পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ভাগ্য বদলাতে নারীরা বিদেশে যাচ্ছেন একটু সুখের আশায়। সেখানে তাদের কপালে জুটছে ভয়াবহ শারীরিক, মানসিক এবং যৌন নির্যাতন। সউদী আরব থেকে নির্যাতিত হয়ে দেশে ফেরা নারী কর্মীদের সংখ্যা বাড়ছেই। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত নির্যাতিত হয়ে প্রায় হাজার খানেক নারী গৃহকর্মী দেশে ফিরেছেন। দেশে ফেরার অপেক্ষায় সেখানে সেফ হাউজ ও বিভিন্ন জেলে আছেন আরও অনেকে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সিভিল সোসাইটি ফর মাইগ্রেশন (বিসিএসএম) এর উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী রীনা রায়। মৌসুমি, লতা, কুলসুম, শারমিনসহ অনেকেই একরাশ স্বপ্ন নিয়ে গিয়েছিলেন সউদী আরবে। আশায় বুক বেঁধেছিলেন পরিবার-পরিজনের মুখে হাঁসি ফোটাবেন। দালালদের মিষ্টি কথায় মধ্যপ্রাচ্যের পেট্রোডলারের আশায় পাড়ি জমিয়েছিলেন সউদীতে। তাদের সেই আশাপূরণ হয়নি, ভয়াবহ তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে কোনো রকমে দেশে ফিরে এসেছেন কুলসুম-শারমিনরা।
সংবাদ সম্মেলনে সউদীফেরত নারীরা সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন তাদের দুঃসহ যন্ত্রণার কথা। সউদীফেরত শতাধিক নারীকে নিয়ে কয়েকটি এনজিও ‘সউদী আরবে নারী গৃহকর্মীর ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে’ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। দেশে ফিরে আসা নারী কর্মীরা তাদের ওপর নির্যাতনের ভয়াবহ বর্ণনা দেন । সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অধিক সময় ধরে কাজ করানো, সময় মতো ঘুমাতে না দেওয়া, ঠিক মতো খাবার না দেওয়া, মাস শেষে নির্ধারিত বেতন না দেওয়া, গৃহকর্তা এবং বাড়ির অন্যদের দ্বারা ভয়াবহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনসহ যৌন নির্যাতনের ফলে গর্ভবতী হয়ে দেশে ফেরত আসার মতো ঘটনাও ঘটছে। ফেরত আসা নারীরা জানিয়েছেন, প্রতিবাদ করলে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটে। গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। মাথায় গরম পানি ঢেলে দেয়া হয়। চুল টেনে তুলে ফেলা হয়। গরম আয়রন মেশিন দিয়ে শরীরে ছ্যাকা দেয়া হয়। এসব ঘটনার প্রতিকারের জন্য সংবাদ সম্মেলনে কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। সুপারিশগুলো হলো- সউদী আরবসহ বিদেশে কাজ করতে যাওয়া প্রতিটি নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারকে ফেরত আসা গৃহশ্রমিকের ক্ষতিপূরণ, স্বাস্থ্যসেবা ও প্রাপ্য মজুরি নিশ্চিত করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।