নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আর কয়েকবারের সূর্য উদয়স্তের অপেক্ষা। রাশিয়ায় বসবে ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’। ফুটবল মহাজজ্ঞকে সামনে রেখে বিশ্বকাপের ইতিহাসে এ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা-তথ্য-উপাত্ত নিয়ে গণমাধ্যমগুলো এখন বেশ সোচ্চার। তারই অংশ হিসেবে ফুটবলের অন্যতম জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গোলডটকম বিশ্বকাপে অংশ নেয়া বয়ষ্ক খেলোয়াড়ের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। সেগুলো নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন...
১৫.মারিও ইয়েপেস (কলম্বিয়া, ৩৮ বছর ৫ মাস ২১ দিন)
সাবেক পিএসজি সেন্টার ব্যাক মারিও ইয়েপেস কলম্বিয়ার হয়ে ১০২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশ নিয়েছেন। ১৯৯৯ সালে সিনিয়র দলে তার অভিষেক হয়। ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপের মাধ্যমে শেষ হয় আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। ঐ আসরে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের মুখোমুখি হয় কলম্বিয়া। ম্যাচটিতে অধিনায়কত্ব করা ইয়েপেসের তখন বয়স ছিল ৩৮ বছর।
১৪. ভিটোর ডামাস (পর্তুগাল, ৩৮ বছর ৮ মাস ৩ দিন)
১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে তিনটি ম্যাচ খেলেছিল পর্তুগাল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয়ী হলেও বাকি দুটি ম্যাচে পরাজিত হয়ে গ্রুপের একেবারে তলানির দল হিসেবে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় তারা। ডামাস ইনজুরি আক্রান্ত ম্যানুয়েল বেনটোর স্থানে দুটি পরাজিত ম্যাচেই খেলেছেন। মেক্সিকো থেকে ফিরেই তিনি অবসরের ঘোষনা দেন।
১৩. ডেভিড সিম্যান (ইংল্যান্ড, ৩৮ বছর, ৯ মাস ২ দিন)
২০০২ সালের ইংল্যান্ড দলটিকে সমর্থকরা স্বর্ণযুগের দল হিসেবে অভিহিত করেছিল। কিন্তু নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি ইংলিশরা। কোরিয়া-জাপান বিশ্বকাপে কোয়র্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়। ঐ আসরে ৩৮ বছর বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে সিম্যান থ্রি লায়ন্সদের দলে সবচেয়ে সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন।
১২. ইয়ান হেইন্তজে (ডেনমার্ক, ৩৮ বছর ৯ মাস ২০ দিন)
পিএসভি’র সাবেক ফুল-ব্যাক হেইন্তজে ডেনমার্কের হয়ে রেকর্ড ৮৬ ম্যাচে অংশ নিয়েছেন। ২০০২ সালের কোরিয়া-জাপান বিশ্বকাপের মধ্য দিয়ে শেষ হয় তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। বিশ^কাপের ঐ আসরে গ্রুপ পর্বে সেনেগালের সাথে ১-১ গোলের ড্র ম্যাচটিতে ৩৮ বছর বয়সে অধিনায়কত্ব করেছিলেন হেইন্তজে। তবে ইংল্যান্ডের কাছে পরাজিত হয়ে শেষ ১৬ থেকে বিদায় নেয়া ড্যানিশ দলে জায়গা করতে পারেননি।
১১. স্ট্যানলি ম্যাথুস (ইংল্যান্ড, ৩৯ বছর ৪ মাস ২৫ দিন)
১৯৫৭ সালে ইংল্যান্ড জাতীয় দল থেকে অবসরে যান স্ট্যানলি ম্যাথুস। প্রথম ও এখন পর্যন্ত একমাত্র ইংলিশ হিসেবে খেলোয়াড় থাকাকালিন অবস্থায় তাকে নাইট উপাধীতে ভূষিত করা হয়। ১৯৫৪ সালে সুইজারল্যান্ড বিশ^কাপই ছিল তার শেষ বিশ্বকাপ। উরুগুয়ের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে ৪-২ গোলের জয়ের ম্যাচটিতে ৩৯ বছর বয়সে অংশ নিয়েছিলেন স্ট্যানলি।
১০. জোসেফ এন্টোনি বেল (ক্যামেরুন, ২৯ বছর ৮ মাস ১৬ দিন)
মার্সেই ও সেইন্ট-এটিয়েনের সাবেক গোলরক্ষক জোজো বেল ক্যামেরুনের হয়ে ৫২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও ক্যারিয়ারে ১৯৮২, ১৯৯০ ও ১৯৯৪ সালের বিশ^কাপে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। ৯৪’র বিশ্বকাপে ‘বি’ গ্রæপে ব্রাজিলের বিপক্ষে ৩-০ গোলে ক্যামেরুনের পরাজয়ের দিন বেলের বয়স ছিল ৩৯ বছর।
৯. অ্যাঞ্জেল লাব্রুনা (আর্জেন্টিনা, ৩৯ বছর ৮ মাস ১৮দিন)
রিভার প্লেটের আইকন অ্যাঞ্জেল লাব্রুনা ১৯৫৮ সালে চেক রিপাবলিকের কাছে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত হবার ম্যাচটিতে আজেন্টাইন দলের আক্রমনভাগের নেতৃত্বে ছিলেন। ঐ আসরে ৩৯ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড কোন গোল করতে পারেননি। আর্জেন্টিনার হয়ে ৩৭ ম্যাচে তিনি সর্বমোট ১৭টি গোল করেছিলেন।
৮. ডেভিড জেমস (ইংল্যান্ড, ৩৯ বছর ১০ মাস ২৬ দিন)
২০১০ সালে জাতীয় দল থেকে অবসরের ঠিক আগে ডেভিড জেমসের সাথে ইংল্যান্ড দলের সম্পর্কটা অনেকটাই আবেগপূর্ণ ছিল। ঐ বছরই দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ^কাপের মাধ্যমে ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলেছেন জেমস। প্রায় ৪০ বছর বয়সে জার্মানীর কাছে ৪-১ গোলের পরাজিত ম্যাচটি ছিল তার ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
৭. জিম লেইটন (স্কটল্যান্ড, ৩৯ বছর ১০ মাস ৩০ দিন)
১৯৯৮ সালে স্কটল্যান্ডের হয়ে শেষ বিশ্বকাপ খেলেছেন লেইটন। আসরটিতে স্কটল্যান্ড কোন সাফল্যই দেখাতে পারেনি। গ্রুপ পর্বে ব্রাজিল ও মরক্কোর কাছে পরাজিত হলেও নরওয়ের সাথে কোনরকমে ড্র করে তারা। আর এর মাধ্যমে জিম লেইটন ও তার স্কটিশ সতীর্থরা খালি হাতে দেশে ফেরে। তিনটি ম্যাচেই খেলা লেইটনের তখন বয়স ছিল ৪০ বছর।
৬. আলি বোমনিজেল (তিউনিশিয়া, ৪০ বছর ২ মাস ১০ দিন)
২০০৬ সালে ইউক্রেনের কাছে ১-০ গোলের পরাজয়ের ম্যাচটিতে ৪০ বছর বয়সী আলি বোমনিজেল ছিলেন তিউনিশিয়ার নাম্বার ওয়ান খেলোয়াড়। গ্রæপ পর্বে তিউনিশিয়া তৃতীয় স্থান লাভ করে। এর এক বছর পরেই বোমনিজেল আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষনা দেন।
৫. ডিনো জফ (ইটালি, ৪০ বছর ৪ মাস ১৩ দিন)
১৯৮২ সালের বিশ^কাপে কিংবদন্তী গোলরক্ষক ডিনো জফ নিজেকে দারুনভাবে প্রমান করেছিলেন। মাদ্রিদের ৯০ হাজার দর্শকের সামনে পশ্চিম জার্মানীকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ইটালির শিরোপা দখল করার মূল কারিগর ছিলেন জফ। এর আগে টুর্নামেন্টে ইটালি চতুর্থ স্থান লাভ করেছিল, ঐ আসরেও খেলেছিলেন জফ। তখন তার বয়স ছিল ৪০ বছর ৪ মাস ১৩ দিন।
৪. পিটার শিলটন (ইংল্যান্ড, ৪০ বছর ৯ মাস ১৯ দিন)
ইংল্যান্ডের অন্যতম সফল এই গোলরক্ষক ৪০ বছর বয়সে সর্বশেষ বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলেছেন। পশ্চিম জার্মানীর কাছে সেমিফাইনালে পেনাল্টি ফসকে পরাজিত হবার পরে তৃতীয় স্থান নির্ধারনী ম্যাচটিতেও ২-১ গোলে পরাজিত হয়েছিল ইংল্যান্ড। ঐ ম্যাচটিই ছিল শিলটনের বিশ^কাপ ক্যারিয়ারের সর্বশেষ ম্যাচ।
৩. প্যাট জেনিংস (নর্দান আয়ারল্যান্ড, ৪১ বছর)
১৯৮৬ সালে নর্দান আয়ারল্যান্ডের হয়ে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছিলেন প্যাট জেনিংস। কিন্তু তারপরেও এখন পর্যন্ত দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড ধরে রেখেছেন ওয়াটফোর্ড, টটেনহ্যাম ও আর্সেনালের সাবেক এই গোলকিপার। ১৯৮৬ সালে বিশ^কাপের সর্বশেষ ম্যাচে ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলেন ৪১ বছর বয়সে।
২. রজার মিলা (ক্যামেরুন, ৪২ বছর ১ মাস ৮ দিন)
ক্যামেরুনের সাবেক জাতীয় দলের খেলোয়াড় রজার মিলা তিনটি বিশ^কাপে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৮২, ১৯৯০ ও ১৯৯৪ সালে তিনি বিশ^কাপের আসরে নিজেকে মেলে ধরেছিলেন। রাশিয়ার বিপক্ষে ৬-১ গোলের পরাজয়ের ম্যাচটিতে ১৯৯৪ সালে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশী বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে মিলা গোল করার কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন।
১. ফারিড মোনড্রাগন (কলম্বিয়া, ৪৩ বছর, ৩ দিন)
৪৩ বছর বয়সে বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে গোলরক্ষক ফারিড মোনড্রাগন এখন পর্যন্ত আসরে প্রতিনিধিত্ব করা সবচেয়ে বেশী বয়সী খেলোয়াড় ও গোলকিপার। সাবেক ইন্ডিপেন্ডেন্ট, গ্যালাতাসার ও কোলনের এই গোলকিপার ২০১৪ সালে জাপানের বিপক্ষে ৪-১ গোলের জয়ের ম্যাচটিতে মোনড্রাগন এই রেকর্ড গড়েন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।