পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যশোর থেকে রেবা রহমান : যশোর অঞ্চলে ঈদের মার্কেট ক্রমেই জমজমাট হচ্ছে। যার যা সাধ্য আছে সে অনুযায়ী খুশীর ঈদ উপলক্ষে পরিবারের চাহিদা পুরণ করছেন। ঈদের কেনাকাটা চলছে সমানতালে। শুধু যশোর নয়, বরাবরের মতো এবারও জেলার সকল উপজেলায় ঈদ মার্কেটে উপচেপড়া ভিড় হচ্ছে। তবে লক্ষ্য করা গেছে, বাহারী ও নামী দামী জিনিসপত্র ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা হচ্ছে তুলনামূলকভাবে কম। যে যার সাধ্যমতো জিনিস কিনছেন বেশ হিসাব-নিকাশ করে। যাকাতের জন্য শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন গরীব, দুঃস্থ ও অভাবী লোকজন। যারা প্রতিবছরই একাধিক লোকের কাছ থেকে পবিত্র ঈদুল ফেতরে যাকাতের কাপড় চোপড় পেয়ে থাকে। রমজানের শষদিকে পাড়া ও মহলায় দানশীল অর্থবিত্তশালী লোকদের বাড়ী বাড়ী যাকাত নেয়ার জন্য ভিড় লাগবে। যশোর বড়বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রচন্ড তাপদাগের কারনে মানুষ কালে ও বিকাল থেকে রাতঅবধি পরিবার পরিজনের সাথে দোকান দোকান ঘুরে জিনিসপত্র কিনছেন। সকাল থেকে রাতঅবধি বেচাকেনা হচ্ছে বিপনী বিতান ও দোকানপাটে।
যশোরের মুজিব সড়কের সুইসুতা, কাপুড়িয়া পট্রির বিদিশা, মনষা বস্ত্রালয়, মুজিব সড়কের ধারা, রং ফ্যাশন, তাড়ং, শাড়ী ঘর, তাঁত কুটির, বিদিশা, লিবার্টি স্যু, লেডিস কর্ণারসহ বিভিন্ন অভিজাত বিপণীতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়েছে রমজানের তৃতীয় দিন থেকেই। লক্ষনীয় বিষয় হচ্ছে, অভিজাত বিপণীতে বেচাকেনা তুলনামূলকভাবে কম। ভারতীয় কাপড়ের পাঞ্জাবী, থ্রিপিস, শাড়ীর বেচাকেনা হচ্ছে ঠিকই কিন্তু আধিক্য কম। দেশী সুতী কাপড়ের চাহিদা বেশী। তবে বেশী বিক্রি হচ্ছে সাধারণ ঈদ মার্কেটে। যশোরে গরীবের মার্কেট হিসেবে পরিচিত কালেক্টরেট মার্কেটে ভিড় বেশী। এক ব্যবসায়ী বললেন, এবার শিশু ও কিশোরদের পাঞ্জাবী, জুতা, স্যান্ডেল ও টি শার্ট এবং থ্রি-পিস বিক্রি হচ্ছে বেশী। বড়দের জিনিসপত্রও বিক্রি হচ্ছে কম। ইমিটেশনের কানের দুল, চুড়ি ও পারফিউমের দোকানেও ভিড় আছে। ঈদমার্কেটে সাধারণত সকালে আর কিাল থেকে রাতপর্যন্ত ভিড় হচ্ছে। দুপুরে রাস্তাঘাট দোকানপাটে লোকজনের উপস্থিতি একেবারেই কম। এর কারণ প্রচন্ড তাপদাহ।
ঝিকরগাচার এক ব্যবসায়ী স্ত্রী সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন যশোর এইচ এম এম রোডে। কথা হয় তাদের সঙ্গে। বললেন, কেনাকাটা তো করতেই হবে। তাই আগেভাগেই করা ভালো। সাধ আছে সাধ্য নেই-ঈদের ক্ষেত্রে তা যেন প্রযোজ্য নয়। যেভাবেই হোক পরিবার-পরিজনের জন্য নতুন জামা কাপড় ও জিনিসপত্র কেনার ব্যাপারে কার্পন্য করা ঠিক হবে না। তাই ছুটে এসেছি। একই ধরণের কথা বললেন কাপুড়িয়া পট্রির মনসা বস্ত্রালয়ে চৌগাছার এক কলেজ শিক্ষক। তিনি বললেন, যাকাতের কাপড় কেনা ও বিলি করতে সময় লাগবে, তাছাড়া পরিবারের পছন্দসই কাপড় জুতা স্যান্ডেল কিনতে তো সময় লাগবে তাই সময় হাতে নিয়ে বাজারে নেমেছি। দোকানীদেও কথা সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদেও বেতন ভাতা পাওয়ার পর ও রমজানের শেষদিকে বেচাকেনা উঠবে তুঙ্গে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।