Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নির্বাচনী বছরে উন্নয়ন কর্মকান্ড জোরদার বাজেটে গুরুত্ব পাচ্ছে মেগা প্রকল্প

| প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : নির্বাচনী বছরের উন্নয়নের ফিরিস্তি দৃশ্যমান করতে ‘ফাস্ট ট্র্যাক (মেগা)’ প্রকল্পকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য নতুন অর্থবছরে সরকারের মেগা প্রকল্পগুলোতে ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। ওই প্রকল্পের জন্য নতুন ১১ হাজার ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে। এ ছাড়া ২য় সর্বোচ্চ বরাদ্দ থাকছে পদ্মা সেতু রেল লিংক প্রকল্পে পাঁচ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রকল্প, প্রায় চার হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। সরকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত অন্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে মেট্রোরেল প্রকল্পে তিন হাজার ৯০২ কোটি টাকা, মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে দুই হাজার ১৭১ কোটি টাকা, কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ প্রকল্পে এক হাজার ৯০৫ কোটি টাকা এবং দোহাজারি-রামু-কক্সবাজার-ঘুমধুম রেলপথ প্রকল্পে এক হাজার ৪৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রাক্কলন করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তারা জানান, আগামী বাজেটে মেগা প্রকল্পগুলোকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে। বাজেট হবে গতানুগতিক। নতুন তেমন কিছু থাকবে না। সরকারের নীতি-নির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে, আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে সরকারের প্রচারের একটি বড় অংশজুড়ে থাকবে উন্নয়ন কর্মকান্ড। ফলে সরকার আগামী বাজেটে উন্নয়ন কর্মকান্ডকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। আর এ কারণেই বর্তমান সরকারের ১০ মেগা প্রকল্পের (ফাস্ট ট্র্যাক) কয়েকটির বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি উন্নয়ন বাজেটে স্বল্পমেয়াদের জনবান্ধব প্রকল্পগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে বরাদ্দ নির্ধারণ করা হচ্ছে। যেখানে ভোটার সন্তুষ্টির বিষয় রয়েছে।
জাতীয় নির্বাচনের আগ মুহূর্তে উপস্থাপন হতে যাচ্ছে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট। নানা হিসাব-নিকাশ করেই এগোচ্ছে বাজেট নির্ধারণের কাজ। নির্বাচনে জনগণের অনুকূল মনোভাব তৈরিতে সহায়তা করবে এমন সন্তোষজনক বাজেট প্রণয়নের চেষ্টা থাকবে। এ কারণে সরকারের শেষ সময়ে এসে জাতীয় এ বাজেটে ভিন্নতা রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশে চলমান বড় বড় মেগা প্রকল্প শেষ করা সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আর এসব প্রকল্পে অর্থ ছাড়ের বিষয়টি বাজেটে গুরুত্ব পাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত: আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য এক লাখ ৮০ হাজার ৮৬৯ কোটি ১৭ লাখ টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মূল এডিপি নির্ধারণ করা হয়েছে, এক লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকার। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব তহবিল থেকে ধরা হয়েছে সাত হাজার ৮৬৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
এবারের বাজেটের আকার ৪ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা হবে বলে অর্থমন্ত্রনালয় সূত্রে জানা গেছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ