পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পদ্মা সেতুর নকশা প্রণয়নে কঠিন শর্তে ঋণ দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। প্রতি বছর সেই ঋণের বিপরীতে প্রায় ২৫ কোটি টাকা দিতে হচ্ছে।
সেতু বিভাগের সামর্থ না থাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ শুরুর আগে থেকেই এই ঋণের বোঝা টানছে অর্থ বিভাগ। এই ঋণ পরিশোধ করতে আরও ২০ বছর সময় লাগবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০০৮ সালের ১০ জুলাই এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর আওতায় ১ কোটি ১১ লাখ ৭৯ হাজার এসডিআর বা প্রায় ১০০ কোটি টাকা ঋণ দেয় এডিবি। কঠিন শর্তের এ ঋণে সুদের হার ৬ শতাংশ। ২০ বছরে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে, যার গ্রেস পিরিয়ড পাঁচ বছর। পরে পদ্মা সেতুর নকশা প্রণয়নে ব্যয় বেড়ে যায়। এরপর ২০১০ সালের ৩ মে এডিবির সঙ্গে আরও ৬২ লাখ ৭৪ হাজার এসডিআর বা প্রায় ৭০ কোটি টাকার পৃথক আরেকটি ঋণ চুক্তি সই হয়। এ ঋণেও সুদহার ছিল ৬ শতাংশ।
এই ঋণও ২০ বছরে পরিশোধ করতে হবে, যার গ্রেস পিরিয়ড ছিল পাঁচ বছর। পদ্মা সেতুর নকশা প্রণয়নের দায়িত্ব পালন করছে মনসেল এইকম নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ২০০৯ সালের ১৯ জানুয়ারি এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে সেতু বিভাগ। ২০১১ সালে সেতুটি নির্মাণ শুরুর লক্ষ্যে নকশা প্রণয়নের মেয়াদকাল কমিয়ে আনা হয়। যদিও নকশা প্রণয়নে শেষ পর্যন্ত ২৪ মাস সময় নেয় এইকম। সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, প্রথম চুক্তি অনুযায়ী ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে বছরে দুবার তিন লাখ ৭২ হাজার ৬৩৩ এসডিআর বা ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা হারে আসল ও সুদ পরিশোধ করতে হচ্ছে। এতে বছরে পরিশোধ করতে হয় ১৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আর দ্বিতীয় ঋণ চুক্তি অনুযায়ী, দুই লাখ ৯ হাজার ১৩৩ এসডিআর বা চার কোটি ৩৮ লাখ টাকা হারে আসল ও সুদ পরিশোধ করতে হচ্ছে। এতে বছরে পরিশোধ করতে হয় ৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
সূত্র জানায়, দুই ঋণের আওতায় বছরে ২৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা পরিশোধ করার কথা। তবে বর্তমানে এসডিআরের বিনিময় হার বেড়ে গেছে। এখন পদ্মা সেতুর নকশা প্রণয়ন ঋণ বাবদ বছরে প্রায় ২৫ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হয়। আয়ের ঘাটতি থাকায় সেতু বিভাগ ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারছে না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা জানান, পদ্মা সেতুর ডিজাইন প্রকল্পের জন্য এডিবির ঋণের বিপরীতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সঙ্গে সেতু বিভাগের চুক্তি সই হয়। ২০১৩ সাল থেকে এই ঋণের কিস্তি পরিশোধ করার কথা ছিল। তবে তখন মূল সেতু নির্মাণ শুরু হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী সেতু বিভাগের আয় তেকে ঋণের কিস্তির টাকা পরিশোধ করার কথা। কিন্তু সেতু বিভাগের সেই সামর্থ না থাকায় ইআরডিকে নকশার ঋণের কিস্তি পরিশোধে অনুরোধ করা হয়। সে অনুযায়ী তারা এখনও ঋণের কিস্তি পরিশোধ করে আসছে। শর্ত অনুযায়ী প্রথম ঋণের কিস্তি ২০২৮ সালের ৩০ জুন ও দ্বিতীয় ঋণের কিস্তি ২০২৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধ করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।