Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাল চাঁদ দেখা গেলে বৃহস্পতিবার রোজা

মুবারক হো মাহে রামাদান

মো. আবদুর রহিম | প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০১৮, ৩:৪২ পিএম

আগামীকাল বুধবার সন্ধ্যার আকাশে রমজানের চাঁদ দেখা গেলে তারাবিহ পড়ে সেহেরি খেয়ে বৃহস্পতিবার থেকে রোজা শুরু। খোশআমদেদ মাহে রমজান। এ মহান মাসের ফজিলত ও বরকত অপরিসীম। মহান আল্লাহ রব্বুল আ’লামীন পবিত্র রমজান মাসকে অনেক দিক দিয়েই বরকতময় ও ফযীলতপূর্ণ করে রেখেছেন। আল্লাহপাক রমজান মাসের ফযীলত সম্পর্কে কুরআনে এরশাদ করেন “পবিত্র রমজান মাস এমন একটি বরকতময় মাস, যে মাসে মানুষের হিদায়েতকারী সম্মানিত কুরআন শরীফ নাযিল করা হয়েছে এবং যা হিদায়েতের স্পষ্ট দলীল এবং সত্য মিথ্যা পার্থক্যকারী।”
হাদিস শরীফে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- “পবিত্র রমজান মাস হলো মহান আল্লাহ পাকের খাছ মাস। যে ব্যক্তি এ মাসকে সম্মান করবে মহান আল্লাহ পাক তাকে জান্নাত দ্বারা সম্মানিত করবেন।” সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র হাদিসে বর্ণিত হয়েছে “হযরত সালমান ফারসী (রা.) বলেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শাবান মাসের শেষ দিন আমাদের নিকট খুতবা দিতেন। খুতবায় তিনি বলতেন, ‘হে লোক সকল! নিশ্চয় তোমাদের নিকট মহান রমজান মাস উপস্থিত। এ মাসে এমন একটি রাত্র রয়েছে, যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।’ মহান আল্লাহ পাক পবিত্র রমজান শরীফ মাসের রোযাকে ফরয করেছেন এবং রাত্রের বেলায় ক্বিয়ামুল লাইল অর্থাৎ তারাবীহ নামাযকে সুন্নত করেছেন। যে ব্যক্তি পবিত্র রমজান মাসে একটি নফল আমল করলো, সে যেন অন্য সময়ে একটি ফরয আদায় করলো। আর যে ব্যক্তি একটি ফরয আদায় করলো, সে যেন অন্য মাসে সত্তরটি ফরয আদায় করলো। পবিত্র রমজান মাস হলো ছবরের মাস আর সবরের বিনিময় জান্নাত। এটা সহানুভ‚তির মাস। এই মাসে মু’মিনের রিজিক বৃদ্ধি করা হয়। যে এ মাসে কোনো রোযাদার ব্যক্তিকে ইফতার করাবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে ক্ষমা করে দেবেন এবং জাহান্নামের আগুন হতে মুক্তি দান করবেন। আর সে রোযাদারের সমান ছাওয়াব লাভ করবে; অথচ রোযাদারের ছাওয়াবও কম হবে না। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলেন- ইয়া রসূলাল্লাহ, ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাদের প্রত্যেকের তো এমন সামর্থ্য নেই, যা দ্বারা রোযাদারকে ইফতার করাবো? তখন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন- আল্লাহ পাক তিনি এরূপ ছাওয়াব তাকেও দান করবেন, যে এক চুমুক দুধ দ্বারা অথবা একটি খেজুর দ্বারা অথবা এক ঢোক পানি দ্বারা কোনো রোযাদারকে ইফতার করাবেন, সে বা তারা অনুরূপ সাওয়াব পাবেন। যে ব্যক্তি কোনো রোযাদারকে তৃপ্তি সহকারে খাদ্য খাওয়াবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে আমার হাউজে কাওছার হতে পানি পান করাবেন। এ মাস এমন একটি মাস, যে মাসে প্রথম দশ দিন হলো- ‘রহমত’, দ্বিতীয় দশ দিন হলো- ‘মাগফিরাত’ এবং তৃতীয় দশ দিন হলো- জাহান্নাম হতে ‘নাজাত’ পাওয়ার মাস। আর যে ব্যক্তি পবিত্র রমজান মাসে তার কর্মচারীর কাজ কমিয়ে দিবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে ক্ষমা করে দিবেন এবং জাহান্নাম থেকে নাজাত দান করবেন।” দুজাহানের মালিক আল্লাহ এরশাদ করেন, “রমজান মাস আমার মাস, এ মাসের পুরস্কার আমি নিজ হাতে প্রদান করবো।”
এ সংক্ষিপ্ত আলোচনায় এটাই প্রতিয়মান হয় যে, পবিত্র রমজানের মর্যাদা ফাযায়িল-ফযীলত ও গুরুত্ব বিশ্বাসী মানব জাতীর জন্য অপরিসীম।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোজা


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ