পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রমজান মাসজুড়ে রাজধানীতে ভেজালবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে। ৪০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযান চালাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিএসটিআই, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, র্যাব ও পুলিশ। এরই অংশ হিসাবে গতকাল বৃহস্পতিবার যাত্রাবাড়ী ফলের আড়তে এক হাজার মণ পাকা আম এবং ৪০ মণ খেজুর ধ্বংস করেছে র্যাব। সকাল ৭টা থেকে যাত্রাবাড়ী ফলের আড়তে যৌথভাবে অভিযানে নামে র্যাব ও বিএসটিআই। অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত ছয় প্রতিষ্ঠানের ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল-জরিমানা করেন। সঙ্গে এক খেজুরের দোকানে অভিযানে চালিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ ৪০ মণ খেজুর জব্দ করেন আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। তিনি বলেন, অভিযানে এক হাজার মণ আম ধ্বংস ও ৪০ মণ খেজুর জব্দ করা হয়েছে। অধিকাংশ আমই অপরিপক্ক। কিন্তু এসব আম ক্যালসিয়াম কারবাইড ও ইথানল দিয়ে পাকানো। কেমিক্যাল দেয়ায় আমের উপরের অংশ পাকা দেখা যায়। অথচ ভেতরে কাঁচা।
অভিযানে দোষ স্বীকারের ভিত্তিতে আশা বাণিজ্যালয়ের মালিক লুৎফর রহমান ও জাকির হোসেনকে এক বছর, মোস্তফা এন্টারপ্রাইজের মোস্তফা শেখকে ছয় মাস, সাতক্ষীরা বাণিজ্যালয়ের মালিক মো: ইয়াসিনকে ছয় মাস, এস আলম বাণিজ্যালয়ের মিঠুন সাহাকে দুই মাস, আতিউর ট্রেডার্সের রঞ্জিত রাজবংশীকে তিন মাস, বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সের মো: শাহিদুল এবং নামহীন দুটি প্রতিষ্ঠানের মেহেদী হাসান ও রেজাউল নামে দুই জনকে ১৫ দিনের কারাদন্ড দেন আদালত।
অভিযানে অংশ নেন র্যাব ১০ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুক ও বিএসটিআইয়ের ফিল্ড অফিসার ইঞ্জিনিয়ার মো: শহীদুল ইসলাম ও মো:. খাইরুল ইসলাম।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, রমজানে প্রতিদিনই অভিযান চালাবে র্যাব। মূলত অভিযানগুলো হবে ইফতার ও খাবারকেন্দ্রিক। অভিযানের সময় সঙ্গে থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। কেউ যাতে ইফতার সামগ্রীতে কেমিকেল কিংবা রঙ ব্যবহার করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে। পাশাপাশি যৌক্তিক মূল্য না নিয়ে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করলে আইনানুযায়ী জেল-জরিমানা করা হবে। এছাড়া হাসপাতাল ও ফার্মেসিগুলোও নজরদারিতে থাকবে।
অন্যদিকে, প্রতিবারের মতো আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নকে (এপিবিএন) সঙ্গে নিয়ে এবারও অভিযান চালাবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। ইফতার তৈরির পরিবেশ, খাবারের পরিমাণ-দাম, ওজনে কারচুপিসহ নানা বিষয়ে নজরদারি করবেন তারা। অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, রমজানজুড়ে রাজধানীর চকবাজার, বেইলি রোড, ধানমন্ডিসহ ইফতার সামগ্রী বিক্রি করে এমন সব অভিজাত এলাকায় অভিযান চালানো হবে। প্রতিদিন দুটি করে অভিযান চলবে।
এদিকে, চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে অভিযান শুরু করেছে দেশের একমাত্র মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসটিআই। ঢাকার আশপাশে কেরানীগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় মোবাইল কোর্ট অভিযান চালাবে বিএসটিআই।
প্রতি বছরের মতো এবারও রমজানে ভেজাল খাবারের বিরুদ্ধে ‘জিহাদ ঘোষণা’ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগ জানায়, গত সোমবার অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পবিত্র মাহে রমজান ভেজালমুক্ত খাবার নিশ্চিত করতে এবং খাবারে যে কোনো ভেজাল প্রতিরোধে কাজ করবে ডিএমপির ভ্রাম্যমাণ আদালত।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।