Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কোটালীপাড়ায় হিন্দুদের এক পক্ষকে ফাঁসাতে অপর পক্ষের মূর্তি ভাঙচুর

কোটালীপাড়া উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে হিন্দুদের মধ্যে হিন্দুদের গোলমাল এখন চরম প্রতি হিংসার রূপ নিয়ে এক পক্ষকে ফাসাতে অপর পক্ষের মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে এ ঘটনায় ৪ জন আহত ও ৭ জন গ্রেফতার করছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার কলাবাড়ী ইউনিয়নে পূর্ব নলুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, নলুয়া গ্রামের অবিনাশ হালদারের ছেলে অখিল হালদারের বাড়ীর জায়গায় ঘর তোলা নিয়ে একই গ্রামের আরাধন হালদারের ছেলে নরেন হালদারদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল, এ নিয়ে নরেন ও তার ভাই সুবল বাদী হয়ে অখিলদের বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ আদালতে ১৪৪ ধারায় দুটি মামলা করেন মামলা দুটি নিস্পত্তি হওয়ায় অখিলরা ঘর তোলার চেষ্টা করে এর পরে নরেন বাদী হয়ে পুনরায় আরও একটি মামলা করেন। এর মধ্যে অখিল ঘর তুলতে গেলে মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ অখিল হালদার, চিন্ময় হালদার, অসীম হালদার, প্রেমানন্দ হালদার ও অনাধি হালদারসহ ৫জনকে আটক করে। এর পর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে নরেন হালদারের লোকজন অখিল হালদারের ঘরের উপর হামলা চালায় এবং অপর পক্ষকে ফাসাতে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তার বাড়িতে থাকা সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরে হামলা চালিয়ে মন্দিরসহ ৬টি মূর্তি ভাঙচুর করে।
এ সময় উভয় পক্ষের হামলায় দুলাল হালদার, অসীত হালদার, অবনি হালদার ও সীমা হালদারসহ ৪জন আহত হয়, আহতদেরকে কোটালীপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর পুলিশ নরেন ও গণেশ নামের আর দুইজনকে আটক করে। কোটালীপাড়া থানার এসআই সুজিৎ দাস জানান অখিল ও নরেনদের মধ্যে বাড়ির জমিতে ঘর তোলা নিয়ে বিরোধ চলছিল শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে দুপুরের দিকে অখিলসহ ৫জনকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে হামলা ও মূর্তির ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলে আরও ২জনকে আটক করা হয়, বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান আপোষ মিমাংসা করে দিবে বলে দুই পক্ষকে ছাড়িয়ে নিয়েগেছে, মামলা হয়নি।
কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ফারুক বলেন, এক পক্ষকে ফাসাতে গিয়ে অপর পক্ষ নিজেরাই এ মূর্তিগুলো ভাঙচুর করে এ ব্যাপারটা তারা স্থানীয় ভাবে আপোষ মিমাংসা করবে বলে দায়িত্ব নিয়েছে। এ ব্যাপারে ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাইকেল ওঝা বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক, দুই পক্ষেরই বিচার হওয়া উচিৎ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ