বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কক্সবাজারের বৃহত্তম উপজেলা চকরিয়ার ৫০শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি অবশেষে ১’শ শয্যায় উন্নীত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ডিসিএল এমসি (জেভি) হাসপাতাল লাগোয়া খালি জায়গায় মাটি ভরাট কাজ সম্পন্ন করেছে। শীঘ্রই বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য টেষ্ট পাইলিংয়ের কাজ শুরু করা হবে। এ হাসপাতাল ভবন নির্মাণের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় থেকে প্রায় ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ১’শ শয্যায় উন্নীত করার জন্য ৪ তলা বিশিষ্ট একটি হাসপাতাল ভবন, ১ তলা বিশিষ্ট দুটি ডাক্তার কোয়ার্টার, ৫তলা বিশিষ্ট একটি নার্স কোয়ার্টার, ৫তলা বিশিষ্ট একটি স্টাপ কোয়ার্টার, হাসপাতালে যাতায়তের জন্য নির্মাণ ও বর্ষা মৌসুমে পানি চলাচল করতে ৩ ড্রেন ব্যবস্থা রয়েছে।
চট্টগ্রাম-মহাসড়ক লাগোয়া চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি মহাসড়কের পাশে অবস্থিত হওয়ায় দূর্ঘটনা হতাহত যাত্রীদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। ছাড়া পাশ্ববর্তী বান্দরবান জেলার লাম-আলীকদম, কক্সবাজার জেলার পেকুয়া, কুতুবদিয়া ও মহেশখালী উপজেলার প্রায় ১৫লাখ মানুষের চিকিৎসার জন্য ছুটে আসেন এ হাসপাতালে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কক্সবাজার সদর হাসপাতাল উল্লেখিত পাঁচ উপজেলার মানুষের যোগাযোগের দুরবর্তী হওয়ায় এ হাসপাতালের উপর নির্ভর করতে হয়। বর্তমান সরকার এ গুরুত্ব অনুধাবন করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিকে ৫০ শয্যা থেকে ১’শ শয্যার কাজ হাতে নিয়েছে। কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ডিসিএল এমসি (জেভি)’র পক্ষ থেকে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, ইতোমধ্যে পাইলিংয়ের কাজ শুরু করার জন্য সিলেট থেকে উন্নত মানের পাথর, বালি সিডিউলে বর্ণিত গ্রেড অনুযায়ী রড ও সিমেন্ট আনা হয়েছে। বান্দরবানের লামা, আলীকদম, কক্সবাজারের পেকুয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার লোকজনও চিকিৎসা নিতে আসেন। এসব উপজেলার লোকজনের যাতায়তের সুবিধার কারণে কোন রোগীর বিপদ মূহুর্তে আগে চকরিয়ায় নিয়ে আসেন। এতে চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশী থাকে। ৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে সিটের অভাবে অনেক রোগীকে মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিতে হয়। এমনকি মেঝেতে শুয়েও চিকিৎসা নিতে না পেরে অনেক রোগীকে ফিরে যেতে হয়। এসব রোগীদের বেশীরভাগই বাধ্য হয়ে বেসরকারী ক্লিনিকে ভর্তি হয়। ওই বেসরকারী ক্লিনিক গুলোতে হাজার হাজার টাকা গুনেও সুচিকিৎসা পাওয়া যায় না। চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাহবাজ জানান; এ হাসপাতালটিতে প্রতিদিন গড়ে ইনডোর এ দ্বিগুন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয়। আউট ডোরে ৪শ’ থেকে ৫শ’ রোগী চিকিৎসা নেয়। এখন সরকার চকরিয়া উপজেলা হাসতালটিকে ৫০ শয্যা থেকে ১শত শয্যায় উন্নীত করেছে। গুণগত মান ঠিক রেখে এ প্রকল্পটির কাজ খুব দ্রুত শেষ করবো বলে আশা রাখছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।