তৌহিদবাদীরাই ভারতের আদিবাসী
হিন্দ অঞ্চলে যত লোক বসবাস করে তারাই হিন্দী বা হিন্দু। ফারসী ও তুর্কীতে হিন্দুস্তান। আরবীতে
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অভাবনীয় উত্থান ঘটে ইলিয়াস শাহি আমলে। সেই রোমাঞ্চকর অধ্যায়ের উদ্যোক্তা ছিলেন সুলতান শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ [১৩৪২-১৩৫৮]। সেন-বর্মনদের নিষিদ্ধের বেড়াজাল ভেঙ্গে তিনি বাংলা ভাষাকে রাজপ্রসাদে আশ্রয় দেন। শুরু হয় স্বাধীন পথচলা। সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ এবং হাজী ইলিয়াস শাহর সোৎসাহ উদ্দীপনায় বাংলা প্রাণ ফিরে পায়। একাদশ শতকে আর্য ব্রাহ্মণ্যবাদী সেন সরকার ক্ষমতাসীন হয়ে বাংলা জবানকে নির্বাসন দেয়। একই সাথে চলে সংস্কৃতের পৃষ্টপোষকতা। সরকারি উদ্যোগে সর্বত্র প্রচলিত হয় সাম্রাজ্যবাদী সংস্কৃত বুলি। পুরো দ্বাদশ শতাব্দীজুড়ে চলে বাংলাবিরোধী তান্ডবলীলা। সংস্কৃতের দাপটে বাংলা ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। গরিব-মেহনতি মানুষের জীর্ণকুটিরে বন্দী হয়ে পড়ে আমাদের প্রাণের ভাষা মাতৃভাষা বাংলা।
মহানায়ক বখতিয়ার খলজির বঙ্গবিজয়ের পর বাংলা চর্চার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। ভাষাবিজ্ঞানী ড. মুহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ‘বখতিয়ার নদিয়া থেকে লক্ষণ সেনকে বিতাড়িত করে সংস্কৃত চর্চার মূলে কুঠারাঘাত করে বাংলা ভাষাচর্চার পথ উন্মুক্ত করেন।’ মুসলিম স্বর্ণযুগে পরবর্তী চারশ’ বছর যাবত সৃষ্টি হতে থাকে কালজয়ীসব সাহিত্যকর্ম। সেইসব গদ্য ও কাব্য সাহিত্যের ভাষা, শব্দ ছিলো সহজ, সরল, সাবলীল, ঋজু। জনগণের মুখের জবানই লেখকরা তাদের কলমের তুলিতে ফুটিয়ে তুলেন। উপর থেকে সে ভাষা চাপিয়ে দেয়া হয়নি। মুখের ভাষা আর লেখার ভাষার ফারাক ছিলো না বললেই চলে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শুরুতে রাতারাতি ভাষাটি বদলে ফেলে কলকাতাকেন্দ্রিক বুদ্ধিজীবীরা। এদের সরদার ছিলেন পাদ্রি উইলিয়াম কেরি। তারা রাতারাতি গণবিরোধী অবস্থানে থেকে বাংলা ভাষার আসল গতিপথ বদলে কিম্ভূতকিমাকার ভাষার পয়দায়েশ ঘটায়। যার প্রকৃত নাম সংস্কৃত-বাংলা। মূলত সংস্কৃতের খোলস বদলিয়ে তাকে বাংলা ভাষা হিসেবে চালিয়ে দেয় কলকাতার ব্রাহ্মণ্যবাদী সাধু লেখক-সাহিত্যিকরা। ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ সৃষ্ট এসব সাধুদের অসাধু কর্মে বাংলা ভাষা আজ ছন্নছাড়া। সংস্কৃতের বাহুবন্দী হয়ে হাসফাঁস করছে বাংলাবুলি। ‘কইতো যাহা আমার দাদায়, কইছে তাহা আমার বাবায়।।’- সেই ভাষা বিতাড়িত করে রামায়ণ, মহাভারত, বেদ, গিতার পৌরাণিক পরিভাষাকে বরণ করে নিচ্ছি! এখানে বাংলার ওপর আগ্রাসনকৃত কতিপয় সংস্কৃত শব্দের তালিকা মুদ্রিত হলো। এছাড়াও হাজার হাজার সংস্কৃত শব্দ গ্রাস করে নিচ্ছে বাংলা ভাষাকে।
অ: অংশুমান, অক্রুর, অকম্পন, অগস্ত্য, অক্ষক্রীড়া, অক্ষপাদ, অক্ষয়, অক্ষয়তৃতীয়া, অক্ষৌহিণী, অগ্নি, অগ্নিবেশ্য, অগ্নিকোণ, অগ্নিবেশ, অগ্নিদগ্ধ, অগ্নিজিহ্বা, অগ্নিবর্ণ, অগ্নিকুমার, অগ্নিধ্র, অগ্নিপুরাণ, অগ্নিপরীক্ষা, অঘাসুর, অঘোর, অঙ্গ, অঙ্গদ, অঙ্গারপর্ণ, অঙ্গিরা, অঙ্গিরসগণ, অচ্যুত, অজ, অজাতশত্রু, অজামিল, অজমুখ, অজিত, অণীমান্ডব্য, অর্জুন, অতিকায়, অতিবলা, অত্রি, অথর্ববেদ, অথর্বা, অঞ্জনা, অঞ্জনপর্বা, অদিতি, অদৃশ্যন্তী, অদ্রিকা, অধিপতি, অধিরথ, অর্ধ নারীশ্বর, অনংশা, অনরণ্য, অনন্ত, অন্তরীক্ষ, অনু, অনুগীতা, অন্ধক, অনুশল্য, অন্ধ্রদেশ, অনসূয়া, অয়োমুখী, অনঙ্গ, অনিরুদ্ধ, অপর্ণা, অপরাজিত, অপরাজিতা, অপ্সরা, অবতার, অবন্তী, অব্জদেব, অভয়া, অভিমন্যু, অমরকণ্টক, অমরাবতী, অমর্ক, অমাবসু, অম্বরীষ, অমোঘা, অম্বা, অম্বিকা, অম্বালিকা, অমৃত, অরিষ্ট, অরিষ্টনেমা, অরিষ্টনেমি, অর্যমা, অযোধ্যা, অযোনিসম্ভবা, অরুন্ধতী, অরুণ, অরুণা, অলর্ক, অলকা, অলকানদা, অলক্ষী, অলম্বুষ, অলম্বুষা, অলায়ুধ, অশ^ত্থামা, অশ্বমেধ, অশি^নী, অশ্মক, অশি^নীকুমার, অশ্বসেন, অশ্বপতি, অষ্টতারিণী, অষ্টদিকপাল, অষ্টদিগ্গজ, অষ্টনাগ, অষ্টনায়িকা, অষ্টাদশপুরাণ, অষ্টাবক্র, অষ্টক, অষ্টবসু, অস্তি, অসুর, অসমঞ্জ, অসিতদেবল, অসিক্লী, অসিতলোমা, অহল্যা, অহিংসা, অহিচ্ছত্রদেশ, অহিব্রধু প্রভৃতি।
আ: আগমনী, আগ্নেয়, আগ্নেয়াস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র, আদিপুরাণ, আদিত্য, আদ্যাশক্তি, আত্রেয়, আত্রেয়ী, আর্যাবর্ত, আয়ান, আয়োদধৌম্য, আয়ুর্বেদ, আরুণি, আরণ্যক, আশ্রম, আস্তিক, আকুতি, আগ্নিমাঠর, আপস্তম্ভ, আয়ু, আসুরি, আহুক প্রভৃতি।
ই: ইক্ষাকু, ইড়া, ইন্দুমতী, ইন্দ্র, ইন্দ্রকীল, ইন্দ্রজিৎ, ইন্দ্রপ্রস্থ, ইন্দ্রধ্বজ, ইন্দ্রদ্যুম্ন, ইন্দ্রধনু, ইন্দ্রপ্রমতি, ইন্দ্রপ্রমিতি, ইন্দ্রসেন, ইন্দ্রবর্মা, ইন্দ্রলোক, ইন্দ্রসাবর্ণি, ইন্দ্রসেনা, ইন্দ্রাণী, ইন্দ্রানুজ, ইরা, ইরাবতী, ইরাবান, ইল, ইলবিলা, ইলা, ইল্বল, ইলাবৃত প্রভৃতি।
ঈ: ঈশ^র, ইশান, ঈশানী, ইশান কোণ, ঈর্ষা প্রভৃতি।
উ: উগ্র, উগ্রচন্ডা, উগ্রতারা, উগ্রসেন, উচ্চৈঃশ্রবা, উজ্জয়িনী, উতঙ্ক, উতথ্য, উত্তর, উত্তম, উত্তমৌজা, উত্তরকুরু, উত্তরা, উদ্ধব, উদ্দালক, উত্তানপদ, উপপ্লব্য, উপমন্যু, উপকীচক, উপবেদ, উপসুন্দ, উপরিচরবসু, উর্ব, উর্বশী, উমা, উলুক, উলুক, উলুপী, উশনা, উশীনর, উপনিষদ, উপপুরাণ, উশিজ প্রভৃতি।
ঊ: ঊর্ধ্বরেতা, ঊর্মিলা, ঊষা, ঊর্ব প্রভৃতি।
ঋ: ঋক্, ঋক্ষ, ঋক্ষরাজা, ঋক্ষরাজ, ঋগবেদ, ঋচীক, ক্ষতধ্বজ, ঋতুপর্ণ, ঋত্বিক, ঋভু, ঋষি, ঋষ্যশৃঙ্গ, ঋষভ প্রভৃতি।
এ: একচক্রা, একজটা, একপর্ণা, একপটলা, একপাদ, একপিঙ্গল, একদন্ত, একলব্য, একাক্ষ, একাঘ্নী, একাদশতনু।
ঐ: ঐতরেয়, ঐন্দ্রিলা, ঐরাবত, ঐলবিল, ঐল্যবৃতবর্ষ প্রভৃতি।
ও: ওঘবতী, ওম্ প্রভৃতি ।
ঔ: ঔর্ব, ঔষধি প্রভৃতি।
ক: কচ, ককুদমতী, কর্কোটক, কর্দম, কদ্রু, কর্ণ, কর্ণিক, কতি, কণাদ, কনক, কন্দর্প, কণ¦, কন্ডু, কান্যকুব্জ, কন্দলী, কবন্ধ, কপালী, কঙ্ক, কমলাক্ষ, কমলা, কম্পন, কম্বোজ, করেণুমতী, কল্প, কল্পসূত্র, কল্পতরু, কলা, কলাবতী, কলি, কলিযুগ, কল্কী, কলিঙ্গ, কল্মাষপাদ, কশ্যপ, কংস, কংসবতী, কয়াধু, কপিঞ্জল, কপিল, কপিলা, কমলযোনি, কঠোপনিষদ, ককুৎস্থ, কহোড়, কাকুতি, কাত্যায়ন, কাত্যায়নী, কার্তিকেয়, কাক্ষীবতী, কার্তবীর্য, কাক্ষীবান, কান্ডর্ষি, কামগীতা, কামদেব, কামধেনু, কামাক্ষ্যা, কালকা, কালকেতু, কালকেয়, কালনেমি, কালপুরুষ, কালভৈরব, কালযবন, কালিকাপূরাণ, কালিন্দী, কালীয়, কালী, কাশ্যপ, কাশীরাজ, কাশ্যা, কিন্নর, কিম্পুরুষ, কিমিন্দম, কীরীটী, কির্মীর, কিরাত, কিষ্কিন্ধা, কীচক, কুঞ্জর, কুটিলা, কুৎস, কুন্তী, কুন্তিভোজ, কুর্ণি-গর্গ, কুবলাশ্ব, কুবের, কুব্জা, কুমার, কুম্ভী, কুম্ভযোনী, কুম্ভ, কুম্ভকর্ণ, কুম্ভীনসী, কুম্ভান্ড, কূর্ম, কুরু, কুরুক্ষেত্র, কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ, কুরুজঙ্গল, কুশ, কুশনাভ, কুশধ্বজ, কুশিক, কষ্মান্ড, কুৎস, কৃতবীর্য, কৃতবর্মা, কৃত্তিকা, কৃপ, কৃপী, কৃষ্ণ, কৃষ্ণা, কৃষ্ণদ্বৈপায়ন, কৈকয়, কেতু, কেতুধর্মা, কেতুমতি, কেতুমান, কেরল, কেশব, কেশরী, কেশিনী, কেশী, কৃশ্বাশ্ব, কৈকয়ী, কৈকসী, কৈটভ, কৈলাস, কোজাগর, কোশল, ক্রৌঞ্চ, কৌন্ডিণ্য, কৌন্তেয়, কৌমোদকী, কৌরব, কৌরব্য, কৌশল্য, কৌশিক, কৌশিকী, কৌস্তুভ, ত্রুতু, ক্রোধ, ক্রোধবশা, ক্ষমা প্রভৃতি।
খ: খগম, খট্টাঙ্গ, খর, খসা, খ্যাতি, খান্ডবদাহ প্রভৃতি।
গ: গঙ্গা, গঙ্গাজ, গঙ্গাধর, গদ, গার্গী, গর্গ্য, গার্গ্য, গজকচ্ছপ, গজাসুর, গণ, গণদেবতা, গণেশ, গদাধর, গন্ধমাদন, গন্ধর্ব, গন্ধর্ববেদ, গন্ধর্বলোক, গন্ধবতী, গয়, গরুড়, গরুড়পুরাণ, গায়ত্রী, গাধি, গাঙ্গেয়, গান্ধার, গান্ধিনী, গান্ধারী, গালব, গান্ডীব, গিরিকা, গিরিজা, গিরিব্রজ, গীতা, গুড়াকেশ, গণকেশী, গণবতী, গুহক, গুহ, গুহ্যক, গোকর্ণ, গোপালী, গোতম, গোকুল, গোতমী, গোবর্ধক, গোলোক, গৌতম, গৌরমুখ, গৌরী, গ্রন্থিক প্রভৃতি। ঘ: ঘটোৎকচ, ঘটোৎভব, ঘণ্টাকর্ণ, ঘোর, ঘৃতাচী, ঘোষযাত্রা, ঘোষা প্রভৃতি।
চ: চ্যবণ, চতুরাশ্রম. চতুর্মুখ, চতুর্যুগ, চতুর্বর্ণ, চতুর্বেদ, চন্ডী, চন্ড, চন্ডনায়িকা, চন্ডকৌশিক, চন্দ্র, চন্দ্রকেতু, চন্দ্রবতী, চন্দ্রবংশ, চন্দ্রভানু, চন্দ্রলেখা, চন্দ্রাবলী, চন্দ্রশেখর, চন্দ্রভাগা, চন্দ্রহাস, চরক, চরু, চক্রব্যুহ, চম্পকারণ্য, চম্পা, চার্বাক, চর্মন্বতী, চামুন্ডা, চারুদেষ্ণ, চারুমতী, চিকুর, চিত্রকেতু, চিত্রকূট, চিত্রগুপ্ত, চিত্রভানু, চিত্ররথ, চিত্রলেখ, চিত্রশিখন্ডী, চিত্রসেন, চিত্রাঙ্গদা, চিত্রাশ্ব, চিন্তা, চিরজীবী, চুলি, চেকিতান, চেদি, চোল, চৈতন্য, চেতনা প্রভৃতি।
ছ: ছায়া, ছিন্নমস্তা প্রভৃতি।
জ: জগদ্ধাত্রী, জগন্নাথ, জটাধর, জটায়ু, জটাসুর, জটিলা, জড়ভরত, জতুগৃহ, জনক, জনকবংশ, জনমেজয়, জনা, জনার্দন, জবালা, জমদগ্নি, জয় ও বিজয়, জয়সেন, জয়দ্রথ, জয়দ্বল, জয়ন্ত, জয়ন্তী, জয়া, জরৎকারু, জরা, জরাসন্ধ, জলন্ধর, জম্ভ, জন্তু, জম্বুমালী, জম্বুদ্বীপ, জহ্নু, জহ্নুকন্যা, জানপদী, জাজলী, জাবালি, জামদগ্ন্য, জারিতা, জাম্ববান, জাম্বতী, জাহ্নবী, জিষ্ণু, জীমৃত, জীমৃতবাহন, জৃম্ভিক, জৈগীষব্য, জৈমিনী, জার, জালা, জ্যামঘ প্রভৃতি।
ড: ডাকিনী, ডিম্বক, ডুন্ডুভ প্রভৃতি।
ত: তন্ত্র, তক্ষ, তক্ষক, তক্ষশীলা, তন্তিপাল, তপতী, তমসা, তরণীসেন, তাড়কা, তামস, তামসী, তান্ডধ্বজ, তার, তারকাক্ষ, তারকাসুর, তারাবতী, তালকেতু, তালজঙ্ঘ, তিলোত্তমা, তুলসী, তুলাধর, তুর্বসু, তুম্বুরু, তৃণবিন্দু, তৃণাবর্ত, তৃষ্ণা, তৈত্তিরীয়, ত্রিকুট, ত্রিগর্তদেশ, ত্রিজট, ত্রিজটা, ত্রিত, ত্রিপুর, ত্রিপরারি, ত্রিপাদ, ত্রিমূর্তি, ত্রিলোচন, ত্রিশির, ত্রিশিরা, ত্রিশঙ্কু, ত্রেতাযুগ, ত্র্যম্বক প্রভৃতি।
দ: দক্ষ, দক্ষসাবর্ণি, দক্ষিণা, দগ্ধরথ, দত্তাত্রেয়, দধীচি, দধিমুখ, দনু, দনুজ, দন্তবক্র, দন্ড, দন্ডকারণ্য, দন্ডধার, দন্ডপাণি, দন্ডী, দম, দমন, দমঘোষ, দম্ভোদভব, দময়ন্তী, দরদ, দল, দশমহাবিদ্যা, দশরথ, দশদিক্পাল, দশানন, দশার্ণ দেশ, দশবতার, দশহরা, দশাশ^মেধ, দর্শন, দংশ, দানব, দায়ভাগ, দাক্ষয়ণী, দ্বারুক, দ্বাপর, দ্বারকা, দিগ্গজ, দ্বিত, দিতি, দিবাকর, দিবোদাস, দ্বিবিদ, দিলীপ, দীর্ঘতমা, দীর্ঘরোমা, দুর্গা, দুন্দুভি, দুর্বাসা, দুর্মুখ, দুর্যোধন, দুরুক্তি, দূষণ, দুষ্মন্ত, দ্যু, দ্যুমৎসেন, দৃঢ়স্য, দ্রুহ্য, দ্রুপদ, দ্রুমিল, দুঃশলা, দুঃশাসন, দেবক, দেবকী, দেবতা, দেবগুরু, দেবদূত, দেববর্ণিনী, দেবযানী, দেবযোনী, দেবরাত, দেবল, দেবশর্মা, দেবর্ষি, দেবসেনা, দেবহুতি, দেবব্রত, দেবান্তক, দেবী, দৈত্য, দৈত্যগুরু, দৈত্যনিসূদন, দৈত্যসেনা, দৈত্যপতি, দ্বৈতবন, দ্বৈপায়ন, দ্রোণ, দ্যৌ, দ্রবিড়, দ্রৌপদী প্রভৃতি।
ধ: ধনপতি, ধন্বন্তরি, ধরা, ধর্ম, ধর্মধ্বজ, ধনঞ্জয়, ধর্মপুত্র, ধর্মব্যাধ, ধর্মভৃৎ, ধর্মব্রতা, ধর্মশাস্ত্র, ধর্মরথ, ধর্মারণ্য, ধর্মরাজ, ধর্মসাবর্ণি, ধাতু, ধূমবর্ণ, ধাতৃ, ধূমবর্ণ, ধুমাবতী, ধুন্ধু, ধুন্ধমার, ধূম্র, ধূম্রলোচন, ধূম্রাক্ষ, ধৃতরাষ্ট্র, ধৃতবর্মা, ধৃষ্টকেতু, ধৃষ্টদ্যুম্ন, ধেনুক, ধৌম্য, ধ্রæব প্রভৃতি।
ন: নকুল, নক্ষত্র, নগ্নজিৎ, নগ্নজিতী, নটরাজ, নন্দ, নন্দকানন, নন্দিনী, নন্দী, ভৃঙ্গী, নন্দীশ^র, নন্দীগ্রাম, নন্দীমুখ, নবগ্রহ, নবদুর্গা, নভগ, নমুচি, নরক, নরনারায়ণ, নরমেধ, নরসিংহ, নরন্তিক, নরান্তক, নল, নলকূবর, নহুষ, নাভাস, নাগ, নাগপাশ, নাগরাজ, নাগলোক, নাড়ীজঙ্গ, নারদ, নারায়ণ, নারায়ণী সেনা, নাভী, নচিকেতা, নায়িকা, নিকষা, নিকুম্ভ, নিকুম্ভিলা, নিবাতকবচ, নিধি, নিমি, নিরুক্ত, নিরুক্তি, নিশাকর, নিশুম্ভ, নিষদদেশ, নিষাদ, নীল, নীলকণ্ঠ, নীলধ্বজ, নীললোহিত, নৃগ, নৈমিষারণ্য প্রভৃতি।
প: পঞ্চকন্যা, পঞ্চকোষ, পঞ্চচূড়া, পঞ্চজন, পঞ্চতপা, পঞ্চদেবতা, পঞ্চনখ, পঞ্চপর্ব, পঞ্চপান্ডব, পঞ্চপিতা, পঞ্চপ্রণ, পঞ্চবট, পঞ্চবটী, পঞ্চবৃক্ষ, পঞ্চভূত, পঞ্চমুখ, পঞ্চযজ্ঞ, পঞ্চরত্ন, পঞ্চশর, পঞ্চতীর্থ, পঞ্চানন, পঞ্চাল, পঞ্চলক্ষণা, পঞ্চশিখ, পর্জন্য, পণি, পর্ণাদ, পতঞ্জলি, পদ্মা, পবন, পম্পা, পরলোক, পরশুরাম, পরাবসু, পরাশর, পরীক্ষিৎ, পশুপতি, পাকশাসন, পাঞ্চজন্য, পাঞ্চাল, পাঞ্চালী, পান্ডূ, পান্ডব, পান্ডদেশ, পান্ডরাজ, পান্ড্যদেশ, পান্ডরাজ, পাতঞ্জল দর্শন, পাতাল, পাতালকেতু, পার্থ, পার্বতী, পারিজাত, পাবক, পাশুপত অস্ত্র, পিতামহ, পিতৃগণ, পিতৃপুরুষ, পিতৃলোক, পীঠস্থান, পিনাকী, পিনাকপাণি, পিপ্পলাদ, পুঞ্জিকস্থলা, পিশাচ, পীতাব্ধি, পুন্ডু, পুন্ডুদেশ, পন্ডরীকাক্ষ, পুত, পুতলা, পুরঞ্জয়, পুরাণ, পূর্বমীমাংসা, পুরু, পুরুকুৎস, পুরূরবা, পুরোচন, পুলস্ত্য, পুলহ, পুলোমা বা পুলোমন, পুলোমজা, পুরুষোত্তম, পুষ্কর, পুষ্কল, পুষ্টি, পুষ্পক, পুষ্পদন্ত, পুষ্পোৎকটা, পুর্বচিত্তি, পুষা, পৃথা, পৃথু, পৃথি, পৃশ্নি, পৃষত,পৈল, পৌন্ডকি বাসুদেব, পৌরব, পৌলস্তী, পৌলস্ত্য, পৌলোম, পৌলোমী, পৌষ্য, প্রচেতা, প্রজঙ্ঘ, প্রজা, প্রজাপতি, প্রতর্দন, প্রতিবিন্ধ্য, প্রদ্বেষী, প্রদ্যুম্ন, প্রবীর, প্রভাস, প্রভাবতী, প্রমতি, প্রমথ, প্রমদ্বরা, প্রমীলা, প্রচ্চা, প্রলম্ব, প্রলয়, প্রসূতি, প্রসেনজিৎ, প্রহলাদ, প্রহস্ত, প্রাকশৃঙ্গবান, প্রাগ্জ্যোতিষ দেশ, প্রাচ্য, প্রাপ্তি, প্রিয়ব্রত, প্রিয়ম্বদ, প্রিয়ম্বদা।
ফ: ফাল্গুনী, ফুল্লরা, ফলবতী প্রভৃতি।
ব: বক, বকাসুর, বগলা, বঙ্গ, বজ্র, বজ্রকেতু, বজ্রজালা, বজ্রদংষ্ট্র, বজ্রদত্ত, বজ্রনাভ, বজ্রপাণি, বজ্রবারক, বটুক, বড়বামুখ, বৎস, বৎসাসুর, বড়বানল, বর্ণাশ্রম, বদান্য, বদরিকাশ্রম, বধূসরা, বন্দী, বপুষ্টমা, বভ্রু, বভ্রুবাহন, বরুণ, বরাহ, বর্চা, বর্গা, বল, বলন্ধরা, বলরাম, বলাক, বল্লভ, বলি, বরদা, বশিষ্ঠ, বর্ষ, বসু, বসুদেব, বসুধারা, বসুমনা, বসুমতী, বসুষেণ, বৎসাসুর, বাক্, বাগদেবী, বাগীশ্বরী, বাজশ্রবা, বাণ, বাতাপি, বানপ্রস্থ, বামদেব, বামন, বারুণী, বারণাবত, বালকৃষ্ণ, বালখিল্যঋষি, বাল্মীকি, বালী, বাসুদেব, বাসুকি, বাসন্তী, বাঙ্কল, বাহন, বাহিলক, বাহিলকরাজ, বাহুক, বায়ু, বিকর্ণ, বিকর্তন, বিকুক্ষি, বিচিত্রবীর্য, বিজয়, বিজয়া, বিদেহ, বিদেহী, বিদূর, বিদুলা, বিদর্ভ, বিদ্যাদেবী, বিদ্যাধর, বিদ্যাধরী, বিদ্যুৎকেশ, বিদ্যুৎজিহহ্বা, বিদ্যুম্মালী, বিধাতা, বিনতা, বিনায়ক, বিন্ধ্যাবলী, বিপ্রচিত্তি, বিপাশা, বিপুল, বিভন্ডক, বিভাবসু, বিভীষণ, বিবস্বান, বিরজা, বিরাটরাজ, বিরাধ, বিরুপাক্ষ, বিরোচন, বিশাখ, বিশাল, বিশোক, বিশল্যকরণী, বিশ্বকর্মা, বিশ্বদেব, বিশ্বাবসু, বিশ্বামিত্র, বিশ্বরূপ, বিশ্বরূপা, বিশ্রবা, বিষ্ণু, বিষ্ণুপদী, বিষ্ণুযশা, বীতহব্য, বীভৎসূ, বীরণ, বীরিণী, বীরবাহু, বীরব্রহ্ম, বীরভদ্র, বুদ্ধ, বুধ, ব্যুষিতাশ্ব, বৃকাসুর, বৃকোদর, বৃত্র, বৃত্রঘ্ন, বৃন্দা, বৃন্দাবন, বৃষকেতু, বৃষাকপি, বৃষভধ্বজ, বৃষপর্বা, বৃষভানু, বৃষসেন, বৃহৎক্ষেত্র, বৃহদশ^, বৃহদারণ্যক, বৃহন্নলা, বৃহদ্বল, বৃহস্পতি, বৃহৎগর্ভ, বৃহৎ দেবতা, বেতাল, বেদ, বেদবতী, বেদব্যাস, বেদাঙ্গ, বেদান্ত, বেণ, বৈকর্তন, বৈকুণ্ঠ, বৈনতেয়, বৈজয়ন্ত, বৈবস্বত, বৈতরণী, বৈদর্ভী, বৈদেহ, বৈশেষিক দর্শন, বৈশ্ববনর, বৈষ্ণবী, বৈশম্পায়ন, বৈশ্রবণ, বৈরোচন, ব্যোমকেশ, ব্যোমাসুর, ব্রজ, ব্রহ্ম, ব্রহ্মণস্পতি, ব্রহ্মদত্ত, ব্রহ্মর্ষি, ব্রহ্মর্ষিদেশ, ব্রহ্মা, ব্রহ্মাবর্ত, ব্রাহ্মণ প্রভৃতি।
ভ: ভগবান, ভগদত্ত, ভগবতী, ভগসূর্য, ভগবৎ পুরাণ, ভগীরথ, ভঙ্গাস্বদন, ভদ্রকালী, ভদ্রা, ভবানী, ভবিষ্য, ভরত, ভরদ্বাজ, ভস্মলোচন, ভাগুরী, ভানুমতী, ভারবি, ভার্গব, ভীম, ভীমা, ভীষণ, ভীষণা, ভীষ্ম, ভীষ্মক, ভুবনেশ^রী, ভুবর্লোক, ভুশুন্ডী, ভূমিঞ্জয়, ভুরিশ্রবা, ভূত, ভৃগু, ভৃঙ্গী, ভৈমী, ভৈরব, ভৈরবী, ভোগবতী, ভোজ, ভ্রমী, বৃহস্পতি প্রভৃতি।
ম: মকর, মকরাক্ষ, মগধ, মঙ্গল, মঙ্গলচন্্ডী, মণিগ্রীব, মণিভদ্র, মণিমান, মন্ডুক, মন্ডুকরাজ, মতঙ্গ, মৎস্য অবতার, মৎস্যগন্ধা, মৎস্য, মৎস্যদেশ, মৎস্যরাজ, মদ, মদন, মদনমঞ্জরী, মদবান, মদয়ন্তী, মথুরা, মদালসা, মধু, মধুকৈটভ, মধুছন্দা, মধুরেশ^র, মধুছন্দস্, মধুমতী, মধুসূদন, মনসা, মন্থরা, মন্দপাল, মন্দর, মন্দার, মন্দাকিনী, মন্দোদরী, মন্বন্তর, মন্মথ, মনু, মনু সংহিতা, মনোন্মাথিনী, মনোরমা, মমতা, ময়দানব, মরিচি, মরুৎ, মরুত্ত, মহাকাল, মহাকালী, মহাদেব, মহাপাশর্^, মহাপ্রলয়, মহাপুরাণ, মহাবিদ্যা, মহাভারত, মহাভিষ, মহারাজিক, মহাশীর্ষ, মহাশে^তা, মহামায়া, মহিষমর্দিনী, মহিষ্মতি, মহিষাসুর, মহেশ^র, মহেন্দ্রপর্বত, মহোদর, মান্ডক্য, মান্ডকর্ণি, মান্ডবী, মাতঙ্গ, মান্ডব্য, মাতঙ্গী, মাতলী, মান্ডকেয়, মাতৃকাগণ, মাদ্রবতী, মাদ্রী, মাধবী, মানসপুত্র, মায়া, মান্ধাতা, মায়াবতী, মায়াবী, মায়াসীতা, মারীচ, মারিষা, মার্কন্ডয়, মার্তন্ড, মৃত্যু, মালী, মালিনী, মাল্যবান, মিত্রনিন্দা, মিত্রাবরুণ, মিথি, মিথিলা, মীনাক্ষী, মুচুকুন্দ, মুন্ড, মুদগল, মুরু, মেঘনাদ, মেঘসন্ধি, মেথাতিথি, মেধস, মেনকা, মেনা, মেরু, মেরুদেবী, মেরু-সাবর্ণ, মৈত্রেয়, মৈত্রেয়ী, মৈথিলা, মৈনাক, মৈন্দ প্রভৃতি।
য: যক্ষ, যজ্ঞ, যজুর্বেদ, যব, যবক্রীত, যম, যমদ্বিতীয়া, যমী, যমুনা, যমলার্জুন, যদু, যযাতি, যশোদা, যাজ্ঞবল্ক্য, যাজ্ঞসেনী, যাজ ও উপযাজ, যাতুধান, যাতুধানী, যাস্ক, যাদবী, যুধাজিৎ, যুধামন্যু, যুধিষ্ঠির, যুবনাশ^, যুযুৎসু, যুযুধান, যূপাক্ষ, যোগ, যোগনিদ্রা, যোগবাশিষ্ট, যোগমায়া, যোগিনী, যোগেশ^র, যোগেশ^রী, যোজনগন্ধা, যোনী প্রভৃতি।
র: রক্তবীজ, রক্ষ, রক্ষরজা, রঘু, রজ, রজি, রতি, রত্নাকর, রন্তিদেব, রথীতর, রম্ভ, রম্ভা, রহুগণ, রাকা, রাক্ষস, রাঘভ, রাজধর্মা, রাজসূয়, রাধা, রাধেয়, রাবণ, রামচন্দ্র, রামায়ণ, রাহু, রুক্সরথ, রুক্সিণী, রক্সী, রুচি, রুদ্র, রুমা, রুদ্রসাবর্ণ, রুরু, রুষন্বান, রেণুকা, রেবত, রেবতী, রেবন্ত, রৈবত, রৈবতক পর্বত, রৈবত মনু, রৈভ্য, রোদসী, রোমহর্ষণ, রোহিত, রৌচ্য, রৌদ্রাশ^, রৌম্য, রৌরব প্রভৃতি।
ল: লক্ষণা, লক্ষণ, লক্ষণা, লক্ষী, লঙ্কা, লব, লবণাসুর, ললিতা, লিঙ্গ, লোক, লোকপাল, লোপামুদ্রা, লোমপাদ, লোমশ, লোমহর্ষণ, লৌহিত্য, লোলা, লৌহভীম প্রভৃতি।
শ: শকুনি, শকুনি, শকুন্তলা, শক্তি, শক্তিশেল, শক্তি, শঙ্কু, শঙ্কর, শঙ্খ, শঙ্খচক্রগদাপদ্মধারী, শঙ্খচূড়, শচী, শতক্রতু, শতদ্রু, শতধনু, শতধন্বা, শতপথব্রাহ্মণ, শতমুখ, শতরূপা, শতযূপ, শতহ্রদা, শত্রুঘু, শত্রুঘাতী, শত্রুজিৎ, শতানন্দ, শতানীক, শনি, শবর, শবরী, শবলাশ^, শমিতা, শমীক, শম্বর, শম্ভু, শর্মিষ্ঠা, শর্যাতি, শরদ্বান, শরভ, শরভঙ্গ, শল, শল্য, শশবিন্দু, শশাদ, শ^ফল্ক, শাকল্য, শাকম্ভরী, শান্ডিল্য, শান্তনু, শান্তা, শাম্ব, শালগ্রাম, শাল্ব, শিখন্ডী, শিখিধ্বজ, শিনি, শিব, শিবানী, শিলাদ, শিবি, শিশুপাল, শৃঙ্গরেবপুর, শিশুমার, শুক, শুকদেব, শুক্র, শুক্রাচার্য, শুনঃশেফ, শুভ্র, শুম্ভ, শূর্পণখা, শূরসেন, শৃঙ্গ, শৃঙ্গী, শে^ত, শে^তকি, শে^তকেতু, শে^তাবাহন, শ্রদ্ধা, শ্রী, শ্রীদাম, শ্রীবৎস, শ্রীমাদ্ভাগবত, শ্রুতকীর্তি, শ্রুতবর্মা, শ্রুতশ্রবা, শ্রুতসোমা, শ্রুতসেন, শ্রুতায়ু, শ্রুতি, শ্রুতর্ষি, শ্রুবাবতী প্রভৃতি।
য: ষটকর্ম, ষষ্ঠী, ষড়দর্শন, ষড়ঙ্গ, ষড়ানন, ষন্ড, ষড়ভুজা, ষোড়শী, ষোড়শ মাতৃকা প্রভৃতি।
স: সংজ্ঞা, সংরবণ, সংবর্ত, সংশপ্তকগণ, সংহিতা, সংহ্রাদ, সগর, সঙ্কর্ষণ, সঞ্জয়, সঞ্জীবনী, সতী, সত্য, সত্যক, সত্যকাম, সত্যবতী, সত্যব্রত, সত্যভামা, সত্যযুগ, সত্যা, সত্রাজিৎ, সনক, সনৎকুমার, সনৎসুজাত, সনন্দ, সনাতন, সপ্তানক, সন্ধ্যা, সপ্তর্ষি, সপ্তজিহবা, সপ্তদ্বীপ, সপ্তলোক, সপ্তশতী, সপ্তজনা, সপ্তরথী, সপ্তসমুদ্র, সবিতা, সব্যসাচী, সমাধি, সমন্ত পঞ্চক, সমুদ্র মন্থন, সমুদ্র-শাসন, সম্পাতি, সরমা, সর্বদমন, সর্বমঙ্গলা, সর্বাথসিদ্ধ, সরযূ, সরস্বতী, সহজন্যা, সহদেব, সহস্রপাদ, সহস্রাক্ষ, সাকল্য, সাত্যকি, সাঙ্খ্য-দর্শন, সাধ্যগণ, সান্দীপনি, সাবর্ণি মনু, সাবিত্রি, সারণ, সামবেদ, সারমেয়, সালকটঙ্কটা, সিদ্ধ, সিদ্ধপীঠ, সিদ্ধার্থ, সিদ্ধাশ্রম, সিন্ধু, সিনিবালি, সিংহিকা, সীতা, সীরধ্বজ, সুকন্যা, সুকেতু, সুকেশ, সুগ্রীব, সুজাতা, সুতীক্ষন, সুদর্শন, সুদর্শনা, সুদক্ষিণা, সুদামা, সুদেব, সুদেষ্ণা, সুদ্যুু, সুন্দ, সুধন্বা, সুধর্মা, সুনীতি, সুপর্ণ, সুপাশর্^, সুপ্রতীক, সুপ্রভা, সুবল, সুবর্চা, সুবাহু, সুবৃত্ত, সুব্রহ্মণ্য, সুভদ্রা, সুভ্রু, সুমতি, সুমন্ত্র, সুমালী, সুমুখ, সুমিত্র, সুমিত্রা, সুমেরু, সুযোধন, সুরভী, সুরসা, সুরথ, সুরা, সুরুচি, সুলভা, সুশর্মা, সুশোভনা, সুশ্রুত, সুষেণ, সুহোত্র, সূত, সূর্য, সূর্যবংশ, সৃঞ্জয়, সেতুবন্ধ, সেনজিৎ, সৈরিন্ধ্রী, সোম, সোমক, সোমদত্ত, সোমদা, সৌতি, সৌদাস, সৌবল, সৌভরি, স্কন্দ, স্থাণু, স্থূণাকর্ণ, স্থূলশিরা, স্বর্গ, স্বর্ণমুখী, স্বধা, স্বয়ম্বরা, স্বয়ম্ভু, স্বয়ম্প্রভা, সারস্বত, স্বারোচিষ, স্বাহা, স্মৃতি, স্যমন্তক মণি প্রভৃতি।
হ : হংস, হংসধ্বজ, হনুমান, হর, হরধনু, হবির্ভু, হরি, হরিচন্দন, হরিবংশ, হরিশ্চন্দ্র, হরিহর, হর্যশ্ব, হলায়ুধ, হয়গ্রীব, হয়শীরা, হস্তিনাপুর, হস্তী, হারিত, হারীত, হাহা, হুহু, হিংসা, হিন্দ্রালিনী, হিমবান, হিমালয়, হিরণ্যকশিপু, হিরণ্যগর্ভ, হিরণ্যধনু, হিরণ্যপাণি, হিরণ্যপুর, হিরণ্যবর্মা, হিরণ্যরেতা, হিরণ্যাক্ষ, হিড়িম্ব, হিড়িম্বা, হৃষীকেশ, হুতাশন, হেমকুট, হেমা, হৈমাবতী, হৈমা, হৈমবতী, হৈহয়, হ্রস্বরোমা, হলাদ প্রভৃতি।
এসব শব্দ বা লফজ সবই সংস্কৃত ভাষা থেকে আগত। অথচ বাংলার ওপর অন্যায়ভাবে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে এগুলো। গত দুশ বছর যাবত এ অপচেষ্টা চলছে। বাংলা গদ্যভাষার উদ্ভব ও বিকাশ সম্পর্কে পাশ্চাত্য ভাষাবিজ্ঞানী জর্জ গ্রিয়ারসন লিখেছেন: ‘When the advent of the English there arose a demand for Bengali) prose literature and the task of supplyer it fell into the hands of Sanskreet-readen pandits. Aûthing more monostrous than this prose dialect, as it existed the first half of the nineteenth century, it is difficult to conceive, books were written excellent in their subjects, eloquent in their thoughts, in a language from which something like ninety percent of the genuine Bengali vocabulary was excluded, and its place supplied by words borrowed from Sanskreet, which the writers themselves could not pronounce.”
বাংলা তরযমা: ইংরেজদের আগমনের পর বাংলা গদ্যভাষার চাহিদা দেখা দেয় এবং তা যোগান দেয়ার ভার পড়ে সংস্কৃতনিষ্ঠ পন্ডিতদের হাতে। উনিশ শতকের প্রথমভাগ অবধি সংস্কৃত পন্ডিতরা যেসব বাংলা গদ্যভাষা তৈরি করেন তার চেয়ে অধিকতর দুর্বোধ্য ও দানবীয় আর কিছুর কথা ভাবা যায় না। বইপত্র যা লেখা হয়-বিষয়বস্তুতে চমৎকার, চিন্তাধারায় সমুন্নত, কিন্তু তা লেখা হয় এমন ভাষায়, যে ভাষা থেকে শতকরা নব্বইটি প্রকৃত বাংলা শব্দ বাদ দিয়ে সেসব জায়গায় সংস্কৃত থেকে শব্দ নিয়ে বসিয়ে, যা লেখকদেরও উচ্চারণ করতে কষ্ট হতো।’ ওপরে উল্লিখিত শব্দসমূহ ও বর্তমানে প্রচলিত বাংলা সেই দুর্বোধ্য সংস্কৃতেরই উত্তরাধিকারসূত্র বহন করে চলছে।
পুঁথি সাহিত্যের ভাষাই প্রকৃত বাংলার অহংকার। বাংলা ভাষার আসল রূপ চিনতে অবশ্যই পুঁথি সাহিত্যের দিকে নজর বুলাতে হবে। চাষি, মজুর তথা গ্রামীণ জনপদের প্রান্তিক মানবগোষ্ঠীর মুখের বচনই বাংলা ভাষা। শহুরে অভিজাত পাড়ার পন্ডিতি পরিভাষা বাংলা ভাষার মূল নয়। সুর সম্রাট আব্বাসউদ্দীন আহমদের ভাষায়, ‘মহিষচারক মৈশালদের মুখের ভাষাই আমার মাতৃভাষা।’ জর্জ গ্রিয়ারসন বর্ণিত ৯০% প্রাকৃত শব্দ যা লুকিয়ে আছে পুঁথিসাহিত্য ভান্ডারে, গ্রাম-গঞ্জের খেটে খাওয়া আম জনতার মুখে। তাদের কথাবার্তা, ভাববিনিময়, হাসি-ঠাট্ট্রা, আনন্দ-বিনোদন, পারস্পরিক যোগাযোগের মধ্যেই ভাষার বীজ নিহিত। আবহমান কাল ধরে পরম মমতায় সৃজিত হয়েছে সেই ভাষা। এই ভাষার মূল্যায়ন যত বেশি হবে, বাংলা ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতির বিকাশও তত সমৃদ্ধ হবে।
আমাদের পূর্বপুরুষদের সহজ, সুন্দর, সাবলীল বাঙলা জবান হারিয়ে যাচ্ছে পন্ডিতি ও দুর্বোধ্য সংস্কৃতের দাপটে। বাংলা একাডেমি, বিশ^বিদ্যালয়, পাঠ্যসূচি, খবরের কাগজ সকলেই এ প্রতিযোগিতায় জয়ী হতে চায়। বাংলা ভাষা বাদ দিয়ে ব্রাহ্মণ্যবাদী সংস্কৃত ভাষাকে কায়েম করা হচ্ছে সবজায়গাতে। তথ্যবিবরণী, প্রজ্ঞাপন, দাপ্তরিক চিঠিপত্র, গণমাধ্যমের খবরাখবর, বক্তব্য-বিবৃতি, ফিল্ম, নাটক, পত্রিকার কলাম, খবরাখবর, গ্রন্থ-কিতাবাদি সর্বত্রই সংস্কৃতের সংস্কৃতির জয়জয়কর। স্কুল, কলেজ, বিশ^বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তক বর্তমানে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় পৌরাণিক ভাষা সংস্কৃত নির্ভর। তাই ভাবতেই অবাগ লাগে বাংলা আমাদের রাষ্ট্রভাষা বা মাতৃভাষা। বাংলা ভাষাকে রক্ষা করতে হলে আগ্রাসি সংস্কৃতকে ঝেটিয়ে বিদায় করতে হবে। পারস্পরিক যোগাযোগ, সংবাদ আদান প্রদান, পড়াশুনা, লেখাপড়া, বক্তব্য-বিবৃতি, বই-পুস্তিকাদি থেকে সংস্কৃতকে তাড়ানোই হোক সকলের অঙ্গীকার।
হদিস:
১. সুধীরচন্দ্র সরকার : পৌরাণিক অভিধান, এমসি সরকার অ্যান্ড সন্স প্রা. লি, ১৪ বঙ্কিম চাটুজ্যে স্ট্রিট, কলিকাতা-৭৩, দশম সংস্করণ, বৈশাখ ১৪১৫
২. নাজিরুল ইসলাম মোহাম্মদ সুফিয়ান: বাংলা সাহিত্যের নূতন ইতিহাস, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, জুলাই ১৯৯২
৩. অধ্যাপক ড. এস এম লুৎফর রহমান: বাঙালীর লিপি বানান ও জাতির ব্যতিক্রমী ইতিহাস ১-৩ খন্ড, ধারণী সাহিত্য সংসদ, রথখোলা, ঢাকা।
বি.দ্র.- অক্ষর অনুযায়ী বিন্যাসকৃত শব্দগুলো নেয়া হয়েছে সুধীরচন্দ্র সরকার সংকলিত পৌরাণিক অভিধান থেকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।