Inqilab Logo

রোববার, ২৩ জুন ২০২৪, ০৯ আষাঢ় ১৪৩১, ১৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

উল্টোপথে ব্যাংক সুদের হার

সর্বোচ্চ সুবিধা সত্ত্বেও

| প্রকাশের সময় : ৩১ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

০ আরো সুবিধা নিতে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বসছে বিএবি
০ সুদের লাগাম টানতে স্প্রেড চার শতাংশে নামাতে নির্দেশ
হাসান সোহেল : সুদের হার কমানো, ব্যাংকের তারল্য সঙ্কট নিরসনসহ ব্যাংক খাতে বিরাজমান সমস্যা নিরসনে সর্বোচ্চ সুবিধা দেয়া হয়েছে। এসব সুবিধা দেয়ার উদ্দেশ্য ছিল ঋণের সুদ এক অঙ্কের ঘরে নামিয়ে আনা; যাতে বিনিয়োগ বাড়ে। কিন্তু ওই সব সুবিধা নেয়ার পরও ঋণের সুদ না কমে উল্টো বাড়ছে। এমনকি পুরাতন গ্রাহকদের সুদের হারও বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এ কারণে ঋণ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ী ও গ্রাহকরা। ব্যাংক মালিকরা বলছেন, সুদের হার কমতে আরো সময় লাগবে। আর এসব নিয়ে সরকারের পাশাপাশি উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ ব্যাংক। আর তাই বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত দু’টি সার্কুলারে স্প্রেড চার শতাংশে নামিয়ে আনতে বলা হয়েছে। অর্থনীতিবিদরাও সুদের হার কমাতে দ্রæত পদক্ষেপ নিতে বলছেন। তারা বলছেন, এ পর্যন্ত ব্যাংকগুলোকে নানা সুবিধা দেয়া হলো অথচ এরপরও ঋণের সুদের হার কমিয়ে আনতে পারেননি তারা।
সূত্র মতে, ঋণের সুদের লাগাম টানতে এবার ঋণ ও আমানতের সুদহারের ব্যবধান (স্প্রেড) কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটা বিদ্যমান ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪ শতাংশে করা হয়েছে। অর্থাৎ ব্যাংকগুলো যে সুদে আমানত সংগ্রহ করবে তার সাথে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ যোগ করে ঋণের সুদ নির্ধারণ করতে পারবে। এর ফলে ঋণের সুদ অন্তত ১ শতাংশ কমবে। অন্যদিকে, পুরাতন গ্রাহকের সুদে ঊর্ধ্বমুখী ঠেকাতে ঋণ মঞ্জুরিপত্রে সুদহার অপরিবর্তনশীল লেখা থাকলে বাড়ানো যাবে না আর পরিবর্তনশীল লেখা থাকলে তা বছরে একবার বাড়ানো যাবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার এ সংক্রান্ত দু’টি সার্কুলার দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র মতে, সাম্প্রতিক সময়ে তারল্য সঙ্কটের অজুহাত তুলে ব্যাংক মালিকরা সরকার থেকে বিভিন্ন সুবিধা নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেÑ সরকারি আমানতের ৫০ শতাংশ তহবিল বেসরকারি ব্যাংকে রাখার সুযোগ, বাংলাদেশ ব্যাংকে রাখা ব্যাংকগুলোর নগদ জমা সংরক্ষণ (ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও বা সিআরআর) ১ শতাংশ কমিয়ে সাড়ে ৫ শতাংশ করা এবং এডিআর সমন্বয়ের সময়সীমা বাড়িয়ে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ করা। এসব সুবিধা নেয়ার সময় তারা ঋণের সুদহার কমানোরও প্রতিশ্রæতি দিয়েছিল। কিন্তু সুবিধা নেয়ার পর সেই প্রতিশ্রæতি রক্ষা করছেন না। জানা গেছে, এসব সুবিধা কার্যকর হওয়ার পরও ব্যাংকিং খাতে ঋণের সুদহার বাড়ছে। গত মার্চ মাসেই দেশের ৫৭টি ব্যাংকের মধ্যে ৪৪টি তাদের ঋণের সুদ বাড়িয়েছে। এটাকে উদ্বেগজনক বলছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)-এর দাবির মুখে সরকারি আমানতের ৫০ শতাংশ বেসরকারি ব্যাংকে রাখার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বিধিবদ্ধ নগদ জমার হার (সিআরআর) এক শতাংশ হ্রাসের পাশাপাশি ঋণ আমানতের হার (এডিআর) সমন্বয়সীমার সময়ও বাড়ানো হয়েছে। ছয় দশমিক ৭৫ থেকে কমিয়ে ছয় শতাংশ করা হয়েছে রেপো রেট। তারও আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের আপত্তি সত্তে¡ও বিএবির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংশোধনী এসেছে ব্যাংক কোম্পানি আইনে। এরপরেও আজ বৃহস্পতিবার তারা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে জমা থাকা বিনিয়োগ অতিরিক্ত আমানত এক থেকে তিন শতাংশ সুদে বেসরকারি ব্যাংকে দেয়ার দাবি নিয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
ঋণের সুদহার কমিয়ে সিঙ্গেল তথা এক ডিজিটে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিকবার তাগিদ দেয়ার পর ব্যাংকগুলো এ ব্যাপারে প্রতিশ্রæতি দিলেও তা কার্যকর হয়নি, বরং সুদের হার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ২০ শতাংশের ওপরে উঠে গেছে। এ কারণে বড় ধরনের অস্বস্তিতে আছেন ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, মার্চ শেষে দেশের ব্যাংকিং খাতে মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়ায় ১০ লাখ ৫৪ হাজার ১১৩ কোটি টাকা। এ পরিমাণ আমানত থেকে ব্যাংকগুলো নয় লাখ ৬৪ হাজার ২০৫ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। ওই সময় পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর কাছে মোট উদ্বৃত্ত তারল্য ছিল দুই লাখ ৪৯ হাজার ৭২৪ কোটি টাকা। উদ্বৃত্ত তারল্যের মধ্যে ব্যাংকগুলোকে বাধ্যতামূলকভাবে সর্বনি¤œ এক কোটি ৭৬ লাখ ৯৭৪ কোটি টাকা সিআরআর ও এসএলআর হিসেবে জমা রাখতে হয়। সে হিসাবে মার্চ শেষে সরকারি-বেসরকারি ও বিদেশী খাতের ৫৭টি ব্যাংকের হাতে বিনিয়োগ করার মতো উদ্বৃত্ত তারল্য ছিল ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। উদ্বৃত্ত এ তারল্যের সিংহভাগই ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর হাতে। দেশের বেসরকারি খাতের অধিকাংশ ব্যাংকের হাতেই বর্তমানে বিনিয়োগ করার মতো নগদ তারল্য নেই। ফলে ব্যাংকগুলো উচ্চসুদে আমানত সংগ্রহ করতে মরিয়া হয়ে গ্রাহকদের পেছনে ছুটছে।
বিএবি চেয়ারম্যান মো: নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেছেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন সত্তে¡ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের আমানত বেসরকারি ব্যাংকে আসছে না। ফলে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর হাতে বিনিয়োগ করার মতো পর্যাপ্ত অর্থ নেই। সরকারি ব্যাংকগুলোই ঋণের সুদহার না কমিয়ে উল্টো বাড়িয়েছে। অথচ তাদের হাতে বিপুল পরিমাণ আমানত অলস পড়ে আছে। সুদহার কমানোর ব্যাপারে আমাদের সুনির্দিষ্ট কোনো দাবি নেই। আলোচনার ভিত্তিতেই সরকারি ব্যাংকের আমানত বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানান এই ব্যাংকার।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নির্বাচনের আগে একটি মহল ব্যাংকঋণের সুদের হার নিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তা না হলে এভাবে কমানোর বদলে সুদের হার উল্টো বাড়ানো হতো না। তারা আরো বলছেন, এত উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করা কঠিন। সুদের হার কমানোর কথা বললেই খেলাপি ঋণের কথা ওঠানো হয়, কিন্তু খেলাপি ঋণ বাড়ার দায় ব্যবসায়ীদের নয়।
তৈরী পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, ঋণের সুদের হার যত সহনীয় হবে, ব্যবসা করা ততই সহায়ক হবে। গত বছর ঋণের সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নামতে শুরু করেছিল। প্রধানমন্ত্রীরও নির্দেশনা ছিল সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার। যদি সুদের হার কমানোর বিষয়টি সঠিকভাবে তদারকি করা না হয়, তাহলে সেটা উল্টো বাড়তে থাকবে। এতে ব্যবসার খরচ বেড়ে গিয়ে লোকসানের মুখে পড়বে প্রতিষ্ঠানগুলো। এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আবার অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়, ব্যাংক মালিক ও এমডিদের সংগঠন এবং ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বসে সরকারের উচিত ঋণের সুদহার যত দ্রæত সম্ভব কমানোর উদ্যোগ নেয়া।
ভুক্তভোগী এক গ্রাহক জানান, বেসরকারি একটি ব্যাংক থেকে গৃহঋণ নেয়ার পাঁচ মাসের ব্যবধানে সুদহার দুই শতাংশ বাড়িয়ে সাড়ে ১১ শতাংশ নির্ধারণ করে চিঠি দিয়েছে। এভাবে কয়েক মাসে এক লাফে দুই শতাংশ সুদহার বাড়ানো অস্বাভাবিক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, শিল্পঋণের বিপরীতে উদ্যোক্তাদের সুদ গুনতে হচ্ছে ১৪ থেকে ১৭ শতাংশ পর্যন্ত। ঋণ প্রক্রিয়াকরণ ফিসহ অন্যান্য ফি মিলিয়ে এ হার পড়ছে ২০ শতাংশের ওপরে। ব্যাংক খাত বিশ্লেষকরা বলছেন, আগ্রাসী ব্যাংকিংয়ের কারণে অর্থ সঙ্কটে ভুগছে ব্যাংকগুলো। খেলাপি ঋণের পরিমাণ না কমলে সুদহারও কমানো সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারি আমানতের পর এবার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের অলস অর্থও ব্যবহারের সুযোগ চান বেসরকারি ব্যাংকের উদ্যোক্তারা। এ জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দেনদরবারও শুরু করেছেন তারা। কিন্তু এ পর্যন্ত তাদের কতগুলো সুবিধা দেয়া হলো অথচ এরপরও ঋণের সুদের হার কমিয়ে আনতে পারেননি তারা। তিনি বলেন, ব্যাংক ম্যানেজারদের টার্গেট দিয়ে উচ্চ মুনাফা করাটা যুক্তিযুক্ত নয়। মুনাফা বাড়াতে হবে পরিচালন ব্যয় কমিয়ে। তহবিল খরচও কম ধরতে হবে। মন্দ ঋণ কমানো এবং অবলোপন করা ঋণ আদায়ের চেষ্টা করতে হবে।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান এবং ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরাও চাই ঋণের সুদ কমাতে। কিন্তু সিআরআর কমানোর ফলে ব্যাংকগুলো ১০ হাজার কোটি টাকা ফেরত পেলেও সরকারি আমানতের ৫০ শতাংশের সুবিধা এখনো পাওয়া যায়নি। এ কারণে সিআরআর কমানোর খুব বেশি প্রভাব পড়ছে না।
ঋণের সুদহারের লাগাম টানার দাবি জানিয়ে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন বলেন, এত উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে কেউ ব্যবসা করে মুনাফা করতে পারবে না। মুনাফা না হলে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধও করতে পারবে না। এতে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে। কর্মসংস্থানও সংকুচিত হয়ে আসবে।
স্প্রেড চার শতাংশে নামাতে হবে : আমানত ও ঋণের সুদহার যৌক্তিকীকরণ নিয়ে জারি করা সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংক উল্লেখ করেছে, স¤প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে যে, ব্যাংকগুলো বিভিন্ন প্রকার ঋণের সুদহার ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি করছে। ঋণের সুদহার অযৌক্তিক মাত্রায় বৃদ্ধি করা হচ্ছে, যা উদ্বেগজনক। এ পরিপ্রেক্ষিতে উৎপাদনশীল খাতসহ বিভিন্ন খাতে ঋণের সুদহার যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণের লক্ষ্যে ক্রেডিট কার্ড ও ভোক্তাঋণ ছাড়া অন্যান্য খাতে ঋণ এবং আমানতের গড়ভারিত সুদ হারের ব্যবধান বা স্প্রেড চার শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখার জন্য আপনাদের নির্দেশনা দেয়া যাচ্ছে। আগে নির্দেশিত স্প্রেডের সীমা ছিল পাঁচ শতাংশ।
বিদ্যমান ঋণের সুদ বাড়ানোর (পুরাতন গ্রাহকদের) বিষয়ে আরেক সার্কুলারে বলা হয়েছে, নতুন ঋণ মঞ্জুরি ছাড়াও বিদ্যমান ব্যাংকঋণ হিসাবগুলোতে আকস্মিক অযৌক্তিক মাত্রায় উচ্চতর সুদহার নির্ধারণের কিছু কিছু দৃষ্টান্ত সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে; যা ঋণগ্রহীতাদের পরিশোধ সামর্থ্যরে ও আর্থিক সঙ্গতির ওপর অনভিপ্রেত চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি বিনিয়োগ ও উৎপাদনের ওপর প্রভাব ফেলবে। এ প্রেক্ষিতে ঋণ শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং নতুনভাবে খেলাপি ঋণ সৃষ্টির ঝুঁকি এড়াবার লক্ষ্যে কোনো ঋণের মঞ্জুরিপত্রে সুদ অপরিবর্তনশীল লেখা থাকলে ওই ঋণের বিপরীতে সুদের হার বাড়ানো যাবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে পরিবর্তনশীল লেখা থাকলে বছরে সর্বোচ্চ একবার সুদহার বাড়ানো যাবে। মেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং চলতি ঋণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ এক শতাংশ প্রতিবার বাড়ানো যাবে। তবে সুদহার বাড়ানোর আগে কমপক্ষে তিন মাস আগে গ্রাহককে অবহিত করতে হবে।
সুদহার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি যেসব ব্যাংকের
বিশেষ করে নতুন ব্যাংকগুলো বেশি সুদে ঋণ বিতরণ করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, নতুন বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে সর্বোচ্চ স্প্রেড রাখছে মধুমতি ব্যাংক। ব্যাংকটি সাত দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ হারে আমানত সংগ্রহ করে বিতরণ করছে ১২ দশমিক ৯১ শতাংশ হারে। স্প্রেড হার পাঁচ দশমিক ৮২ শতাংশ পয়েন্ট। এনআরবি গেøাবাল ব্যাংক আট দশমিক ৯৮ শতাংশ হারে আমানত সংগ্রহ করে ১৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ হারে বিতরণ করছে; স্প্রেড হার চার দশমিক ৬৫ শতাংশ। এনআরবি ব্যাংক ছয় দশমিক ৮৭ শতাংশ হারে সংগ্রহ করে বিতরণ করছে ১১ দশমিক ৮১ শতাংশ হারে, স্প্রেড চার দশমিক ৯৪ শতাংশ হারে।
ইউনিয়ন ব্যাংক আট দশমিক ৫৫ শতাংশ হারে সংগ্রহ করে ১২ দশমিক ৪২ শতাংশ বিতরল করে, স্প্রেড হার তিন দশমিক ৮৭ শতাংশ। ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় থাকা আলোচিত ফারমার্স ব্যাংক আট দশমিক ৫৩ শতাংশ হারে সংগ্রহ করে বিতরণ ১৩ দশমিক ২৬ শতাংশ হারে, স্প্রেড হার চার দশমিক ৭৩ শতাংশ। মিডল্যান্ড ব্যাংক সাত দশমিক ৪৭ শতাংশ হারে সংগ্রহ করে বিতরণ করছে ১১ দশমিক পাঁচ শতাংশ হারে, স্প্রেড হার চার দশমিক শূন্য তিন শতাংশ। মেঘনা ব্যাংক সাত দশমিক ৬৪ শতাংশ হারে সংগ্রহ করে বিতরণ করছে ১২ দশমিক ৬৫ শতাংশ হারে, স্প্রেড হার পাঁচ দশমিক শূন্য এক শতাংশ।



 

Show all comments
  • আজগর ৩১ মে, ২০১৮, ৩:০৩ এএম says : 0
    সবাই আছে জনগণের রক্ত চোষার তালে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্যাংক

৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ