Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

রাউজান-হাটহাজারিতে জমে উঠছে ঈদ বাজার

রাউজান (চট্টগ্রাম) থেকে এম বেলাল উদ্দিন | প্রকাশের সময় : ২৫ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

হালকা বৃষ্টি ও হালকা রোদ এর পরও জমে উঠেছে রাউজানের ঈদ বাজার। আগেভাগেই ঈদের কেনাকাটায় অব্যস্থদের পদচারনায় প্রতিটি দোকানে নারী পুরুষদের হালকা ভীর। তবে ১০ রমজানের পর হতে শতভাগ পুরোধমে বেচা কেনা চলবে এমনটি আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। রাউজানের ফকিরহাটের পুরানো ও বড় কাপড়ের ব্যবসায়ী সাজনুরের স্বত্তাধিকারী সৈয়দ হারুনুর রশীদ জানান, এবারের ঈদকে সামনে রেখে ভারতের চুন্দ্রি কাতান, চায়না সিল্ক, পাকিস্তানী জর্জেট, দেশীয় মসলিন, জামদানী, কাতান শাড়ীর চাহিদা অনেক বেশী। এছাড়া ত্রীপিস টুপাট কুটি, পাকিস্তানী, ইন্ডিয়ান, রেডিমেট লংগ্রাওন,লং ত্রিপিচ,বম্বে গ্রাউন ও দেশীয় চাহিদা অনেক। পাশাপাশি পাকিস্থানী, বম্বে, মিশরি ও দেশীয় পাঞ্জাবীর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ব্যবসায়ী হারুন আরো জানান গত বছর বন্যার কারনে রমজানের প্রথম সাপ্তাহে যতটুকু বিক্রি করেছিলাম এ বছর প্রথম সাপ্তাহে তার ডাবল বিক্রি করেছি আল্লাহর রহমতে। তার মতে এবারের ব্যবসা খুব জমজমাট হবে। উপজেলার বৃহত্তর ফকিরহাট, পথেরহাট, গহিরা বাজার, আমিরহাট, পাহাড়তলি, গচ্ছি নয়াহাট, রমজান আলীরহাট, সোমবাইজ্জাহাট, জিয়াবাজার, নতুন হাট, ঈসান ভট্ররহাট, জলিল নগর, মুন্সিরঘাটা, কাগতিয়া বাজার, মগদাই বাজার, দরগাহ বাজার, জগন্নাথহাট, অলিমিয়া হাট, চৌধুরীহাটসহ বিভিন্ন মার্কেটে কম বেশী ঈদের বেচাঁ- কেনা চলছে। তবে ফকিরহাটের বৃহত ডিউ ভিজি শপিং মার্কেট সহ বড় বড় মার্কেটের দিকে ক্রেতাগন ছুটছেন।কাপড় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও প্রগতি ফ্যাসেনর মালিক আলহাজ্ব সৈয়দ মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন জানান, আমাদের বাজারে ১১০ টি দোকানে ঈদ বিক্রয় উৎসবের মাধ্যমে র‌্যাফেল ড্র ব্যবস্থা করেছি। যাতে কেউ ছড়া মুল্য নিয়ে কাষ্টমারকে হয়রানী না করে সে জন্য আমাদের সমিতির নেতারা প্রতিটি দোকানে মনিটরিং করছে। এদিকে সাজনুর, আলোশাড়ীজ, মায়াফরিং, ডিউ মার্কেটের মায়াশাড়ীজ, দোয়া সারিজ, দুবাইসুজ, বাটা, আমিরহাটের সুমনের কাপড়ের দোকান শাড়ীকা, নুরজাহান ক্লতষ্টোর গুলোতে ভীর লক্ষ্য করা যায়। বুধবার রাত ১১ টায় বেশ কয়েকটি দোকানে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, অনেকেই টান্ডা মেজাজে পছন্দের কাপড় কিনছেন। গোলবাহার নামে এক মহিলা ক্রেতা জানালেন শহরের চেয়ে গ্রামেই ভাল,পছন্দের সব কিছুতো ফকিরহাটে পাওয়া যাচ্ছে। শুধু শুধু শহরে গিয়ে সময় নষ্ট করার কোন মানে হয়না। ডিউর দুবাই সুজের স্বত্তাধিকারী মুঃ মোরশেদ ও মৌলানা তাজ মুহাম্মদ রেজভী জানান, হালকা বেচা-কিনা হচ্ছে,তবে ১০ রমজানের পর হতে পুরোধমে বিক্রি হবে মনে করছি ইনশাল্লাহ। সব মিলিয়ে রোজার প্রথম সাপ্তাহে ঈদের কেনাকাটায় জমে উঠেছে রাউজানের মার্কেট গুলো।
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) থেকে আসলাম পারভেজ
ঈদকে সামনে রেখে হাটহাজারী মার্কেটের দোকানগুলোতে ক্রেতা বিক্রিতারা একেবারে কানায় কানায়। হাটহাজারী উপজেলার লোকজন ছাড়াও পার্শ্ববর্তী উপজেলার লোকজন এসে হাটহাজারী মার্কেটগুলোতে ব্যাপক হারে ভিড় জমিয়েছে। উপজেলার চৌধুরীহাট, হাটহজারী বাজার, হাটহাজারী বাসষ্টেশন সরকারহাট, নন্দীরহাট, কাটিরহাট, মদুনারঘাট, আমান বাজার সহ প্রভৃতি বাজারের শপিং মল গুলো বর্তমানে ক্রেতা-বিক্রিতারাই জমজমাট করে তুলেছে।
ঈদকে সামনে রেখে উল্লেখিত এলাকা কাপড়ের দোকান, জুতার দোকান, বাজেমালের দোকান, টেইলার্স, সেলুন, সকল প্রকারের দোকানে বর্তমানে উপছে পরা ভীড় জমিয়েছে ক্রেতারা। আর এই সুযোগে ভালো ভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে ক্রেতাদের কাজ থেকে ব্যাপক মূল্য। প্রতিবছরের মত হাটহাজারী মার্কেট গুলোতে নতুনত্ব বৈচিত্র্য থাকার ফলে ক্রেতারা ঝুকে পড়েছে। বিভিন্ন ব্রান্ডের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভীড় সামলাতে দোকানীদের রীতিমত হিমসিম খেতে হচ্ছে। ক্রেতারা পচ্ছন্দের পোশাকটির জন্য এক দোকান হতে অন্য দোকানে ছুটে বেড়াচ্ছে। আর এই সুযোগে দোকানিরা ক্রেতাদেরকে ভাল করে হাতিয়ে নিচ্ছে। দোকানীরা ক্রেতাদেরকে ডাকছে ভাইয়া, আপু, আন্টি, ভাবি ডেকে দোকান গুলোতে ডাকতে শোনা যায়। দোকান গুলোতে বাহারী তরুনদের বাহারী শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, টি শার্ট থেকে শুরু করে তরুণীদের বিভিন্ন ডিজাইনের কামিজ, ফতুয়া বিভিন্ন নামের পাইজমা বিক্রি হচ্ছে। ঈদে ঘর সাজানো আসবাবপত্র প্লাষ্টিক সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে দেদারছে। মহিলারা কাপড় পছন্দ করতে হাটহাজারী কাঁচারী সড়কের সিটি সেন্টার ক্রেতারা ঝুঁকে পড়েছে। সিটি সেন্টার মার্কেটে নিউদুল নামে একটি দোকানে মহিলাদের সরঞ্জাম বেশি থাকায় নিউদুল নামক দোকানে ভীড় করছে ক্রেতারা। পাশাপাশি তরুন প্রজম্মের পাঞ্জাবী নিতে হাটহাজারী কাঁচারী সড়কের আলী মমতাজ মার্কেটের সেলিম পাঞ্জাবীর দোকানে উপছে পরার ভীড় জমেছে। ক্রেতারা পচ্ছন্দের পাঞ্জাবী দামে সস্তা উন্নত মানের বিভিন্ন ডিজাইনের পাঞ্জাবী ক্রেতাদের মিলছে। তাই তরুন প্রজম্ম এখন সেলিম পাঞ্জাবীর দোকানে ভীড় জমিয়েছে। মোমিনুল ইসলাম নামে এক পাঞ্জাবী ক্রেতা জানান সেলিম পাঞ্জাবীর দোকানে বিভিন্ন ডিজাইন ক্রেতাদের পচ্ছন্দনীয় পাঞ্জাবী থাকার সুবাদে আমি এই দোকান থেকে একটি পাঞ্জাবী কিনতে এসেছি। এছাড়া হাটহাজারী বাজারের পুতপাতের মার্কেট গুলো অন্যান্য বড়বড় নামিদামী মার্কেটগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে বিকিকিনি করছে। পাশাপাশি হাটহাজারী বাজারে ওয়ান টু নাইনটি নাইন দোকানে প্রতিদিন ক্রেতাদের ভীড়ে মনে হয় দোকান ভেঙ্গে ফেলবে এই রকম অবস্থা দেখা যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ