বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
যশোর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, টাঙ্গাইল, নরসিংদী, রাজশাহী ও গাজীপুরে পুলিশ ও র্যাবের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার দিবাগত রাতে এসব ঘটনা ঘটে। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো রিপোর্ট
যশোর ব্যুরো জানায়, আমাদের যশোর অফিস জানিয়েছে, যশোরে মাদক ব্যবসায়ীদের কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিনজন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। রোববার দিবাগত রাতে যশোরে শহরতলীতে এ ঘটনা ঘটে। সবাই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।
পুলিশের ভাষ্য, মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে গোলাগুলিতে এই তিনজন নিহত হন। ঘটনাস্থল সদর উপজেলার খোলাডাঙ্গা ও মণ্ডলগাতির মাঝামাঝি স্থান এবং তরফনওয়াপাড়া।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমল হুদা জানান, গভীর রাতে সদর উপজেলার খোলাডাঙ্গা ও মণ্ডলগাতির মাঝামাঝি ফাঁকা জায়গায় দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের খবর পায় পুলিশ। ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স গেলে অস্ত্রধারীরা পালিয়ে যায়। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ আর দুটি শুটারগান ও দুই রাউন্ড গুলির খোসা।
অন্যদিকে, একই ধরনের ঘটনা ঘটে সদর উপজেলার তরফনওয়াপাড়া গ্রামের জনৈক নওয়াব আলীর মেহগনি বাগানে। সেখানে হাজির হয়ে পুলিশ দুটি লাশ, দুটি পিস্তল, দুই রাউন্ড তাজা গুলি, গুলির খোসা এবং ৪০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। লাশ তিনটি আজ সোমবার ভোর চারটা থেকে সাড়ে চারটার মধ্যে জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত ডাক্তার কল্লোলকুমার সাহা বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তিনজনেরই মৃত্যু হয়েছে। তাদের সবার মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়।
হাসপাতালের কর্মচারীরা জানিয়েছেন, গুলিতে নিহত তিন ব্যক্তির বয়সই ৩৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। এদের একজনের গায়ে লাল স্যান্ডো গেঞ্জি ও চেক লুঙ্গি, একজনের গায়ে জাম রঙের হাফ হাতা গেঞ্জি ও সাদা থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট এবং অন্যজনের খালি গা ও পরনে চেক লুঙ্গি রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা সংবাদদাতা জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগরে রোববার রাতে পুলিশের গুলিতে মাদক বিক্রেতা জনাব আলি নিহত হয়েছে। মৃত জনাব আলি জীবননগর উপজেলার উথলি মালোপাড়ার মহাসিন ওরফে জামাত আলির ছেলে।
জীবননগর থানার ওসি মাহামুদুর রহমান বাসসকে জানান, রোববার রাতে জীবননগর থানা পুলিশের একটি টহল দল উপজেলার উথলি সন্যাসিপাড়া নামক স্থানের পাকা রাস্তার পাশে অবস্থান করছিল। ৩-৪ জন মাদক বিক্রেতা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে। এসময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। উভয় পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময়ের এক পর্যায়ে মাদক বিক্রেতারা পিছু হটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে মাদক বিক্রেতা জনাব আলিকে গুলিবৃদ্ধ অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মশিউর রহমান মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, দুই রাউন্ড গুলি, দেশীয় অস্ত্র ও এক বস্তা ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করে। নিহতের লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানান, মৃত জনাব আলির বিরুদ্ধে জীবননগর থানায় ৮-১০ মামলা রয়েছে।
টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা জানান, টাঙ্গাইল সংবাদদাতা জানিয়েছেন, টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ (৪২) নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় দু’জন র্যাব সদস্যও আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
রোববার দিবাগত রাতে ঘাটাইল উপজেলার দেওলাবাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আগ্নেয়াস্ত্রসহ গোলাবারুদ এবং ফেন্সিডিল ও ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। নিহত আবুল কালাম আজাদ ঘাটাইলের পূর্ব পাকুটিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান খানের ছেলে।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১২ জানায়, রোববার দিবাগত রাত ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে যে, ঘাটাইল উপজেলার দেওলাবাড়ী গ্রামস্থ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব আলীর ইটভাটায় ৫/৬ জন কুখ্যাত অস্ত্রধারী মাদক ব্যবসায়ী মাদক ব্যবসায়ের জন্য একত্র হয়েছে। ওই রাত পৌনে ১২টার দিকে র্যাব-১২ এর একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ শুরু করে। এ সময় র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টাগুলি ছুঁড়ে। এভাবে ১০/১৫ মিনিট ধরে চলে গুলি বিনিময়। একপর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পিছু হটে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় জনগণের উপস্থিতিতে ইটভাটার চিমনির পশ্চিম পাশ থেকে আবুল কালাম আজাদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই গোলাগুলির ঘটনায় র্যাবের এএসআই (এবি) ছামিদুল ইসলাম ও ল্যা. নায়েক আনিছুর রহমান আঘাতপ্রাপ্ত হলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, তিন রাউন্ড তাজা গুলি, একটি ম্যাগজিন, ১০০ বোতল ফেন্সিডিল, দেড় হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
নিহত আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন থানার অন্তত ছয়টি মাদকের মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলে জানায় র্যাব। এ ঘটনায় অন্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা জানান, ঝিনাইদহ সংবাদদাতা জানিয়েছেন, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ নরেন্দ্রপুর এলাকার র্যাবের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সব্দুল মন্ডল (৪৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ছব্দুল মন্ডল উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি নাইন এমএম পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগজিন, ১০০ বোতল ফেনসিডিল, ১৫০ পিস ইয়াবা, একটি হেলমেট ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে র্যাব।
ঝিনাইদহ র্যাব-৬ এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক এএসপি গোলাম মোর্শেদ জানান, রোববার রাত আনুমানিক ২টার দিকে নরেন্দ্রপুর নামক স্থানে তাদের একটি টহল টিম চেকপোস্ট বসিয়ে দায়িত্ব পালন করছিল। সেসময় ওই স্থান দিয়ে একটি মোটরসাইকেলে ২-৩ জন লোক ঘটনাস্থলে যাওয়ার সময় র্যাব তাদের গতিরোধ করে। এসময় তারা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় সব্দুল। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত বলে ঘোষণা দেন। সে এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বলে র্যাব জানিয়েছে।
নরসিংদী থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, অপরদিকে নরসিংদীর পলাশে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইমান আলী (২৮) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। সোমবার ভোর ৫টার দিকে উপজেলার ঘোড়াশাল খালিশারটেক এলাকায় এ কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় র্যাবের দুই সদস্য আহত হয়। ইমান আলীর বাড়ি নরসিংদী সদর উপজেলার নাগরিয়াকান্দি গ্রামে।
র্যাবের দাবি, নিহত ইমান আলী নরসিংদীর শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও নিয়ন্ত্রক। বন্দুকযুদ্ধের পর ইমান আলীর কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তলসহ বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব ১১ কোম্পানি কমান্ডার মো: জসিম উদ্দিন বলেন, ইমান আলী শুধু মাদক ব্যবসায়ী নন, তিনি জেলার মাদক নিয়ন্ত্রক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন এলাকায় হত্যা, বিস্ফোরক, অস্ত্র ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এক ডজন মামলা রয়েছে। তার পুরো পরিবারই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহী ব্যুরো জানিয়েছে, রাজশাহীতে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে জেলার পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। র্যাব-৫ রাজশাহীর উপ-অধিনায়ক মেজর এএম আশরাফুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নিহত ব্যক্তির নাম লিয়াকত আলী বলে তারা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন। তার বাড়ি পুঠিয়ায়। লিয়াকত পুঠিয়ার একজন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন।
তিনি আরো জানান, তারা থানায় খোঁজ নিয়ে জেনেছেন- লিয়াকতের বিরুদ্ধে আটটি মামলা রয়েছে। বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, এক রাউন্ড তাজা গুলি ও একটি গুলির খোসা জব্দ করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, রাতে পুঠিয়ার বেলপুকুর এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে গেলে মাদক ব্যবসায়ীরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়েন। আত্মরক্ষায় র্যাবও তখন পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। গোলাগুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থলে লিয়াকত আলীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এসময় লিয়াকতকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার লাশ রামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও র্যাব জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাজশাহী নগরীর নবগঙ্গা এলাকায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আবুল হাসান ওরফে হাসান ঘাটিয়াল নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। পবা উপজেলার সোনাইকান্দী গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদকের ১৬টি মামলা ছিল।
গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, গাজীপুর সংবাদদাতা জানান, গাজীপুরের টঙ্গীতে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হন পুলিশের দুই সহকারি উপপরিদর্শক। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত মাদক ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম ওরফে বেসতি রনি টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকার হাফিজুল ইসলামের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
টঙ্গী মডেল থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গেল রাত তিনটার দিকে পুলিশের একটি দল টঙ্গীর নিমতলী এলাকায় মাদক উদ্ধারের অভিযানে যায়। এসময় মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছুঁড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ রনির মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এসময় সেখান থেকে কয়েক পুঁড়িয়া গাঁজা উদ্ধার করা হয়। গুলাগুলিতে পুলিশের সহকারি উপপরিদর্শক ওমর ফারুক ও আনোয়ার হোসেন আহত হন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। নিহত রনির বিরুদ্ধে থানায় মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।