বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মীরসরাইয়ে একটি সেতু বদলে দিতে পারে কয়েক হাজার মানুষের ভাগ্য। মায়ানী, মঘাদিয়া ও সাহেরখালী ৩ ইউনিয়নের মোহনায় এ সাঁকোর ওপর দিয়েই সাহেরখালীর কেন্দ্রবিন্দু থেকে লাখ লাখ টাকার মৎস্য, কাঁকড়া, উপকূলীয় বন থেকে আহরিত জ্বালানী ও নানা খাদ্যদ্রব্য প্রতিদিন ১৩নং মায়ানী ইউনিয়ন, ১৪নং হাইতকান্দি ও ১৬নং সাহেরখালী ইউনিয়ন সহ মীরসরাইয়ের বিভিন্ন স্থানে যায় । স্থানীয় বাসিন্দারা অনেক দুর্ভোগের মধ্যদিয়ে পাড়ি দেয় এ সাঁকো। এলাকাবাসীর দীর্ঘকালের দাবী এ খালের ওপর সেতু নির্মাণ করার।
উপজেলার ১৩নং মায়ানী ইউনিয়নের আনন্দ বাজার সংলগ্ন সাহেরখালী স্লুইসগেইটে যাওয়ার একমাত্র খালে তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে হাজার হাজার মানুষের ভাগ্যের অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে এ সাঁকো। নির্বাচন এলে জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস দিলেও নির্বাচনের পরে কেউ আর খবর নেন না উন্নয়ন বঞ্চিত চরাঞ্চলবাসীর। উপজেলার মায়ানী, মঘাদিয়া ও সাহেরখালী ইউনিয়নের সংযুক্ত এ খালের পাশের তিনটি ইউনিয়ন প্রায় ২০ হাজার মানুষ ও স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। মাত্র একটি সেতু বদলে দিতে পারে এ অঞ্চলের ভাগ্যের চাকা। উপজেলার অবহেলিত চরাঞ্চলের জেলেপাড়ার মানুষগুলো নড়বড়ে একটি বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে তিন যুগ ধরে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে আসছে। আর বরাবরই সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন জনপ্রতিনিধিরা। নির্বাচনের সময় উনয়নের ফুলঝুড়ি দিয়ে ভোট নিয়ে নির্বাচিত হওয়ার পর জনগণের দূর্ভোগের কথা বেমালুম ভুলে যান তারা।
এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা পশুরাম জলদাস জানান, এ সাঁকো দিয়ে দৈনিক ৪-৫ হাজার মানুষ চলাচল করে, জলদাসের তিন গ্রামের একটি নামকরা সাহেরখালী ¯øুইসগেইট। এ ঘাটে দৈনিক হাজার হাজার টাকার মাছ বিক্রি হয়। একটি সেতু নির্মিত হলে এখানে বসবাসরত মানুষ্যের ভাগ্যের আমূল পরিবর্তন ঘটবে। সাঁকো দিয়ে নিয়মিত যাতায়াতকারী হুমায়ুন কবির বাবুল জনান, সাঁকোটির দুই পারের মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে পারাপার হতে হয়। বর্ষাকালে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয়। সাঁকোস্থলে সেতু নির্মাণ হলে চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার মান আরো বৃদ্ধি পাবে।
এ বিষয়ে ১৩নং মায়ানী ইউনিয়েনের চেয়ারম্যান কবির আহম্মদ জানান, সাহেরখালী খালের ওপর বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে এলাকাবাসীর প্রাণের দাবী দ্রæত সেতু নির্মাণে। আমরা গত অর্থ বছরের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার আওতায় ৫৬ লাখ টাকার বরাদ্দ পেয়েও দুর্ভাগ্যবসত আর্থিক সংকট দেখিয়ে সেতুর জন্য বরাদ্দ বাতিল করা হয়। তবে আমরা আশা রাখছি চলতি অর্থবছরে এ দাবী বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি এবং খুবই শীঘ্রই বাস্তবায়ন হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।