির্বাচনে মেয়র প্রদে প্র্রার্থী দেয়া হবে কিনা কিংবা দলীয় কোনো আগ্রহী প্র্রার্থী আছেন কিনা এ বিষয়টি নিজেরাই ধোঁয়াশায় আছেন জাতীয় পার্টির নেতারা।
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী বলেন, ‘সিলেট সিটি নির্বাচনে প্রার্থী দেয়া হবে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়। এ বিষয়েকোনো আলোচনাও হয়নি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন করতে আগ্রহী সম্ভাব্য প্রার্থী কারা আছেন, তা খোঁজ নিয়ে বলতে হবে।’
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, নিজেদের শক্তিশালী ও জনপ্রিয় প্রার্থী না থাকায় জাতীয় পার্টি সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী না দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকেই সমর্থন দিতে প্রারে। এজন্য কেন্দ্রীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগের সাথে জাতীয় পার্টির নেতাদের আলোচনা চলছে।
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও সাংসদ ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া বলেন, ‘জাতীয় পার্টি নির্বাচনে প্রার্থী দেবে কিনা, এটি অনেক হিসেব নিকেশের বিষয়। বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে, জোট-মহাজোটের বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
অন্যদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সদস্য সিলেট সিটি নির্বাচনে সম্ভাব্য মেয়র প্র্রার্থী এহসানুল মাহবুব জোবায়ের’র সমর্থনে নগর জুড়ে চালানো হচ্ছে বেশ প্র্রচার-প্রচারণা। ব্যানার-ফেস্টুন টাঙানো হয়েছে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে।
দলটির নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, সিটি নির্বাচনে এবার তারা বিএনপিকে ছাড় দিবে না। স্বতন্ত্রভাবে তাদের প্র্রার্থী নির্বাচন করবেন।
এর আগে গত সিটি নির্বাচনেও প্র্রার্থী দিতে চেয়েছিল জামায়াত। কিন্তু তারা বিএনপিকে ছাড় দিয়েছে। এর আগেও প্র্রথম সিটি নির্বাচনেও তারা জোটগত কারণে বিএনপি’র প্র্রার্থীতে সমর্থন দিয়েছিল। এবার তারা সেটি করবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।