পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
আসন্ন পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয়, বিশেষ করে খেজুর, পেঁয়াজ, বুট, বেসন, শসা, বেগুন, মুড়ি, মাছ, মাংস ইত্যাদি পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকবে কি? কারণ রমজান না আসতেই পেঁয়াজের দাম যেভাবে হুহু করে বাড়তে শুরু করেছে, তাতে মনে হয়, রমজান এলে নিত্যপণ্যের মূল্য হয়তোবা আকাশ ছুঁয়ে যাবে। রমজান উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে পণ্যের দাম কয়েক ধাপ বৃদ্ধি করে অধিক মুনাফা লাভ করেন। রমজান এলেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার জন্য ওতপেতে থাকেন। পবিত্র রমজানে সাময়িক সংকট সৃষ্টি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। হঠাৎ করে মূল্যবৃদ্ধির কারণে খেটে খাওয়া স্বল্প আয়ের গরিব-দুঃখী-মেহনতি মানুষের কষ্টের সীমা থাকে না। অনেক গরিব-দুঃখী দুই বেলা পেট ভরে খেতে পারে না। অনেকে শুধু লবণ মেখে দু›মুঠো পানতা ভাত খেয়ে রোজা থাকেন। বিকেল হলে এসব রোজাদার গরিব-দুঃখী মানুষের মুখের দিকে তাকানো যায় না। মনে হয় তাদের কষ্টে দুই চোখ দিয়ে জল পড়ে না, তাজা রক্ত ঝরে। তাদের বুকের দিকে তাকালে হাড়গুলো সাক্ষী দেয়, তারা কত কষ্টে আছে। তাদের কষ্টে আকাশ থেকে কখনও কখনও রিমিঝিমি বৃষ্টি ঝরে। এসব গরিব-দুঃখী-অসহায় মানুষের কথা বিবেচনা করে ব্যবসায়ী ভাইদের প্রতি অনুরোধ করছি, আপনারা ধর্মীয় দিক বিবেচনা করে, গরিব-দুঃখী মানুষের কষ্টের কথা ভেবে পবিত্র রমজান মাসে বেশি লাভের আশায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করবেন না। একজন গরিব-দুঃখী রোজাদারকে কষ্ট দেবেন না। বরং মাহে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অন্যান্য মাসের তুলনায় আরও একটু কমিয়ে দিন। তাহলে হয়তো মহান আল্লাহতায়ালা আপনাদের প্রতি অনেক খুশি হবেন।
এইচ এস সরোয়ারদী
পূর্ব শেওড়াপাড়া, ঢাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।