পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে বিভিন্ন জেলায় র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে টেকনাফ উপজেলার তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী পৌর কাউন্সিলর ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি একরামুল হক আরও ১১ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম, খুলনা, বাগেরহাট, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, চাঁদপুর, কুষ্টিয়া, ময়মনসিংহ, ঠাকুরগাঁও ও নোয়াখালীতে নিহত হয়েছে বাকি ১০ জন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযানে নামার পর গত ১৯ মে রাত থেকে এ কয়দিনে অন্তত ৭৯ জন নিহত হয়েছে। নিহতরা সবাই মাদক কেনা-বেচায় জড়িত বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। তবে তাদের বক্তব্য ও ঘটনার বিবরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান টেকনাফ থেকে জানান, সীমান্ত শহর টেকনাফে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে টেকনাফ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর একরামুল হক নিহত হয়েছে। সে কায়ুকখালী এলাকার মৃত আবদুল সাত্তারের ছেলে। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে টেকনাফ উপজেলা সদর ইউনিয়নের নোয়াখালী পাড়া এলাকার মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশে এ ঘটনা ঘটে। র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. রুহুল আমিন জানায়, গভীর রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের নোয়াখালী পাড়া এলাকায় দিয়ে একটি ইয়াবার চালান পাচারের খবর পেয়ে এক ব্যক্তির গতিরোধ করে র্যাব সদস্যরা। এ সময় র্যাবকে লক্ষ্য করে ওই ইয়াবা ব্যবসায়ী গুলি ছুঁড়ে। এ সময় র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান একরামুল হক। তিনি আরো জানান, সে স্বরাষ্টমন্ত্রালয়ে তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী। তার কাছ থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি দেশীয় তৈরি অস্ত্র ও একটি বিদেশি পিস্তল ও ৫ টি খালি খোসা উদ্ধার করা হয়।
চাঁদপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, চাঁদপুরের মতলবে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে এক মাদক ব্যবসায়ী ক্রস ফায়ারে নিহত হয়েছে। গতকাল ভোর রাত পৌনে ৩টার দিকে মতলব দক্ষিণ থানা ও ডিবি পুলিশের একটি দল চাঁদপুর-মতলব সড়কের হাজীর ডোন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭টি মাদক মামলার আসামী সেলিমকে আটক করে। এ সময় সেলিমের সহযোগীরা পুলিশের উপর গুলি ও হামলা করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে আসামী সেলিম গুলিবিদ্ধ হয়। আহতাবস্থায় তাকে মতলব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করেন। মতলব দক্ষিণ থানার ওসি জানান, এ ঘটনায় ৪ পুলিশ আহত হয়েছে। এ ছাড়া ৪ রাউন্ড গুলি, ৬ রাউন্ড কাতুজ, ১১০ পিচ ইয়াবা,২টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। নিহত সেলিমের পিতার নাম সালামত উল্লাহ। উপজেলার ৬ নং উপাদীতে তার বাড়ি। তার বিরুদ্ধে থানায় ৭ টি মাদক মামলা রয়েছে।
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা জানান, ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বড়দা জামতালা নামক স্থানে মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষে রফিকুল ইসলাম লিটন (৩৬) নামে এক যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া গেছে। সে শৈলকুপার শেখপাড়া এলাকার মোল্লাপাড়ার সাকিম মোল্লার ছেলে। শনিবার দিনগত রাত দুইটার দিকে শৈলকুপা উপজেলার বড়দা জামতালা গোরস্থানের পাশে কথিত এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শৈলকুপা থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, রাত দুইটার দিকে মাদক ব্যবসার টাকা ভাগাভাগী নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এতে ওই যুবক ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে দেখতে পায় ১ টি ওয়ান শুটারগান, ইয়াবা ও ফেনসিডিল পড়ে আছে। নিহত যুবক মাদক ব্যবসায়ী বলে পুলিশ জানায়। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, রাত ১টার পর থেকেই বড়দা জামতলা এলাকায় গুলির শব্দ শুনতে পারেন তারা। পরে একজনের লাশ পড়ে থাকার খবর ছড়িয়ে পড়ে। রোববার সাকালে স্বজনরা গুলিবিদ্ধ লাশটি লিটনের বলে সনাক্ত করে। পরিবারের পক্ষ থেকে কলা হয়েছে, লিটন এলাকা ছেড়ে শান্তিডাঙ্গা এলাকায় পালিয়ে ছিল।
খুলনা ব্যুরো জানায়, খুলনায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আবুল কালাম মোল্লা (৪০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। গত শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর গ্রামের সিদ্ধিপাশা খেয়াঘাটসংলগ্ন শ্মশান ঘাটে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত কালাম যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার ইছামতি গ্রামের কাইয়ুম মোল্লার ছেলে। তিনি মাদকের পাইকারী বিক্রেতা ছিলেন বলে পুলিশের দাবি। তার বিরুদ্ধে ৫টি মাদক মামলা রয়েছে বলে খুলনার পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ জানিয়েছেন।
ময়মনসিংহ ব্যুরো জানায়, ডিবির সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে অজ্ঞাত (২৬) এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। শনিবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে নগরীর মরাখোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি মো: আশিকুর রহমান জানান, পুলিশের কাছে খবর আসে ওই এলাকায় কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদক ভাগাভাগি করছে। এমন সংবাদ পেয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হলে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাটকেল নিক্ষেপসহ গুলি বর্ষণ করে। পরে আতœরক্ষার জন্য পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। উভয়ের মধ্যে গুলি বিনিময়ে এক পর্যায়ে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে এলাকা তল্লাশী করে অজ্ঞাত (২৬) এক মাদক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়। সীতাকুÐ (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, সীতাকুÐ উপজেলার বাড়বকুÐ বেড়িবাঁধ এলাকায় পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে এক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও ডাকাত মোঃ রায়হান উদ্দিন রেহান (২৮) নিহত হয়েছে। গত শনিবার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে মাদক ব্যাসায়ী ও ডাকাত রায়হানের তিন সহযোগিকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিকে চিহ্নিত ডাকাত ও মাদক ব্যবসায়ী নিহত হওয়ায় এলাকাবাসী আনন্দ মিছিল করেছে। সীতাকুÐ মডেল থানায় এবিষয়ে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। সীতাকুÐ মডেল থানার ওসি মোঃ ইফতেখার হাসান ও ওসি (তদন্ত) মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন, রায়হানের বিরুদ্ধে ডাকাতি, হত্যা, মাদক ও অস্ত্র আইনে অন্তত ৭টি মামলা রয়েছে। সে বেপরোয়া প্রকৃতির ডাকাত ও মাদক ব্যবসায়ী।গত শনিবার মধ্যরাতে ওসি মোঃ ইফতেখার হাসানের নেতৃত্বে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে সে ও তার সহযোগিরা গুলি ছুঁড়তে থাকে। আতœরক্ষার্থে আমরাও সেসময় পাল্টা গুলি চালালে সে মারা যায়। আমরা তার তিন সহযোগিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। এসময় উদ্ধার করা হয় দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, ইয়াবাসহ অস্ত্র-শস্ত্র। এ বিষয়ে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে থানায়। বেলাল হোছাইন ভূঁইয়া, সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী) থেকে জানান, সোনাইমুড়ীতে শীর্ষ তালিকাভুক্ত ২১ মামলার আসামী মাদক স¤্রাট হাসান ওরফে ইয়াবা হাসান পুলিশের সাথে বন্ধুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। নিহত হাসান পৌর এলাকার ভানুয়াই গ্রামের মৃত হানিফের ছেলে। সে যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোনাইমুড়ী মাছ বাজার থেকে আটক করে থানা পুলিশ। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারে পুলিশ বগাদিয়া বেগম খালেদা জিয়া মাদ্রারাসার পিছনে অভিযান চালায়। এ সময় হাসানের সহযোগীরা পুলিশি উপস্থিতি টের পেয়ে তাকে চিনিয়ে নেয়ার জন্য পুলিশকে লক্ষ্য গুলি ছুড়ে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে অজ্ঞাতানামা আসামীদেরকে গুলি ছুড়ে। এ সময় ইয়াবা হাসান দৌড়ে পালানোর সময় অজ্ঞাতানামা আসামীদের ছোড়া গুলিতে গুরুতর আহত হয়। গুলিবিদ্ধ হাসানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে নিলে কর্তব্যরক ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। সোনাইমুড়ী অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নাসিম উদ্দিন জানান, ঘটনাস্থল থেকে ১টি দেশীয় পাইপগান, ৭ রাউন্ড কার্তুজ, ১টি রামদা, ৩টি লম্বা ছেনা, ১টি রামদা, ১টি দা ও ১২৫ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। ইয়াবা হাসানের বিরুদ্ধে ২১ টি মামলা রয়েছে।
বাগেরহাট প্রতিনিধি জানান, বাগেরহাটের চিতলমারীতে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে মিটুল বিশ্বাস (৪৫) নামে এক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। রোববার ভোর রাতে চিতলমারী উপজেলার চিংগুড়ি মোচন্দপুর এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। মিটুল উপজেলার চিংগুরি মোচন্দপুর গ্রামের খোকা বিশ্বাসের ছেলে। পুলিশ এসময় একটি শাটারগান, ২ রাউন্ড গুলি, ২ কেজি গাজা ও ১০০ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করে।
চিতলমারী থানার ওসি অনুকুল বিশ্বাস বলেন, মাদক বিরোধী অভিযান চলাকালে উপজেলার কুনিয়া বাসষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে রাতে মিটুল বিশ্বাসকে আটক করা হয়। এসময় তার দেয়া তথ্যমতে মাদকদ্রব্য উদ্ধার করতে যাওয়ার সময় চিংগুড়ি লুৎফর মেলেটারী বাড়ির বাগানে ওৎ পেতে থাকা তার সহযোগিরা পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে গুলি ছোড়ে। এসময় মিটুল পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাৎক্ষনিক পুলিশও পাল্টাগুলি ছুটলে সহযোগী মাদকব্যয়ীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মিটুল বিশ্বাসের মরদেহ উদ্ধার করে। এছাড়া ওই বাগানে তল্লাশী চালিয়ে একটি শাটারগান, ২ রাউন্ড গুলি, ২ কেজি গাজা ও ১০০ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ।
ওসি আরও বলেন, মিঠুনের নামে ৯ টি মাদক মামলা, হত্যা ও পুলিশের উপর হামলাসহ মোট ২২ টি মামলা রয়েছে।
আইন-শৃংখলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, রানীশংকৈল উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে রফিকুল ইসলাম ওরফে তালেবান নামে ৫১ বছর বয়সী এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। উপজেলার ভরনিয়া গ্রামের হুমায়ুন কবিরের ছেলে রফিকুলের বিরুদ্ধে ২০টি মাদক মামলা রয়েছে বলে রাণীশংকৈল থানার ওসি মো.আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামের নেকমরদ-মহারাজা সড়কে মাদক কেনাবেচার খবরে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় মাদক বিক্রেতারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। পাল্টা গুলি করে পুলিশও। এক পর্যায়ে মাদক বিক্রেতারা পিছু হটলে রফিকুলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, দুটি দেশীয় অস্ত্র ও ১০০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়েছে জানান ওসি আব্দুল মান্নান।
আইন-শৃংখলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া: সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে হালিম মন্ডল (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি নাসির উদ্দিন জানান, শহরের হাউজিং ডি বøক মাঠে রাত দেড়টার দিকে এ গোলাগুলির ঘটনায় নিহত ওই ব্যক্তি সদর উপজলার বড়িয়া গ্রামের সেলিম মন্ডলের ছেলে। ওসি নাসির বলেন, মাদক কেনাবেচার জন্য একদল মাদক বিক্রেতা সদরের হাউজিং ডি বøক মাঠে অবস্থান করছে খবরে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় মাদক বিক্রেতারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি করে। এক পর্যায়ে মাদক বিক্রেতারা পিছু হটলে হালিমকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক হালিমকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি শুটারগান, একটি পাইপ গান, তিন রাউন্ড গুলি ও ৮০০ ইয়াবা উদ্ধারের কথাও জানিয়েছে পুলিশ।
আইন-শৃংখলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, গাংনীতে দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর গোলাগুলিতে একজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাংনী থানার ওসি হরেন্দ্র নাথ সরকার। নিহত হাফিজুল ইসলাম হাফি (৪৫) গাংনী ডিগ্রি কলেজ পাড়ার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হারেজ উদ্দীনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে অন্তত ২০টি মাদকের মামলা রয়েছে। রাত ২টার দিকে উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের গাড়াবাড়িয়া গ্রামের বাথানগাড়ী মাঠে এ বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ানশুটার গান ও ১১২ বোতল ফেনসিডিল পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি। ওসি বলেন, দুদল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ চলছে এমন খবর পেয়ে বাথানগাড়ী মাঠে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।