Inqilab Logo

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসির অগ্নিপরীক্ষা

খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আজ

| প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টালিন সরকার : খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন আজ। এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে দেশের ১৬ কোটি মানুষের ৩২ কোটি চোখ। এ ছাড়াও ঢাকায় কর্মরত বিদেশি ক‚টনীতিক, দাতাদেশ ও সংস্থার প্রতিনিধি এবং দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের তীক্ষè চোখ খুলনার দিকে। ১০ কোটিরও বেশি ভোটারের এই দেশে মাত্র পাঁচ লাখের কম ভোটারের এই স্থানীয় ‘খুলনা সিটি’ নির্বাচন জাতীয় রাজনীতির বিবেচনায় তেমন কিছুই নয়। কিন্তু আসন্ন জাতীয় নির্বাচন করতে বর্তমান ইসির সক্ষমতা আছে কি-না তা প্রমাণে এই নির্বাচনের নিরপেক্ষতাকে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছে সারাদেশের মানুষ।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও মাঠের বিরোধী দল বিএনপির জন্য খুলনা সিটি’র ভোট মর্যাদার লড়াই। গাজীপুর সিটি নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়া এবং জাতীয় নির্বাচনের ছয় মাস আগের অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের ইমেজ সৃষ্টির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ছোট্ট পরিসরের এই নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং ভোটারদের নির্ভয় পরিবেশে নির্বিঘেœ ভোট দিতে পারা এবং ভোট সুষ্ঠু গণনার পর ফলাফল প্রকাশের দক্ষতার উপর নির্ভর করছে কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের ভবিষ্যৎ। নির্বাচনী এলাকার প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণে ইসি ব্যর্থ হয়েছে। একজন প্রার্থীকে সুবিধা দিতে অন্য এক প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের গণগ্রেফতার চলছে। ইসি নীরব থাকায় ভোটের আগে গণগ্রেফতার বন্ধে হাইকোর্টকে নির্দেশনা দিতে হয়েছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ‘সক্ষমতা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা সিটির নির্বাচন ইসির জন্য অগ্নিপরীক্ষা। নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিয়ে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ইসির জন্য আবশ্যক। বর্তমান সিইসি কে এম নূরুল হুদা সাবেক সিইসি ড. এ টি এম শামসুল হুদার পথে হাটবেন না কাজী রকিবউদ্দিনের পথ ধরবেন, তার কিছুটা পরীক্ষা খুলনা সিটি নির্বাচনে হয়ে যাবে।
দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০১৭ সালের মধ্য জুলাইয়ে একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করে কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যেই ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং অক্টোবর মাসে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার বার্তা দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সে লক্ষ্যে এগিয়েও চলছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ইসি জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারেনি। তাদের কিছু কর্মকাÐ, বিভিন্ন ইস্যুতে নীরবতা, সময়ক্ষেপণ, স্ববিরোধী কথাবার্তা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা না করা, ইভিএম ব্যবহার করা না করাসহ নানা ইস্যুতে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। নিজেরাই স্ববিরোধী কথাবার্তা বলেছেন। কিন্তু কার্যকর কিছুই করতে পারেননি। এমনকি খুলনা সিটিসহ বিভিন্ন নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ তোলা হয়। কিন্তু কোনোটির সুরাহা করতে পারেননি। এমনকি ২৫টি সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। যার জন্য বিএনপি থেকে ইতোমধ্যেই ইসির সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তবে নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা ও রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন কিছুটা নিরপেক্ষ হওয়ায় বর্তমান ইসির প্রতি মানুষের আস্থার পারদ বাড়ছে। খুলনা সিটির নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করে ইসিকে নিজেদের সক্ষমতা ও নিরপেক্ষতার প্রমাণ দেয়া জরুরি।
দেশের মানুষ নির্বাচনকে উৎসহ হিসেবে গ্রহণ করে। ‘ভোটপাগল’ জনগণ ভোট দিতে না পারায় কয়েক বছরে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের ইমেজ তলানীতে পড়ে গেছে। এ জন্য দায়ী করা হয় কাজী রকিবউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অযোগ্যতাকে। ওই কমিশন ছিল কার্যত মেরুদÐহীন। ক্যালেন্ডারের পুরনো পাতায় তাকালে দেখা যায় ’৯০ এ স্বৈরশাসক এরশাদের পতনের মাধ্যমে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের সংস্কৃতি গড়ে উঠে। কিন্তু বিগত প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ তার পাঁচ বছরের মেয়াদে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন গ্রহণ বর্জন-প্রত্যাহার এবং এরশাদের লাঙ্গলের প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়ার পরও ক্যারিকেচাল করে দলটির কিছু প্রার্থী রেখে দেয়ায় নির্বাচন কশিমনকে দেশের মানুষের কাছে আস্থাহীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়। কাজী রকিবউদ্দিনের সময় জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন মানেই ভোটকেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার সিল মারা, ভোটের বাক্স ছিনতাই, ভোটের আগের রাতে সিল মেরে বাক্স ভর্তি, সঙ্ঘাত-সংঘর্ষ, রক্তারক্তি, ভোটের আগের দিন ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত ও পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষ থেকে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটকেন্দ্র আসা থেকে বিরত রাখার অপসংস্কৃতি গড়ে ওঠে। এতে জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি উপজেলা, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও মানুষ ভোটের অধিকার থেকে হন বঞ্চিত। নির্বাচন এবং নির্বাচনে ভোট দেয়াকে যে মানুষ উৎসব মনে করেন; সেই মানুষ ভোট এলেই আতঙ্ক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় পড়ে যায়। ভোটকেন্দ্রমুখী হতে ভয় পান।
সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক, আবু হাফিজ, জাবেদ আলী ও মো. শাহনেওয়াজের পাঁচ বছরের ‘মেয়াদ’ নির্বাচন কমিশনের জন্য কার্যত কলঙ্ক ও আত্ম-প্রবঞ্চনার যুগ। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে পদে থাকা কমিশনারদের ‘সরকারের ইচ্ছায় কর্ম করায়’ জনতার রুদ্ররোষে পড়ে ঠেঙানি খেতে হয়েছে। নির্বাচনকে অবাধ, সুস্থ ও নিরপেক্ষ করতে আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের যেসব ক্ষমতা দেয়া হয় সেগুলোও কমানোর জন্য আবেদন করে কাজী রকিব কমিশন। ওই ইসি’র ক্ষমতাসীন সরকারের তাঁবেদারি এমন পর্যায়ে যায় যে ঢাকা সিটির নির্বাচন তদারকি করতে এসে কমিশনারদের জনতার রুদ্ররোষে পড়তে হয়। কাজী রকিবের নেতৃত্বাধীন ইসিকে মেরুদÐহীন, সরকারের পুতুল, তোষামোদকারী, শো-পিস, নির্লজ্জ, জোকার, ক্ষমতাসীনদের তাঁবেদার ইত্যাদি নামে অবিহিত করা হতো। ইসির ওই কমিশনারদের জোকারের মতো আচরণ করতেও দেখা গেছে। নির্বাচন কমিশনার জাবেদ আলী হঠাৎ একদিন টিভি ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে কোমর দুলিয়ে বলেন, ‘আমাদের মেরুদÐ তো সোজাই আছে’। তাদের আচরণে দেশের মানুষ, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ তো বটেই ঢাকায় কর্মরত বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও দাতা সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা হাস্যরস করতেন। নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের অভিমত হলোÑ দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে সময় লাগে; কিন্তু ভাঙতে সময় লাগে না। কাজী রকিবের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ক্ষমতাসীন সরকারের তাঁবেদারি করে দেশের নির্বাচন-ব্যবস্থাকে দুর্বল করেছেন। ’৯০ পরবর্তী দুই দশকে অন্য নির্বাচন কমিশন যা অর্জন করেছেন, কাজী রকিবের নেতৃত্বাধীন কমিশন তা বিসর্জন দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের ইমেজ আগের অবস্থানে ফিরে নিতে চাইলে কে এম নূরুল হুদাকে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ এবং ভোটের মাঠে নিরপেক্ষ রেফারির ভ‚মিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। সেটা শুরু করতে হবে খুলনা সিটির নির্বাচন থেকেই।
নির্বাচন নিয়ে যারা গবেষণা ও পর্যবেক্ষণ করছেন তারা এবং সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, খুলনা সিটির নির্বাচনে এবার অনেকগুলো বিষয় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে। তারা বলছেন, ২০১৩ সালের নির্বাচনের চেয়ে এবার ভোটার বেড়েছে ৫৩ হাজার। এই নতুন ভোটার এবং এক লাখ বস্তিবাসীর ভোট মেয়র পদের ফলাফল নির্ধারণে নিয়ামক হয়ে উঠতে পারে। মোট ভোটের প্রায় ২০ শতাংশ বস্তিবাসী ভোট। নগরীতে প্রায় এক হাজার ৩০০ বস্তি আছে। অতীতের নির্বাচনগুলোর আগের রাতে নিম্নআয়ের বস্তিবাসীর ভোট টাকায় কেনা হয়েছে। যারা নতুন ভোটার হয়েছেন সেই ৫৩ হাজার ভোটার সবাই বয়সে তরুণ। খুলনা সিটির ভেতরে ছোট-বড় ৭০-৮০টি মাদরাসা রয়েছে। এসব মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভোট প্রায় ৩০ হাজার। ২০ দলীয় জোটের শরিক জামায়াতের ভোট রয়েছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার। হিন্দু ধর্মাবলম্বী তথা সংখ্যালঘুদের ভোট প্রায় ৮৭ হাজার। যা মোট ভোটের প্রায় ২০ শতাংশ। বিহারিদের রয়েছে কয়েক হাজার ভোট। এরা সব সময় নৌকার বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে থাকে। এ ছাড়াও হেফাজতে ইসলাম, পাটকলের শ্রমিক ও বিভিন্ন জেলার আঞ্চলিক ভোট রয়েছে।
এদিকে সিটি কর্পোরেশনের ছয়টি থানার মধ্যে দৌলতপুর থানার ৪২টি ভোটকেন্দ্রের সবগুলোই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহিত করা হয়েছে। খুলনা সদর থানার অধীনে ৮৬ ভোটকেন্দ্রে ভোটারের সংখ্যা এক লাখ ৪২ হাজার ৬২২ জন। এর মধ্যে ৬৫টি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। সোনাডাঙ্গা থানার অধীনে ৭০টি ভোটকেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা এক লাখ ২৫ হাজার ২৫ জন। এর মধ্যে ৫৫টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। খালিশপুর থানার অধীনে ৭২টি ভোটকেন্দ্রে ভোটারের সংখ্যা এক লাখ ২১ হাজার ৪২১ জন। এর মধ্যে ৫২টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। খানজাহান আলী থানায় চারটি ভোটকেন্দ্রে ভোটার সাত হাজার ৫২২ জন। এর মধ্যে দুটি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। লবণচরা থানায় ভোটার সংখ্যা ২৬ হাজার ২৪৮ জন। এ থানায় ১৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১০টি ঝুঁকিপূর্ণ।
এসব বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশনকে ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি নিতে হবে। ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষ থেকে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে সরানোসহ বেশ কিছু দাবি তুলে ধরা হয়। নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে সেনাবাহিনীর মোতায়েনেরও দাবি করা হয়। কিন্তু ইসি কোনোটাতেই কর্ণপাত করেনি। এ অবস্থায় গতকাল হাইকোর্ট ভোটের আগে খুলনায় বিএনপি কর্মীদের গণগ্রেফতার বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাজাহানের করা রিটের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। হাইকোর্ট থেকে পুলিশের মহাপরিদর্শক, খুলনার পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপারের প্রতি এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া গণগ্রেফতার আপিল বিভাগের নির্দেশনার পরিপন্থী কেন ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত। স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, নির্বাচন কমিশন, খুলনার পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। হাইকোর্টের দেয়া নির্দেশনা ও রুলই প্রমাণ দেয়, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে নিরপেক্ষ ও যথাযথ ভ‚মিকা পালন করতে পারেনি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন ইসি। অথচ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির ইমেজ রক্ষার জন্য যা খুই জরুরি। পাঁচ লাখ ভোটারের ভোট গ্রহণে যদি বর্তমান ইসি নিরপেক্ষতা এবং সব দলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা না পায়, তাহলে তাদের পক্ষে জাতীয় নির্বাচন করা কতটুকু সম্ভব হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। কাজেই বর্তমান ইসি’র কাছে খুলনা সিটি নির্বাচন অগ্নিপরীক্ষার নামান্তর।
উল্লেখ, ১৯৯৪ সালে মাগুরার একটি সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচনের ভোট কেলেঙ্কারি দেশের শাসন ব্যবস্থা ও নির্বাচন কমিশনের খোলনলচে পাল্টাতে হয়েছিল। গাজীপুর নির্বাচন পিছিয়ে গেছে। খুলনা সিটির নির্বাচন নিয়ে যাতে কেলেঙ্কারিতে পড়তে না হয়, ইসি সেদিকে দৃষ্টি রাখবে এমন প্রত্যাশা ভোটারদের।



 

Show all comments
  • লাভলু ১৫ মে, ২০১৮, ৩:৪৫ এএম says : 0
    ভোটারদের প্রত্যাশা পুরণ হওয়া নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে
    Total Reply(0) Reply
  • ইব্রাহিম ১৫ মে, ২০১৮, ৩:৪৫ এএম says : 0
    মনে হচ্ছে আগের নির্বাচনগুলোর মতই হবে
    Total Reply(0) Reply
  • রিফাত ১৫ মে, ২০১৮, ৩:৪৬ এএম says : 0
    কত দিন হলো একটা সুষ্ঠ নির্বাচন দেখি না
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ